Print

সারাদিন

স্ত্রীকে খুন করে ৪০০ কিলোমিটার দূরে পুঁতে রাখলো চিকিৎসক

প্রকাশিত: ৭:৫৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৫, ২০২২

সারাদিন ডেস্ক

স্ত্রীকে খুনের পর বাড়ি থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে দেহ পুঁতে রেখেছিলেন। এমনকি নিজের ওপর যেন কেউ সন্দেহ না করতে পারে-এজন্য স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করে আসনে। তবে শেষমেশ কোনো কিছুতে রক্ষা হয়নি অভিযুক্ত ব্যক্তির।

স্ত্রীকে হত্যার দায়ে ধরা পড়েছেন ভারতের উত্তরপ্রদেশের লখিমুপর খেরির এক চিকিৎসক। ইতোমধ্যে পুলিশ হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি।

পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম অভিষেক অবস্থি। অভিযোগ, গত ২৬ নভেম্বর স্ত্রী বন্দনাকে (২৮) খুন করেন তিনি। বন্দনাও পেশায় আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ছিলেন। ২০১৪ সালে অভিষেকের সাথে বিয়ে হয়েছিল তার। এরপর স্বামী-স্ত্রী মিলে সীতাপুর রোডে গৌরী চিকিৎসালয় নামে একটি হাসপাতালও খুলেন। কিন্তু বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আশান্তি শুরু হয়ে যায়। ঝামেলা তীব্র হলে বন্দনা অন্য একটি হাসপাতালে চাকরি নেন।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হয়েছিল। সেই সময় চিকিৎসক এবং তার বাবা গৌরীশঙ্কর অবস্থি ভারী কোনো বস্তু দিয়ে বন্দনার মাথায় আঘাত করেন। তাতেই মৃত্যু হয়েছে তার। এরপর লাশ লোপাট করতে ৪০০ কিলোমিটার দূরে গড়মুক্তেশ্বরে বন্দনার লাশ পুঁতে দিয়ে আসেন অভিষেক।

লখিমপুর খেরির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অরুণ কুমার সিংহ জানান, স্ত্রীর লাশ স্যুটকেসে ভরে প্রথমে নিজের ক্লিনিকে যান অভিষেক। এরপর একটি অ্যাম্বুলেন্স ডেকে গড়মুক্তেশ্বরে চলে যান। অ্যাম্বুলেন্স চালককে বলেন, দুর্ঘটনার মৃত্যু হয়েছে বন্দনার।

ওই পুলিশকর্তা জানান, খুনের ঘটনার পরদিন থানায় আসেন অভিষেক। স্ত্রীর নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। অভিযোগে জানিয়েছিলেন, বাড়ি থেকে মূল্যবান জিনিস নিয়ে স্ত্রী পালিয়েছেন। যদিও অভিষেক-বন্দনার দাম্পত্য সম্পর্কের খোঁজ নেওয়ার পরে উলটো চিকিৎসকের উপরে সন্দেহ পড়ে পুলিশের।

Nagad
Nagad

সেই মতো তার উপর নজর রাখা হচ্ছিল। এরপর রুটিন পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়ে চিকিৎসক অভিষেক অবস্থি। অভিযুক্তের বয়ান অনুযায়ী ৪০০ কিলোমিটার দূরের গড়মুক্তেশ্বরে মাটির নিচ থেকে বন্দনার দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে চিকিৎসককে।

সারাদিন/১৫ ডিসেম্বর/এমবি