Print

সারাদিন

আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

প্রকাশিত: ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৯, ২০২৩

সারাদিন ডেস্ক

অবশেষে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির সব বইয়ের সংশোধনী দিল এনসিটিবি

নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে প্রণয়ন করা ২০২৩ সালের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির সবগুলো বইয়ের ভুলভ্রান্তির সংশোধনী দিল জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা-সমালোচনার পর শিক্ষাবর্ষের চার মাসের মাথায় সংশোধনীগুলো এনসিটিবির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। ওয়েবসাইটে দেওয়া সংশোধনীতে দেখা যায়, প্রতিটি বিষয়ের জন্য আলাদাভাবে এই সংশোধনী দেওয়া হয়েছে। কোন পৃষ্ঠায় ভুলগুলো কী ছিল, সেটি উল্লেখ করে সংশোধনীগুলো কী কী হবে তা, উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি করণীয় সম্পর্কে মন্তব্যও করা হয়েছে। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে ১৩টি করে মোট ২৬টি বইয়ে এসব সংশোধনী আনা হয়েছে।উল্লেখ্য, নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থীকে ১০টি বই পড়তে হয়। বিভিন্ন ধর্মের বই মিলিয়ে প্রতিটি শ্রেণিতে মোট বই ১৩টি।
ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির সব কটি বইয়েরই ভুল-অসংগতিগুলোর সংশোধনী দিচ্ছে এনসিটিবি
গত ১ জানুয়ারি থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আগামী বছর থেকে অন্যান্য শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হবে। নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠ্যবই বদলে যাচ্ছে। যদিও বিতর্কের মুখে গত ১০ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির জন্য প্রণীত ‘ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ’ পাঠ্যপুস্তক দুটি প্রত্যাহার করে নেয় এনসিটিবি। সূত্র: প্রথম আলো

পাঠ্য বইয়ে ৪২৮ ভুল সংশোধন আরো হচ্ছে
চলতি শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে ৪২৮টি ভুলের সংশোধন করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ২০২টি এবং সপ্তম শ্রেণিতে ২২৬টি ভুল সংশোধন করা হয়। দুই শ্রেণির ইংরেজি সংস্করণের (ভার্সন) বিভিন্ন বইয়ে ৮৫টি ভুল সংশোধন করা হয়েছে। এ ছাড়া ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য বিশদ আকারে সংশোধনের কাজ চলছে। গতকাল শুক্রবার এনসিটিবির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, দুটি শ্রেণিতেই ‘ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান’ অনুশীলন বইয়ে সবচেয়ে বেশি ভুল ছিল। এর আগে বইটি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার কারণে দুটি শ্রেণি থেকেই বইটির অনুসন্ধানী পাঠ প্রত্যাহার করে এনসিটিবি।
ওই দুই শ্রেণির বিভিন্ন বইয়ে বাক্য শেষ না হওয়া, কোথাও একটি লাইন না থাকা, ভুল শব্দ, বানান, বাক্য, ব্যাকরণ ও ক্রম ভুল থাকা, এ ছাড়া কোথাও কোথাও নতুন লাইন যুক্ত করা, এক পৃষ্ঠা থেকে ছক অন্য পৃষ্ঠায় নেওয়া, ছবির ব্যবহার, পুনরাবৃত্তি থাকায় লাইন বাদ দেওয়াসহ বিভিন্ন ত্রুটির সংশোধন করা হয়।সংশোধনে দেখা যায়, ষষ্ঠ শ্রেণির বিভিন্ন বইয়ে শব্দ ও বানানগত ভুলসহ নানা কারণে মোট ২০২টি পরিবর্তন আনা হয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি বইয়ে বাংলাদেশের মানচিত্রে ময়মনসিংহ বিভাগটি ভুলক্রমে বাদ পড়েছিল। তা সংশোধন করা হয়েছে। এ ছাড়া ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে ৭১টি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ে ৩৬টি, ইংরেজি বইয়ে ৩৫টি, জীবন ও জীবিকা বইয়ে ১৫টি, বিজ্ঞানে সাতটি, গণিতে পাঁচটি, বাংলা বইয়ে চারটি, শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ে পাঁচটি, ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে সাতটি ও হিন্দু ধর্ম শিক্ষা বইয়ে ১৬টি ভুল সংশোধন করা হয়েছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

