প্রকাশিত: ১২:১৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৭, ২০২৩
সারাদিন ডেস্ক
আগুনের অতিঝুঁকিতে ৪১ ভবন
আগুনের অতিঝুঁকিতে রয়েছে ঢাকা ও ঢাকার উপকণ্ঠের ৪১টি ভবন। এর মধ্যে ১৫টি ভবন রয়েছে ঢাকায়। এসব ভবনের অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থা খুবই অপ্রতুল। আগুন লাগলে দ্রুত ভবন থেকে বের হয়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার আলাদা পথ নেই। এতে বঙ্গবাজারের মতো বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। ফায়ার সার্ভিস বলছে, অগ্নিঝুঁকির বিষয়ে বেশির ভাগ ভবনকে এ ব্যাপারে একাধিকবার নোটিশ দেওয়ার পরও তারা তা আমলে নেয়নি। এ জন্য তারা আবার নতুন করে জরিপ শুরু করেছে।ঝুঁকিপূর্ণ কয়েকটি মার্কেট ভবন পরিদর্শনের সময় ব্যবসায়ীরা কেউ কেউ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। তবে দৃশ্যত তা চোখে পড়েনি।ফায়ার সার্ভিসের তালিকা অনুযায়ী ঢাকা, গাজীপুর, সাভার ও নারায়ণগঞ্জের ৪১টি ভবন দীর্ঘদিন ধরে আগুনের অতিঝুঁকিতে রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে এসব ভবন চিহ্নিত করে মালিক, ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়। এমনকি ভবনের সামনে ব্যানারও টানিয়ে দেওয়া হয়। এর পরও এসব ভবনকে অগ্নিঝুঁকিমুক্ত করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সূত্র: কালের কণ্ঠ
ব্যয় কমেছে যেসব খাতে
কৃচ্ছ্রসাধনে সরকারের সাশ্রয় ৫১ হাজার কোটি টাকা
♦ সরকারি খরচ ১৭,৫৫৬ কোটি ♦ উন্নয়ন কর্মসূচি ১৮,৫০০ কোটি ♦ পণ্য সেবা সম্পদ সংগ্রহ ও পূর্ত কাজে ৬,৪৭০ কোটি ♦ বেতন-ভাতা খাতে ১,১১৩ কোটি ♦ শেয়ার, ইক্যুইটি ও বিনিয়োগ ৭,৫৮৫ কোটি টাকা
গত বছরের জুনে যখন চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, তখন অর্থনীতিতে নানা টানাপোড়েন চলছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি, সার ও খাদ্যপণ্যের দাম লাগামছাড়া। করোনা মহামারির নেতিবাচক প্রভাবে তখনো অনেক দেশের অর্থনীতিতে স্থবিরতা বিরাজ করছে। এ পরিস্থিতিতে সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় সীমিত সম্পদের পরিমিত ব্যবহার। অপচয় কমাতে বাজেট অনুমোদনের পরপরই ঘোষণা দিয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের নীতি গ্রহণ করে অর্থ বিভাগ। সেই নীতির সুফল মিলছে। প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, কৃচ্ছ্রসাধনে সরকারের সাশ্রয় হয়েছে ৫১ হাজার ১২৪ কোটি টাকা। সূত্র জানায়, অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে গত বুধবার অনুষ্ঠিত ‘কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল অন বাজেট ম্যানেজমেন্ট, কারেন্সি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রেট’ শীর্ষক সভায় সরকারের সাশ্রয়ের এই তথ্য তুলে ধরা হয়। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বাজেটে মোট সরকারি ব্যয় হ্রাস পেয়েছে ১৭ হাজার ৫৫৬ কোটি টাকা; বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ব্যয় কমেছে ১৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা; পণ্য ও সেবা এবং সম্পদ সংগ্রহ ও পূর্ত কাজে ৬ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা ব্যয় কমেছে; বেতন-ভাতা খাতে ব্যয় কমেছে ১ হাজার ১৩ কোটি টাকা; এ ছাড়া শেয়ার, ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ খাতে বরাদ্দ হ্রাস পেয়েছে ৭ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা। অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, অতিমারির পরপরই ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা তৈরি করে। বাংলাদেশও এর বাইরে ছিল না। সেই অনিশ্চয়তায় প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিল সাশ্রয়ী হওয়া, অপচয় কমানো। এ লক্ষ্যে বিধিনিষেধ দেওয়া হয় সরকারি চাকরিজীবীদের বিদেশ ভ্রমণ ও প্রকল্পের গাড়ি কেনার ওপর। বরাদ্দের ৫০ শতাংশের বেশি ব্যয় না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে কম গুরুত্বপূর্ণ আমদানিনির্ভর প্রকল্প বাস্তবায়ন পিছিয়ে দেওয়া হয়। উপরন্তু সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের বেঁচে যাওয়া অর্থ ভিন্ন খাতে স্থানান্তর না করতে নির্দেশনা দেওয়া হয় সব মন্ত্রণালয়কে। সরকারের এই কৃচ্ছ্রসাধনের ফলে সব মিলিয়ে প্রায় ৫১ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন ।
যেভাবে বঙ্গবাজারের প্রতিষ্ঠা, যেভাবে দুবার আগুনে ভস্মীভূত
ঢাকার বঙ্গবাজারে প্রথম ভয়াবহ আগুন লেগেছিল ১৯৯৫ সালের ২৭ নভেম্বর। তখন এখানে চারটি হকার্স মার্কেট ছিল। দোকানের সংখ্যা ছিল ৫২৫। এক আগুনে পুরো বঙ্গবাজার ছাই হয়ে গিয়েছিল। আগুনের ঘটনা নিয়ে পরদিন দৈনিক ইত্তেফাকে আট কলামজুড়ে শিরোনাম ছিল, ‘ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বঙ্গবাজার সম্পূর্ণ ভস্মীভূত।’ মূল শিরোনামের একটু ওপরে লেখা ছিল, ‘অসহায় হাজার হাজার মানুষের সামনে ছাই হয়ে গেল টি হকার্স মার্কেট।’ আগুন লাগার ছবি ছিল একাধিক। আর ছিল দুটি বিশেষ ছবি। একদম ওপরে দুই পাশে সমানভাবে ছাপা হয়েছিল ছবি দুটি। একদম বাঁ দিকে দুই কলামে ছাপা ছবিটি ছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার। তিনি বঙ্গবাজার পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। আর একদম ডান দিকের ছবিটি শেখ হাসিনার বঙ্গবাজার পরিদর্শনের। তিনি তখন প্রধান বিরোধী দলের নেত্রী।পরদিনও ইত্তেফাক ছয় কলামজুড়ে আগুন–পরবর্তী ঘটনা তুলে এনেছিল। শিরোনাম ছিল, ‘বঙ্গবাজারের দোকানীরা কবে আবার পসরা সাজাইতে পারিবেন বলা মুশকিল।’ দ্বিতীয় দিনের লেখাটি ছিল আসলে ব্যবসায়ীদের দুরবস্থার কথা নিয়ে। কারণ, প্রত্যেকেই সর্বস্বান্ত হয়েছিলেন। সূত্র: প্রথম আলো
আগুনের অতিঝুঁকিতে ৪১ ভবন
আগুনের অতিঝুঁকিতে রয়েছে ঢাকা ও ঢাকার উপকণ্ঠের ৪১টি ভবন। এর মধ্যে ১৫টি ভবন রয়েছে ঢাকায়। এসব ভবনের অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থা খুবই অপ্রতুল। আগুন লাগলে দ্রুত ভবন থেকে বের হয়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার আলাদা পথ নেই। এতে বঙ্গবাজারের মতো বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। য়ার সার্ভিস বলছে, অগ্নিঝুঁকির বিষয়ে বেশির ভাগ ভবনকে এ ব্যাপারে একাধিকবার নোটিশ দেওয়ার পরও তারা তা আমলে নেয়নি। এ জন্য তারা আবার নতুন করে জরিপ শুরু করেছে।ঝুঁকিপূর্ণ কয়েকটি মার্কেট ভবন পরিদর্শনের সময় ব্যবসায়ীরা কেউ কেউ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। তবে দৃশ্যত তা চোখে পড়েনি।ফায়ার সার্ভিসের তালিকা অনুযায়ী ঢাকা, গাজীপুর, সাভার ও নারায়ণগঞ্জের ৪১টি ভবন দীর্ঘদিন ধরে আগুনের অতিঝুঁকিতে রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে এসব ভবন চিহ্নিত করে মালিক, ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়। এমনকি ভবনের সামনে ব্যানারও টানিয়ে দেওয়া হয়। এর পরও এসব ভবনকে অগ্নিঝুঁকিমুক্ত করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।