প্রকাশিত: ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৪, ২০২৩
গাজীপুর সংবাদাদাতা:
চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিন। ইতোমধ্যে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে কুয়াশা, কনকনে শীত উপেক্ষা করেই লাখ লাখ মুসল্লির পদভারে পরিপূর্ণ। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এবং বিভিন্ন দেশ থেকে দলবেঁধে মুসল্লিরা এসেছেন ইজতেমা ময়দানে। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বাদ ফজর পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হকের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। আগামী ২২ জানুয়ারি প্রথম প্রহরে আখেরী মুনাজাতের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি হবে।
ইজতেমার দ্বিতীয় দিন শনিবার (১৪ জানুয়ারি) ফজরের নামাজের পর থেকে ইবাদত, বন্দেগি, জিকির-আসকার চলে। এরপর ইমান ও আমল নিয়ে কোরআন ও হাদিসের আলোকে বয়ান শুরু হয়। বয়ান করেন মাওলানা খুরশিদ। এরপর সকাল ১০টা থেকে উলামা একরামদের জন্য বয়ান চলছে।
এর আগে শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বিশ্ব ইজতেমার প্রথমদিনে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জুমার নামাজের জামাত হয়। জুমার নামাজে ইমামতি করেন বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়ের। নামাজে দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণ ছিলো। আল্লাহু আকবর ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে তুরাগ নদীর তীর। শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া করেন সবাই। মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কাল পেরিয়ে আবারো সমবেত হতে পারায় শুকরিয়া আদায় করেন তারা।
ইজতেমা সূত্রে জানা গেছে, হেদায়েতি বয়ানের পর এদিন সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যেই আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। মোনাজাতে সারা দুনিয়ার মানুষের সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হবে।
ধারণা করা হচ্ছে, মোনাজাতে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ অংশ নিতে পারেন। আর বিশ্ব তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা জুবায়ের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন বলেও আশা করা হচ্ছে।
পুলিশ ও র্যাবের কন্ট্রোল রুম থেকে নিরাপত্তার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাও ব্যবহার করা হচ্ছে। নিরাপদ যাতায়াত ও সুষ্ঠুভাবে যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে প্রতিদিন ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে আগামীকাল রোববার (১৫ জানুয়ারি) শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।