Print

সারাদিন

আজকের দিনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

প্রকাশিত: ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৩, ২০২৩

সারাদিন ডেস্ক

অর্থনৈতিক সংকট
পাকিস্তানে পদদলিত হয়ে ১০ দিনে নিহত ২০
আর্থিক সংকটে থাকা পাকিস্তানে গত মার্চে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়ায় ৩৫ দশমিক ৩৭ শতাংশে, যা গত ৫ দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।

পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতির চাপে পড়েছে দরিদ্র মানুষ। খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রগুলোর সামনে মানুষের ভিড় বাড়ছে। রোজার মাস শুরু হওয়ার পর গত ১০ দিনে খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে ভিড় বেড়েছে। সেখানে পিষ্ট হয়ে অন্তত ২০ জন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এর মধ্যে গত শুক্রবার করাচির সিন্ধু ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানির কর্মীদের পরিবারের মধ্যে জাকাত বিতরণের সময় পদদলিত হয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ওই ঘটনায় আহত হন পাঁচজন।করাচিভিত্তিক বিশ্লেষক শাহিদা উইজারাত বলেন, ‘পাকিস্তানে যেভাবে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে, আমার মনে হয় দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।’ আর্থিক সংকটে থাকা পাকিস্তানে গত মার্চে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়ায় ৩৫ দশমিক ৩৭ শতাংশে, যা গত ৫ দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশটির সরকার এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণ করে ঋণ নিতে হিমশিম খাচ্ছে। গত শনিবার প্রকাশ করা দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি মাসের চেয়ে মার্চে দেশটির মূল্যস্ফীতি ৩ দশমিক ৭২ শতাংশ বেড়েছে। দেশটিতে গত বছর গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ২৭ দশমিক ২৬ শতাংশ।বছরের পর বছর ধরে চলা আর্থিক অব্যবস্থাপনা এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা পাকিস্তানের অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে। বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের পাশাপাশি দেশটিতে গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো

পাকিস্তান সরকার ও সুপ্রিম কোর্ট মুখোমুখি

পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়ালের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ। এর আগে শনিবার ওই বেঞ্চের প্রতি অনাস্থা জানায় ক্ষমতাসীন জোট। পাঞ্জাব ও খাইবারপাখতুনখোয়ায় প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন বিলম্বিত করার মামলা এবং প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা হ্রাস নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ ক্রমেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে।প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে শনিবার অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ গতকাল রবিবার বলেন, পাকিস্তান মুসলিম লীগের (নওয়াজ) (পিএমএলএন) সদর দপ্তরে সরকারের অন্যতম জোটসঙ্গী পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ও পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (পিডিএম) নেতারা প্রধান বিচারপতির সাম্প্রতিক কার্যক্রমকে অসাংবিধানিক ও অবৈধ আখ্যা দিয়েছেন। এখনো ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি—এমন দাবি করে সানাউল্লাহ বলেন, এই তিন বিচারপতির পিএমএল-এনবিরোধী অবস্থানের দীর্ঘ নজির রয়েছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

দেশে ডলারের তিন দর
ব্যাংকে ১০৭, খুচরা বাজারে ১১৩ আর হুন্ডিতে ১১৯ টাকা

দেশের ব্যাংক খাতে ডলারের সর্বোচ্চ বিনিময় হার ১০৭ টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনুমোদিত এ দরেই বিদেশী এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো থেকে রেমিট্যান্স কিনছে দেশের ব্যাংকগুলো। তবে ডলারের অনুমোদিত এ দরের বাইরেও দেশে আরো দুই বাজারে ভিন্ন দরে ডলার লেনদেন হচ্ছে। এক্ষেত্রে দেশের মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলোতে (কার্ব মার্কেট) প্রতি ডলার লেনদেন হচ্ছে ১১৩-১১৪ টাকায়। আর হুন্ডির বাজারে প্রতি ডলার লেনদেন হচ্ছে ১১৯ টাকারও বেশি দরে। অবৈধ পথে বিদেশে অর্থ পাঠাতে হুন্ডির বাজার এখন বেশ জমজমাট বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ডলার সংকটের কারণে গত বছরের জুন থেকে আমদানি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এক্ষেত্রে ঋণপত্র (এলসি) খোলায় কড়াকড়ি আরোপের পাশাপাশি এলসি মূল্য বড় হলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমোদনের শর্তও বেঁধে দেয়া হয়। অনুসন্ধানের তথ্য বলছে, এলসি খোলায় শর্তারোপের পর থেকে হুন্ডির বাজার আরো বেশি সম্প্রসারিত হয়েছে। হুন্ডি তত্পরতায় ব্যবহূত হচ্ছে অনুমোদিত মানি এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো। আবার প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তিও হুন্ডির মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা রাখছেন। এক্ষেত্রে কিছু ব্যাংকের পরিচালক ও ব্যাংকারও জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সূত্র: বণিক বার্তা।

Nagad
Nagad

প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের বিরুদ্ধে পাকিস্তান সরকারের ‘অনাস্থা’ প্রকাশ
দেশটির ফেডারেল জোট তিন সদস্যের সুপ্রিমকোর্ট বেঞ্চের ওপর ‘সম্পূর্ণ অনাস্থা’ প্রকাশ করে এ বিষয়ে আদালতের কার্যক্রম বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।

পাকিস্তানের প্রাদেশিক নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ওমর আতা বান্দিয়ালের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের সুপ্রিম কোর্ট বেঞ্চের দেওয়া সিদ্ধান্তের ওপর ‘সম্পূর্ণ অনাস্থা’ প্রকাশ করেছে দেশটির পিএমএল-এন (পাকিস্তান মুসলিম লিগ-এন) নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট। শনিবার (১ এপ্রিল) ক্ষমতাসীন জোটের এ ইঙ্গিতের পর পাকিস্তানে চলমান রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকট আরও গভীর হলো বলে মনে করছেন দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। খবর ডনের। মডেল টাউনে পিএমএল-এন-এর সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত পিডিএম এবং পিপিপি মিত্রদের সঙ্গে এক বৈঠকে ফেডারেল জোট তিন সদস্যের সুপ্রিমকোর্ট বেঞ্চের ওপর ‘সম্পূর্ণ অনাস্থা’ প্রকাশ করে এ বিষয়ে আদালতের কার্যক্রম বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে জানানো হয়েছে, নির্বাচনের তারিখ নিয়ে পিটিআই প্রধান ইমরান খানের সঙ্গে ‘কোন ধরনের আলোচনা’ করবে না ক্ষমতাসীন জোট এবং চলতি বছরের অক্টোবরের আগে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। পিএমএল-এন নেতা নওয়াজ শরিফ এবং পিপিপি নেতা আসিফ আলি জারদারি চিকিৎসার জন্য দুবাইয়ে অবস্থান করায় ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে বৈঠকে অংশ নেন। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

জনবহুল দেশের ভুতুড়ে এক শহর

৭৪ বছর বয়সী আন্নামা জ্যাকব যত দূর মনে করতে পারেন, বাড়িটিতে তিনি একাই আছেন। স্বামী মারা গেছেন আশির দশকের শুরুতে। ছেলে থাকেন দুবাইতে। মেয়েও বিয়ের পর চলে গেছেন অন্য এক শহরে। তাই তো উঁচু লোহার গেট দেয়া লাল রঙের দোতলা বাড়িটিতে বছরের পর বছর কাটছে তার একাকী প্রহর। আশপাশের যে বাড়িগুলো নিয়মিত রং করে, ধোয়ামোছা করে রাখা হয়, সেগুলোতেও এখন আর কেউ থাকেন না। ছেলেমেয়েরা ভালো কাজ পেয়ে অন্য শহরে সেটেল করেছেন, সঙ্গে নিয়ে গেছে বুড়ো বাবা-মাকে। ফলে মানুষবিহীন বাড়িগুলো পড়ে আছে পোড়ো ঘরের মতোই। উঠানজুড়ে ঝরা পাতা আর ধুলার স্তূপ। বলছিলাম কেরালার পাঠানমথিত্তা জেলার কুম্বানাদ শহরের কথা। পুরো ভারতের একেবারে উল্টো চিত্র এখানে। জনসংখ্যার ভারে ন্যুব্জ যেখানে দেশটি, সেখানে এই শহরে লোকজনের দেখা মেলাই ভার। এমনকি স্কুলগুলো পর্যন্ত এখন আর ছাত্রছাত্রী খুঁজে পায় না। তাই তো এখানকার শিক্ষকদের এখন নিজেদের গাঁটের পয়সা খরচ করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্রছাত্রী খুঁজে আনতে হয়। আশির দশকেও যে স্কুলটিতে ৭০০ বাচ্চার আনাগোনা ছিল, সেখানে এখন মাত্র ৫০টি বাচ্চা পড়ছে। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই আবার সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর সন্তান। সূত্র: দৈনিক বাংলা ।

