Print

সারাদিন

ইউরোপজুড়ে ভয়াবহ মন্দা আসতে চলেছে

প্রকাশিত: ৭:০৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৬, ২০২২

সারাদিন ডেস্ক

ইউরোপ ও আমেরিকার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যেন দিন দিন খারাপের দিকেই যাচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিশ্ব রাজনীতির বর্তমান প্রেক্ষাপটে উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ নানাবিধ অর্থনৈতিক সংকটে ধুকছে উন্নত বিশ্বের দেশগুলো।

দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করতে রেকর্ড পরিমাণ নীতি সুদহার বাড়িয়েছে ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংক (ইসিবি), যদিও এবারের মূল্যস্ফীতি ঠিক চাহিদাজনিত নয়। তবে শুধু ইসিবি নয়, বিশ্বের প্রায় সব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংই নীতি সুদহার বাড়িয়েছে।

ইউরোপের বড় দেশগুলোতে মন্দাভাব বিরাজ করছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চলেছে ইউরোপ।

এর জবাবে, আপাতত ইউরোপে গ্যাস সরবারহ পুরোপুরি বন্ধ রেখেছে রাশিয়া। ফলে ইউরোপে গ্যাসসহ সব ধরনের জ্বালানির দাম আকাশ ছুঁয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে করে ইউরোপজুড়ে ভয়াবহ মন্দা আসতে চলেছে।

এদিকে, ২০২১ সালের জুলাইয়ে আমেরিকা ও ইউরোপের অর্থনৈতিক নীতি-নির্ধারকরা মূল্যস্ফীতির ঝুঁকিকে অস্বীকার করেছিলেন। তবে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলির এসময়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের আগাম প্রস্তুতি হিসাবে সুদের হার বাড়াতে শুরু করে।

এবছরের সেপ্টেম্বরে চিলির মূল্যস্ফীতি বেড়েছে দাঁড়িয়েছে ১৪ শতাংশে। ফলে আগামী বছর দেশটির জিডিপিও সঙ্কুচিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Nagad
Nagad

চিলিসহ ব্রাজিল, হাঙ্গেরি, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, দক্ষিণ কোরিয়া, পেরু ও পোল্যান্ডে এই আট দেশ এক বছর আগে থেকে সুদের হার সর্বনিম্ন করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থান নেয়।

এরপরও অক্টোবর পর্যন্ত এসব দেশ সুদের হার প্রায় ছয় শতাংশ বাড়িয়েছে। ফলে দেশগুলোর অর্থনীতিকে ধীরগতি দেখা দিয়েছে। বন্ধকি হার বেড়ে যাওয়ায় আটটি দেশের আবাসন খাত লোকশানের মুখে পড়েছে।

সেপ্টেম্বরে শ্রম-নিবিড় পরিষেবাখাতে দক্ষিণ কোরিয়ার মূল্যস্ফীতির হার ছিলো বছরে ৪ দশকি ২ শতাংশ, যা এ শতকের সর্বোচ্চ। গত ছয় মাসে হাঙ্গেরির পরিষেবা খাতের মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ২ শতাংশ থেকে বেড়ে সাড়ে ১১ শতাংশ হয়েছে।

সেপ্টেম্বরে নরওয়ের ৮৯ শতাংশ দ্রব্যের দাম ২ শতাংশ হারে বেড়েছে। একইসময়ে পোল্যান্ডের মুদ্রাস্ফীতির গতিও বেড়েছে। গোল্ডম্যান স্যাকসের তথ্য বলছে, বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি এবং ওই আটটি দেশের মূল্যস্ফীতির ব্যবধান ক্রমেই বাড়ছে। ফলে, বিশ্ব অর্থনীতির তুলনায় দুর্বল হয়ে পড়ছে এসব দেশ। সূত্র: একাত্তর টিভি ও জাগো নিউজ