চ্যাম্পিয়নস লিগের চলতি আসরে ম্যাচের পর ম্যাচ গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়েও করিয়েছেন প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর (পিএসজি) আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি। আর তাতেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে ছাড়িয়ে নতুন ইতিহাস গড়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রাতে ঘরের মাঠ পার্ক দ্য প্রিন্সেসে ইসরায়েলি ক্লাব মাকাবি হাইফার বিপক্ষে ৭-২ গোলে জিতেছে পিএসজি। এই জয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত হয়েছে ফরাসি জায়ান্টদের। ম্যাচে মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পে দুজনেই করেছেন জোড়া গোল।

তবে আলো কেড়ে নিয়েছেন মেসি একাই। কারণ দুইটি করে গোল এবং অ্যাসিস্ট করে মোট ৪ গোলে সরাসরি অবদান রেখেছেন তিনি। আর তাতেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রোনালদোকে পেছনে ফেলে ইতিহাস গড়েছেন পিএসজির এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।

চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ এইচের ম্যাচে মাকাবি হাইফার বিপক্ষে ২টি সহ মেসির মোট গোলসংখ্যা এখন ৮৫ ম্যাচে ৮০টি। অপরদিকে, রোনালদোর গোলসংখ্যা ৭৩টি। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বোচ্চ হ্যাটট্রিকের রেকর্ড (৮টি) এখনও মেসি-রোনালদো ভাগাভাগি করছেন।

এবার রোনালদোর দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড খেলছে ইউরোপা লিগে। ফলে অন্তত এই মৌসুমে মেসিকে পেছনে ফেলার সুযোগ নেই পর্তুগিজ উইঙ্গারের সামনে।

আর তাতেই চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সে জোড়া গোল ও অ্যাসিস্ট করার কীর্তি এখন মেসির দখলে। মাকাবি হাইফার বিপক্ষে ম্যাচটি খেলার সময় মেসির বয়স ৩৫ বছর ১২৩ দিন। এতদিন এই রেকর্ডটি ছিল রোনালদোর। ২০১৫ সালের ২৫ নভেম্বর শাখতার দোনেৎস্কের বিপক্ষে এই রেকর্ড গড়ার সময় রোনালদোর বয়স তখন ৩০ বছর। রিয়াল মাদ্রিদ ওই ম্যাচটি ৪-৩ গোলে জিতে নেয়।

চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন মেসি। ক্লাব ও দেশের জার্সিতে ১৮ ম্যাচ খেলে ১৫টি গোল ১২টি অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের এই মৌসুমে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে তার গোল ও অ্যাসিস্টের সংখ্যা দুই অঙ্ক ছাড়িয়ে গেছে। পিএসজির জার্সিতে এ মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তার গোলসংখ্যা এখন পর্যন্ত ১১টি, অ্যাসিস্ট ১২টি।

সারাদিন/২৬ অক্টোবর/এমবি