শিথিলের বদলে কঠোর ইরান

কঠোর পোশাকবিধি না মানায় নীতি পুলিশের হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যুর পর নজিরবিহীন বিক্ষোভে প্রকম্পিত হয় গোটা ইরান। লাগাতার বিক্ষোভে চলতে থাকে সরকারের দমনপীড়ন। ইরানের এ কট্টরপন্থার কারণের নতুন করে একাধিক পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কবলেও পড়ে দেশটি। শেষমেশ গত বছরের ডিসেম্বরে বিতর্কিত নীতি পুলিশ বিলুপ্ত ঘোষণা করে ইরান। এর আগে থেকেই ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলে আসছিলেন, পোশাকসংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগে ‘শিথিলতা’ দেখানো সম্ভব হতে পারে। এতে আশা করা হয়েছিল দেশটির কঠোর পোশাকবিধিও শিথিল হবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো বিক্ষোভের ধার কমে আসায় ফের কট্টর অবস্থানেই যাচ্ছে ইরান সরকার। ইরানে দীর্ঘ প্রতিবাদ-বিক্ষোভ সত্ত্বেও হিজাব আইন কার্যকর রাখার বিষয়ে অনড় ইরান। ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চলতি সপ্তাহে জানায়, হিজাব ইস্যুতে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। বিবৃতিতে বলা হয়, হিজাব ইসলামি আইনের একটি অপরিহার্য উপাদান। এটি ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হিসেবেই থাকবে। বিচার বিভাগের প্রধান গোলামহোসেন মোহসেনি-ইজেই বলেন, ‘যেসব নারী মাথা ঢেকে রাখেন না তাদের প্রতি কোনো দয়া দেখানো হবে না। বিচার করা হবে তাদের।’ কট্টরপন্থি এমপি হোসেন আলি হাজি দেলিগানি বলেন, ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিচার বিভাগ এ ধরনের ব্যবস্থা না দিলে সংসদ সদস্যরা আইনগত শূন্যতা পূরণে একটি বিল উত্থাপন করবেন।’ সূত্র: দেশ রুপান্তর

শিথিলের বদলে কঠোর ইরান

কঠোর পোশাকবিধি না মানায় নীতি পুলিশের হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যুর পর নজিরবিহীন বিক্ষোভে প্রকম্পিত হয় গোটা ইরান। লাগাতার বিক্ষোভে চলতে থাকে সরকারের দমনপীড়ন। ইরানের এ কট্টরপন্থার কারণের নতুন করে একাধিক পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কবলেও পড়ে দেশটি। শেষমেশ গত বছরের ডিসেম্বরে বিতর্কিত নীতি পুলিশ বিলুপ্ত ঘোষণা করে ইরান। এর আগে থেকেই ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলে আসছিলেন, পোশাকসংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগে ‘শিথিলতা’ দেখানো সম্ভব হতে পারে। এতে আশা করা হয়েছিল দেশটির কঠোর পোশাকবিধিও শিথিল হবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো বিক্ষোভের ধার কমে আসায় ফের কট্টর অবস্থানেই যাচ্ছে ইরান সরকার। ইরানে দীর্ঘ প্রতিবাদ-বিক্ষোভ সত্ত্বেও হিজাব আইন কার্যকর রাখার বিষয়ে অনড় ইরান। ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চলতি সপ্তাহে জানায়, হিজাব ইস্যুতে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। বিবৃতিতে বলা হয়, হিজাব ইসলামি আইনের একটি অপরিহার্য উপাদান। এটি ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হিসেবেই থাকবে। বিচার বিভাগের প্রধান গোলামহোসেন মোহসেনি-ইজেই বলেন, ‘যেসব নারী মাথা ঢেকে রাখেন না তাদের প্রতি কোনো দয়া দেখানো হবে না। বিচার করা হবে তাদের।’ কট্টরপন্থি এমপি হোসেন আলি হাজি দেলিগানি বলেন, ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিচার বিভাগ এ ধরনের ব্যবস্থা না দিলে সংসদ সদস্যরা আইনগত শূন্যতা পূরণে একটি বিল উত্থাপন করবেন।’ সূত্র: দেশ রুপান্তর

সেন্ট পিটার্সবার্গে বিস্ফোরণে রুশ সামরিক ব্লগার নিহত
রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে একটি ক্যাফেতে শক্তিশালী বিস্ফোরণে দেশটির আলোচিত সামরিক ব্লগার ভ্লাদেন তাতরস্কি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন। গতকাল রোববার ১ নম্বর স্ট্রিট ফুড বারে এ ঘটনা ঘটে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভ্লাদেন তাতারস্কির আসল নাম ম্যাক্সিম ফোমিন। তিনি ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের সোচ্চার সমর্থক ছিলেন। বোমা বিস্ফোরণের সময় ক্যাফেতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিস্ফোরণের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ দায় স্বীকার করেনি।রুশ মিডিয়ায় বিস্ফোরণ ডিভাইস সম্পর্কে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন রয়েছে। এটিকে ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বা আইইডি বিস্ফোরণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তাতারস্কিকে উপহার হিসেবে একটি বক্সে মূর্তি দেওয়া হয়েছিল। এর ভেতরে বোমা লুকানো ছিল বলে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূত্র: দৈনিক আমাদের সময়