ঢাকার অতিঝুঁকিপূর্ণ ১৫ ভবন-গুলিস্তান বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স ছাড়াও ফায়ার সার্ভিসের তালিকায় অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে রয়েছে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের গাউছিয়া নূর ম্যানশন মার্কেট ও গোল্ডেন টাওয়ার নিউমার্কেট, পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজারের হাজী মিলন টাওয়ার, ওয়ারীর সালাউদ্দিন স্পেশালাইজড হাসপাতাল, মগবাজারের রাজ্জাক শপিং কমপ্লেক্স ও গুলফিশান এবং আড়ং কমপ্লেক্স, মিরপুর রোডের সুকন্যা টাওয়ার (২০ তলা আবাসিক ভবন), তেজগাঁও সাত রাস্তার ছায়ানীড় আবাসিক ভবন, সদরঘাটের পাটুয়াটুলী রোডের-সূত্র: কালের কণ্ঠ
ঢাকার অনেক শপিংমলে নেই অগ্নিনিরাপত্তা
ঝুঁকিতে ১৩০০ মার্কেট ও বাণিজ্যিক ভবন
‘অতিঝুঁকিপূর্ণ’ ৪৫০ মার্কেট কর্তৃপক্ষ ও ভবন মালিকদের কাছে যাচ্ছে সতর্কবার্তা
রাজধানীতে আগুনের ঝুঁকিতে আছে এমন মার্কেট, শপিংমল ও বাণিজ্যিক ভবনের তালিকা করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ। এই তালিকায় নামিদামি শপিংমলসহ স্থান পেয়েছে ১ হাজার ৩০৫টি মার্কেট ও ভবন। এর মধ্যে ‘অতিঝুঁকিপূর্ণ’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে ৪৫০টি। এসব মার্কেট কর্তৃপক্ষ ও ভবন মালিকদের কাছে সতর্কবার্তা পাঠাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। তবে আইনি দুর্বলতার কারণে সংস্থাটি কারও বিরুদ্ধে তেমন কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারে না।এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করা সরকারি এই সংস্থার তালিকাকে গৎবাঁধা আখ্যা দিয়েছেন অনেক মার্কেট পরিচালনা কমিটির নেতারা। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, বড় আগুনের ঘটনা ঘটলেই এ নিয়ে হইচই শুরু হয়। সময়ের ব্যবধানে থেমে যায় সবকিছু। অগ্নিঝুঁকি মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থা নেয় না কেউ। মঙ্গলবার বঙ্গবাজারে স্মরণকালের ভয়াবহ আগুনে আটটি মার্কেট পুড়ে ছাড়খার হয়ে যাওয়ার বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’। তাই কিছুটা নড়েচড়ে বসেছে সব মহল। বৃহস্পতিবার একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি প্রতিনিধি দল গাউছিয়া মার্কেট পরিদর্শন করেছে। পর্যায়ক্রমে ঝুঁকিপূর্ণ সব মার্কেট পরিদর্শনের পর সবাইকে সতর্কবার্তা পাঠানো হবে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, ফায়ার সার্ভিস অন্তত ৪৫০টি মার্কেট ও ভবনের তালিকা নিয়ে মাঠে কাজ করবে। এই তালিকায় গাউছিয়া মার্কেট, নূর ম্যানশন, রাজধানী সুপার মার্কেট, কাওরান বাজারের কিচেন মার্কেট, লিলি প্লাজা, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটের নামও রয়েছে। যুগান্তর
বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি কমছেই
বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি কমছেই। টানা ছয় মাস ধরে কমছে দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক। দুই বছরের করোনা মহামারির ধকল কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল বাংলাদেশের অর্থনীতি। স্বপ্নের পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু কর্ণফুলী টানেল ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোকে ঘিরে দেশে বিনিয়োগের একটি আবহ তৈরি হয়েছিল। যার প্রভাব পড়েছিল