Print

সারাদিন

ধর্মীয় অপব্যাখ্যা দিতেন মহিবুল্লাহ, অবশেষে গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ৬:০১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:

জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার নায়েবে আমিরকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটি) ইনভেস্টিগেশন টিম। তাকে গ্রেপ্তারের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে বলে দাবি করেছে সিটিটিসি। মূলত সারা দেশ থেকে পাহাড়ি অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের বয়ান দিতেন মহিবুল্লাহ। তার উদ্দেশ্যই ছিল ধর্মীয় অপব্যাখ্যা দিয়ে কর্মীদের মানসিকভাবে জিহাদের জন্য প্রস্তুত করা।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার নায়েবে আমির হলেন- মো. মহিবুল্লাহ ভোলার শায়েখ (৪৮)। এ সময় ২টি মোবাইল এবং ১টি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।

২০২২ সালের জানুয়ারিতে পলাতক জঙ্গি নেতা শামিন মাহফুজ, শুরা সদস্য ডা. শাকের শিশির ও মো. মহিবুল্লাহ ভোলার শায়েখ বান্দরবনের নাইক্ষ্যাংছড়িতে অবস্থিত জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে যান। এসময় প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে কুকি-চিনদের বিদ্রোহী সংগঠন কেএনএফ (কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট) এর তত্ত্বাবধানে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ চলত। সেখানে তাদের সঙ্গে কেএনএফ এর প্রধান নাথান বম ও অন্য কুকি-চিন নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাত হয় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ নামে সংগঠনের নামকরণ করা হয়। এসময় শুরা কমিটিও গঠন করা হয়। কমিটিতে মো. মহিববুল্লাহ ভোলার শায়েখকে সংগঠনের নায়েবে আমির নির্বাচিত করা হয়। তিনি ক্যাম্পে সন্ধ্যার পর প্রশিক্ষণরত সদস্যদের বয়ান দিত। বয়ানের মূল উদ্দেশ্য ছিল ধর্মীয় অপব্যাখ্যার মাধ্যমে জঙ্গি সদস্যদের জিহাদের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করা।

সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘মহিবুল্লাহ ওরফে ভোলার শায়েখকে সংগঠনটির নায়েবে আমির হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। তিনি ক্যাম্পে অবস্থানকালে সন্ধ্যার পর প্রশিক্ষণরত সদস্যদের বয়ান দিতেন। তার বয়ানের মূল উদ্দেশ্য ছিল ধর্মীয় অপব্যাখ্যার মাধ্যমে জঙ্গি সদস্যদের জিহাদের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করা।’

২০২১ সালে মাইনুল ইসলাম ওরফে রক্সি গ্রেপ্তার হওয়ার পর হুজির আরেকজন সদস্য রাকিবের সঙ্গে মো. মহিবুল্লাহর যোগাযোগ তৈরি হয়। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনার কাজে সদস্য সংগ্রহ ও দাওয়াতি কার্যক্রম চালাতে থাকেন তিনি।ডেমরা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় এরই মধ্যে মহিবুল্লাহকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সিটিটিসি।

Nagad
Nagad

তার বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।