যুক্তরাষ্ট্রে অফিস বন্ধ করে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে ম্যাকডোনাল্ডস

বিশ্বের বৃহত্তম ফাস্ট ফুড চেইন ম্যাকডোনাল্ডস চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সমস্ত অফিস সাময়িকভাবে বন্ধ করে কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সোমবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় এনডিটিভি।গত সপ্তাহে ম্যাকডোনাল্ডস তার মার্কিন কর্মীদের সোমবার থেকে বুধবার বাড়িতে থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে একটি ই-মেইল পাঠায়। আর এই নির্দেশনা কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়টি ইঙ্গিত করছে। তবে কতজন কর্মীকে বরখাস্ত করা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।মেইলে বলা হয়, ৩ এপ্রিল থেকে সপ্তাহ জুড়ে আমরা আমাদের কার্যকর সিদ্ধান্তগুলো নেব। কর্মচারীদের পূর্ব নির্ধারিত সমস্ত বৈঠক বাতিল করা হলো।চলতি বছর জানুয়ারিতে‌ ম্যাকডোনাল্ডস জানিয়েছিল, তারা তাদের ব্যবসায়িক কৌশল উন্নত করতে কর্মীদের তালিকা পুনরায় সাজাবে। এই তালিকায় কিছু কর্মী ছাঁটাই পড়বে এবং অধিকাংশের পদে কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে বুধবারের মধ্যে ছাটাইয়ের ঘোষণা আসবে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা অবস্থা মোকাবিলার চেষ্টায় গুগল, অ্যামাজন, টুইটারের পর এবার একই পথে হাটছে ম্যাকডোনাল্ডস। সূত্র: সমকাল

সেন্ট পিটার্সবার্গের ক্যাফেতে বোমা বিস্ফোরণে রুশ সামরিক ব্লগার নিহত

সেন্ট পিটার্সবার্গের একটি ক্যাফেতে একটি বিস্ফোরণে বিশিষ্ট রাশিয়ান সামরিক ব্লগার ভ্লাদলেন তাতারস্কি নিহত হয়েছেন বলে রাশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে। স্ট্রিট ফুড বার নম্বর ওয়ান নামে ওই ক্যাফেতে বোমা বিস্ফোরণে আরো অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা কয়েকটি ভিডিওতে বিস্ফোরণ এবং এর পরে রাস্তায় আহত লোকজনকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। বিস্ফোরণের জন্য কারা দায়ী তা এখনো স্পষ্ট নয়।ভ্লাদলেন তাতারস্কি যার প্রকৃত নাম ম্যাক্সিম ফোমিন, তিনি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের সোচ্চার সমর্থক ছিলেন।বিস্ফোরণের সময় তিনি ক্যাফেতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অতিথি বক্তা ছিলেন।বিস্ফোরক ডিভাইস সম্পর্কে রাশিয়ার সংবাদ মাধ্যমে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন রয়েছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রের যে বরাত দেয়া হয়েছে সে অনুযায়ী, তাতারস্কিকে উপহার হিসেবে একটি বাক্সে একটি মূর্তি দেওয়া হয়েছিল, যার ভেতরে বোমা লুকানো ছিল। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

যুদ্ধের মধ্যেও ইউক্রেইনের একাংশে পর্যটন রমরমা

ইউক্রেইনের লভিভের হোটেল লিওপলিস। ২০২০ সালের কোভিড মহামারীর সময়ও হোটেলটি দুই মাস বন্ধ ছিল। কিন্তু এরপর রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পরে একদিনের জন্যও হোটেলটিকে ব্যবসা বন্ধ রাখতে হয়নি। হোটেল ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এমনকি হোটেলের সংস্কার কাজ চালিয়ে যাওয়ারও সিদ্ধান্ত নেয়। যে সংস্কার শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে এবং ২০২২ সালের গ্রীষ্মে তা শেষ হয়, এমন এক সময়ে যখন শহরে রুশ বিমানবাহিনী বৃষ্টির মতো হামলা চালিয়েছিল। হোটেলের মহাব্যবস্থাপক কাতেরিনা মাতিউশচেংকো বলেন, “মাস দুয়েকের জন্য আমাদের সংস্কার কাজটি বন্ধ রাখতে হয়েছিল, কিন্তু মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর আমরা কাজ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।”এই ইতিবাচক মনোভাবের পেছনে একটি প্রেক্ষাপট রয়েছে। এমনকি যুদ্ধের সবচেয়ে কঠিন সময়েও হোটেলের ৭০টি কক্ষে অতিথি থাকার হার মহামারীর সময়ের হিসাবকে পেছনে ফেলেছে।যুদ্ধের মধ্যেও পশ্চিম ইউক্রেইনে এই পর্যটন খাতের ব্যবসার রমরমা চালিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরেছে সিএনএন। সূত্র: বিডি নিউজ