বিনিয়োগ বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান নিয়ামক বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধিতে; বাড়তে বাড়তে গত বছরের আগস্টে ১৪ শতাংশ ছাড়িয়ে এই প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশে উঠেছিল। এর পর থেকে কমছেই। সর্বশেষ ফেব্রুয়ারি মাসে ১২ দশমিক ১৪ শতাংশে নেমে এসেছে। করোনার ধাক্কা কাটতে না কাটতেই এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিকেও বেশ চাপের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। আমদানি খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর সূচক বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ কমতে কমতে ৪৮ বিলিয়ন ডলার থেকে ৩১ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নানা পদক্ষেপে আমদানি ব্যয়ের লাগাম টেনে ধরা গেছে ঠিকই। সূত্র; দৈনিক বাংলা
বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে ‘বোট পিপল’ আরো বেড়েছে-ইউরোপে অভিবাসনের উদ্দেশ্যে ছোট নৌকা বা ভেলায় করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়াকে বলা হয় বোট মাইগ্রেশন। আর এভাবে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা পরিচিত ‘বোট পিপল’ হিসেবে। বিপত্সংকুল এ পন্থায় গত বছর ইতালিতে পৌঁছেছেন ১৫ হাজারের বেশি বাংলাদেশী। অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ এ উপায়ে অভিবাসী গমন ঠেকাতে নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা। এর পরও ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী ইউরোপীয় দেশগুলোয় বাংলাদেশী বোট পিপল গমনের সংখ্যা কমছে না। বরং গত বছর শুধু ইতালিতেই বাংলাদেশী বোট পিপল গমনের হার বেড়েছে ৯৪ শতাংশের বেশি। ইতালিতে বাংলাদেশীদের ভূমধ্যসাগরীয় রুটে অবৈধ অভিবাসন নিয়ে মার্চে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম)। ‘মাইগ্রেশন ফ্রম বাংলাদেশ টু ইতালি ভায়া লিবিয়া’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে উঠে আসে, এ পথ পাড়ি দেয়া অভিবাসন প্রত্যাশীদের মধ্যে বাংলাদেশীর হার এখন দিনে দিনে বেড়ে চলেছে। ২০১৯ সালেও এমন অভিবাসন প্রত্যাশীদের মধ্যে বাংলাদেশীর হার ছিল ৬ শতাংশ। ২০২১ সাল শেষে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১০ শতাংশে। প্রায় দ্বিগুণ হয়ে এ হার গত বছর শেষে দাঁড়িয়েছে ১৯ শতাংশে।বর্তমানে ইতালিতে সমুদ্রপথে অবৈধ অভিবাসনের সবচেয়ে বড় ট্রানজিট পয়েন্ট হয়ে উঠেছে আফ্রিকার গৃহযুদ্ধ বিপর্যস্ত দেশ লিবিয়া। অভিবাসনপ্রত্যাশীরা শুরুতে দেশটিতে পাড়ি জমাচ্ছেন তুরস্ক, মিসর বা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ হয়ে। এর পর সেখান থেকে নৌকায় করে ঝঞ্ঝাক্ষুব্ধ ভূমধ্যসাগরের ওপর দিয়ে রওনা দিচ্ছেন ইতালির দিকে। আইওএমের হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সালে ইতালিতে এ পথ ধরে প্রবেশ করেছেন ১৫ হাজার ২২৮ বাংলাদেশী। আগের বছর এ সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৮২৮। সে হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে ইতালিতে বাংলাদেশী বোট পিপল গমনের সংখ্যা বেড়েছে ৯৪ দশমিক ২৮ শতাংশ। বর্তমানে ইতালিমুখী বোট পিপলের উৎস দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়।
