প্রকাশিত: ৯:৫০ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৪, ২০২৩
সারাদিন ডেস্ক
মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের পুনর্ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ইভিএমে। এই আলোচিত সংসদীয় গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে সকাল সাড়ে আটটা থেকে ১৪৫টি ভোটকেন্দ্রে এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি থাকতে দেখা গেছে। সতর্ক অবস্থায় আছে আইনশৃঙ্খলা বহিনীর সদস্যরা। আর ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ইসির উচ্চ পর্যায়ের মনিটরিং সেল।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম একটি সংসদীয় আসনের সবগুলো কেন্দ্রে সিসি ফুটেজ দেখে ভোটগ্রহণ বন্ধ হওয়া উপনির্বাচনের পুনরায় ভোটগ্রহণ হয়েছে।
সারাদেশে আলোচিত এ নির্বাচনে অনিয়ম ঠেকাতে এবারও ১৭টি ইউনিয়নের ১৪৫টি ভোটকেন্দ্রের সবগুলোতেই থাকছে সিসি ক্যামেরা। নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। এ ছাড়া নির্বাচনি মাঠে থাকছে, র্যাবের ৮টি টিম, র্যাবের একটি বোম ডিসপোজাল ইউনিট, ৫ প্লাটুন বিজিবি, ৫টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, ১৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, দুজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশ ও আনসারের সমন্বয়ে ৬টি মোবাইল টিম।
দুই উপজেলার কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নতুন নিয়োগ পাওয়া ১৪৫ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ৯৫২ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ১ হাজার ৯০৪ জন পোলিং অফিসার। এই আসনের সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ১৪৫টি ভোট কেন্দ্রের ৯৫২টি বুথে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। এরমধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৮৬২ জন ও পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ১৪২ জন। দুই উপজেলায় সমতলে ১১৩টি ও চরাঞ্চলে ৩২টি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলছে।
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন নৌকা প্রতীক, জাতীয় পার্টির এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু লাঙল প্রতীক, বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম কুলা প্রতীক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মো. মাহবুবুর রহমান ট্রাক প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, মোট ভোটার তিন লাখ ৩৯ হাজার ৯৮ জন। নিরাপত্তার জন্য প্রতি কেন্দ্রে দুজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ চারজন পুলিশ সদস্য এবং ১২ জন আনছার ও ভিডিপি দায়িত্ব পালন করছেন। তবে, ফুলছড়ি উপজেলার চরাঞ্চলের ১০টি কেন্দ্রে ১০ করে পুলিশ সদস্য ও ১৬ জন করে আনছার ও ভিডিপি দায়িত্ব পালন করবেন।
একইভাবে সাঘাটা উপজেলার চরাঞ্চলের তিনটি কেন্দ্রেও ১০ জন করে পুলিশ সদস্য ও ১৬ জন করে আনছার ও ভিডিপি দায়িত্ব পালন করবেন।
ইসি জানিয়েছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য র্যাবের ৯টি টিম, চার প্লাটুন বিজিবি ও অস্ত্রধারী আনসার সদস্য ছাড়াও এক হাজার ২৮৫ জন পুলিশ নিরাপত্তা প্রদানে দায়িত্ব পালন করছেন।
গাইবান্ধা-৫ আসনটি ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। প্রতি ইউনিয়নে একজন করে মোট ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দুজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন