Print

সারাদিন

স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষ: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর রণক্ষেত্র

প্রকাশিত: ৯:৩৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ১১, ২০২৩

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ চলছে। এতে অন্তত অর্ধশত আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও পুলিশ সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।

এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্মরত সাংবাদিকসহ ৫০ জন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় এই সংঘর্ষ শুরু হয়। শেখ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছে। শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করছে। অন্য দিকে স্থানীয়রা কয়েক দফা ককটেলের বিস্ফোরণও ঘটান।

আহত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং গুরুতর আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

সংঘর্ষের একপর্যায়ে বিনোদপুর পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিনোদপুরের অনেক দোকানেও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার সূত্রে জানা যায়, এখন পর্যন্ত মাথা, হাত, পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত নিয়ে অন্তত ২৫ জন শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন। আরও অনেকে চিকিৎসা নিতে আসছে। গুরুতর আহত ১০ শিক্ষার্থীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বিনোদপুর গেটে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে ক্যাম্পাসের ভিতরে ইটপাটকেল ছুড়ছেন স্থানীয়রা। তাদের ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন অনেক শিক্ষার্থী। এর আগে বিনোদপুরে মেসে যাওয়ার পথে স্থানীয়দের আক্রমণের শিকার হন সাত-আটজন শিক্ষার্থী। এ সময় সাংবাদিকের ওপরও হামলা করেন তারা।

Nagad
Nagad

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বগুড়া থেকে মোহাম্মদ বাসে রাজশাহী আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র আলামিন আকাশ। বাসে সিটে বসাকে কেন্দ্র করে গাড়ির চালক শরিফুল ও সুপারভাইজার রিপনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় আকাশের। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটে এসে আবারও কন্ডাক্টারের সঙ্গে ঝামেলা হয়। তখন স্থানীয় এক দোকানদার এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে আসে। সেখানে স্থানীয় দোকানিদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়।

একপর্যায়ে স্থানীয়রা একজোট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও পাল্টা ধাওয়া করেন।

এই ব্যাপারে প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সাথে নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।