এসব বাংলাদেশীর অধিকাংশই পূর্বাঞ্চলীয় ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলোর বাসিন্দা। বিশেষ করে কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর, মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, হবিগঞ্জ, সিলেট ও মৌলভীবাজারের অনেক বাসিন্দা এখন লিবিয়া উপকূল ধরে নৌপথে ইউরোপের উদ্দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। এর বাইরেও তাদের মধ্যে বড় একটি অংশ আসে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা যশোর থেকে। সূত্র: বণিক বার্তা ।
সিটি কর্পোরেশনের উপর আস্থাহীনতার কারণেই মার্কেট ছাড়েনি বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা
গত মঙ্গলবারের অগ্নিকাণ্ডে আমিন পাটওয়ারির তিনটি দোকানের মধ্যে দুটি মালামালসহ সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। মহানগর মার্কেটর তার্’তোহা ফ্যাশনে’র মালামাল অধিকাংশই বাঁচাতে পেরেছিলেন কিন্তু অর্ধেরেকরও বেশি পানিতে নষ্ট ও চুরি হয়ে যায়। এ মার্কেট গড়ে ওঠার শুরুর সময় ২০০১ সাল থেকে তিনি ব্যবসা করে আসছিলেন।১৯৯৭ সালে গুলিস্তানের পুরাতন বাজার হকার্স মার্কেটে (পোড়া মার্কেট) তখন সাড়ে চার লাখ টাকার বিনিময়ে দুটি দোকান নেন তিনি। পরবর্তীতে মার্কেটটি পুড়ে যাওয়ার পরে ২০০৭ সালের দিকে নতুন করে মার্কেট নির্মাণ শুরু হওয়ার পরে এখনও তার কোনো দোকান বুঝে পাননি।আমিন পাটওয়ারি বলেন, “সিটি কর্পোরেশন আমার ১৯৯৭ সালের দোকানই এখনও বুঝিয়ে দিতে পারেনি, আর পারবে কিনা সেটাও সন্দেহ। এরপরেও কোন বিশ্বাসে সিটি কর্পোরেশনের কাছে নিজেদের মার্কেট ছেড়ে দিবো? মার্কেট তৈরী করে দেওয়ার নাম করে ১০/১২ বছর ফেলে রাখে আবার কাজ শেষ হলে বরাদ্দ পায় দলীয় নেতারা। এটা ভেবেই আমরা বঙ্গবাজারের মার্কেট ছাড়িনি সিটি কর্পোরেশনের কাছে।”তিনি বলেন, “আমার আদর্শ মার্কেটের একটি দোকানে ৭/৮ লাখ টাকার পণ্য ছিল, কিছুই বের করতে পারিনি। এখানে একটি দোকান ২০০৫ সালে এবং আর একটি ২০১৬ সালে কিনি। ২০১৬ সালেরটা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে নেই। প্রতিটি তৈরী করতে দুই লাখ করে খরচ হয়।” সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
বঙ্গবাজারের আগুন পুরোপুরি নিভল ৭৫ ঘণ্টা পর
রাজধানীর বঙ্গবাজারে গত মঙ্গলবার ভোরে যে আগুন লেগেছিল, তা শুক্রবার সকালে পুরোপুরি নির্বাপণ করার কথা জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।এ বাহিনীর উপসহকারী পরিচালক শাহজাহান সিকদার বলেন, “আজ সকাল সাড়ে ৯টায় সব প্রক্রিয়া শেষে বঙ্গবাজারের আগুন নির্বাপণ সম্পন্ন হয়েছে।” আগুন লাগার পর নিরাপত্তার কথা ভেবে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছিল। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎও ফিরতে শুরু করেছে। দেশের অন্যতম বড় কাপড়ের মার্কেট বঙ্গবাজারে মঙ্গলবার সকাল ৬টা আগুন লাগার পর দুই মিনিটের মধ্যে সেখানে ফায়ার সার্ভিস পৌঁছে গেলেও ‘সর্বনাশ’ ঠেকানো যায়নি। বাতাসের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে টিন ও কাঠ দিয়ে তৈরি দোকানগুলোয়।বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আগুনের ভয়াব্হতা বাড়ে এবং ফায়ার সার্ভিসও তাদের ইউনিটের সংখ্যা বাড়াতে থাকে। বিমান বাহিনী ও সেনাবাহিনীও যোগ দেয় সেই কাজে, ছিল পুলিশ, র্যাব এবং আনসারও। পানি ছিটাতে থাকে হেলিকপ্টারও।আগুনে বঙ্গবাজার মার্কেট, মহানগর মার্কেট, আদর্শ মার্কেট ও গুলিস্তান মার্কেট পুরোপুরি ভষ্মীভূত হয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয় পাশের এনেক্সকো টাওয়ার এবং আরও কিছু ভবন। সূত্র: বিডি নিউজ
আকাশপথে ঈদযাত্রা
অভ্যন্তরীণ রুটে ৭০ শতাংশ টিকিট শেষ, আগ্রহ কম আন্তর্জাতিকে
# সৈয়দপুর, যশোর, রাজশাহী ও বরিশালে টিকিটের চাহিদা বেশি
# ঈদের পর কক্সবাজারে টিকিটের চাপ
# টিকিটের দাম বাড়ায় আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে পর্যটকদের চাহিদা কম
ঈদযাত্রায় গত কয়েক বছর ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আকাশপথে যাত্রা। সড়ক, নৌ ও রেলপথের সীমাহীন ভোগান্তি এড়াতে উড়োজাহাজে ঝুঁকছেন যাত্রীরা। ঈদুল ফিতর সামনে রেখে এরই মধ্যে ৭০ শতাংশ টিকিট অগ্রিম বিক্রি হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে এয়ারলাইন্সগুলো। সময় যত ঘনিয়ে আসছে টিকিটের দামও তত বাড়ছে। চাহিদার শীর্ষে রয়েছে সৈয়দপুর, যশোর, রাজশাহী ও বরিশালের টিকিট। তবে আগ্রহ কম আন্তর্জাতিক রুটের। দেশে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনাকারী এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যাত্রী চাহিদা বাড়লে অভ্যন্তরীণ রুটের বিভিন্ন গন্তব্যে ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তুতি রয়েছে তাদের। ঈদের পাঁচ-সাতদিন আগে ফ্লাইটের এ চাহিদা বোঝা যাবে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার ঈদের ছুটিতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের চাহিদা কম। অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট-এখন রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা, নভোএয়ার ও এয়ার অ্যাস্ট্রা দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এয়ারলাইন্সগুলো দিনে প্রায় সাত হাজার যাত্রী বহন করে। এর মধ্যে আসন্ন ঈদুল ফিতরে নীলফামারীর সৈয়দপুর, যশোর, রাজশাহী ও বরিশালের টিকিটের চাহিদা বেশি। চট্টগ্রাম ও সিলেটে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় টিকিটের চাহিদা কিছুটা বাড়ছে। যাত্রী চাহিদা না থাকায় ঈদের আগে ফ্লাইট কমছে কক্সবাজারে। তবে ঈদের পর টানা এক সপ্তাহ কক্সবাজারে টিকিটের চাহিদা কয়েকগুণ বাড়ছে। সূত্র; জাগো নিউজ
আওয়ামী লীগ নির্বাচনকে সামনে রেখে যেভাবে এগুচ্ছে
বাংলাদেশে চলতি বছরের শেষ কিংবা আগামী বছরের প্রথমে অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলকে প্রস্তুত করার পাশাপাশি নির্বাচনের জন্য কৌশল নির্ধারণের কাজ শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।দলটির সিনিয়র নেতারা বলছেন, দলকে প্রস্তুত করার অংশ হিসেবে একাধিক তৎপরতা এখন চলছে যার মূল উদ্দেশ্য হলো মাঠ পর্যায়ে কর্মী ও সমর্থকদের চাঙ্গা করে নির্বাচনের আবহ তৈরি করা। এটি করতে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে স্থানীয় পর্যায়ে নেতাদের মধ্যে কোন্দল নিরসনের ওপর। একই সঙ্গে নানা ঘটনায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। সে কারণে দল ও সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারের কৌশলও নিয়েছে দলটি।পাশাপাশি প্রভাবশালী দেশ ও সংস্থাগুলোর সাথে নিবিড় যোগাযোগের মাধ্যমে ‘চাপ মোকাবেলা’র চেষ্টাও চলছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো বেশ কিছুদিন ধরেই আগামী নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে নানা ধরণের বিবৃতি দিয়ে আসছে।বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর তরফ থেকে নানা বার্তা আসছে। তাদের এসব তৎপরতা ক্ষমতাসীনদের উপর চাপ তৈরি করছে বলে অনেকে মনে করেন।
যদিও সরকার কখনো এ ধরণের চাপের কথা স্বীকার করেনি। সূত্র: বিবিসি বাংলা।