হাই- টেক পার্ক খুঁড়িয়ে চলছে

আগামী দিনে তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) খাতকে রপ্তানি আয়ের অন্যতম উৎস হিসেবে দেখতে চায় সরকার। ২০২৫ সালের মধ্যে এই খাত থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্য। তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে জেলায় জেলায় নেওয়া হয়েছে হাই-টেক পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে ১০টি পার্কের কার্যক্রম। তবে পার্কগুলোতে তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক কার্যপরিধি একেবারেই কম। জুতসই পরিবেশ না থাকায় অনেক প্রতিষ্ঠান পার্ক থেকে গুটিয়ে নিয়েছে তাদের কার্যক্রম। কেউ কেউ আবার পার্কে বরাদ্দ নিয়েও শুরু করেনি কর্মকাণ্ড। পার্কে চালু থাকা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কল সেন্টার আর ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানাই বেশি। দক্ষ জনবল সংকটে ধুঁকছে চালু প্রতিষ্ঠানগুলো। অনেক পার্ক অস্তিত্ব টেকাতে হোটেল-রিসোর্ট ব্যবসার দিকে ঝুঁকছে। তথ্যপ্রযুক্তির বাজার বিকশিত করতে স্থাপিত পার্কগুলো মূলত প্রশিক্ষণকাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। যে ১০ পার্ক চালু-এরই মধ্যে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি, যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক ও শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার, চট্টগ্রামে শেখ জামাল সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, নাটোরে শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার, বরিশালে শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্ক এবং চুয়েট ও কুয়েটে আইটি ইনকিউবেটর চালু হয়েছে। পাশাপাশি ভারতের সহায়তায় ১২ জেলায় ১২টি এবং সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ১১ জেলায় ১১টি হাই-টেক পার্কের নির্মাণকাজ চলছে। আরও ৩৪ জেলায় পার্ক করার পরিকল্পনা চলমান। হাই-টেক পার্কগুলোতে এরই মধ্যে প্রায় ২০০ প্রতিষ্ঠানকে জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সূত্র: সমকাল

আ.লীগের দেখা দেখানোর মিশন
বরিশাল, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও গাজীপুর এ পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জন্য এবারও গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে আগেই গত দুবার এ পাঁচ সিটির নির্বাচন হয়েছে। এবারও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগমুহূর্তে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এবার পরিস্থিতি ভিন্ন, জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার চাপ আছে দেশের ভেতর ও বিদেশিদের কাছ থেকে। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা তাই সংসদ নির্বাচনের আগে নিজেদের শক্তি পরখ করার পাশাপাশি এটা দেখাতে চান যে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়। আর তাই বিএনপির নিরপেক্ষ সরকারের দাবি অযৌক্তিক।সরকারবিরোধী মাঠের সবচেয়ে বড় দল বিএনপি গত আগস্ট থেকে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। গত ডিসেম্বরে দলটির সাত সংসদ সদস্য পদত্যাগ করেন। এর আগে নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিএনপির আন্দোলনের মধ্যে ২০১৩ সালে দলের শক্তির ওপর নির্ভর করে ওই পাঁচ সিটির নির্বাচন করতে গিয়ে পরাজিত হয় আওয়ামী লীগ। ওই সময় দলের শক্তি পরীক্ষার পাশাপাশি দলীয় সরকারের অধীনে যে নির্বাচন সুষ্ঠু করা সম্ভব তা দেশি-বিদেশিদের দেখাতে সক্ষম হয়েছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু বিএনপি ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে আসেনি। সূত্র: দেশ রুপান্তর

Nagad
Nagad

সুদানে আটকেপড়াদের খোঁজখবর নেওয়ার কেউ নেই
বাংলাদেশিরা বড় অসহায়
হাতে টাকা নেই, ঘরে খাবার নেই। অনাহারে অর্ধাহারে দিন যাচ্ছে * নেবে নেবে করেও টালবাহানা করছে খার্তুম দূতাবাস। আটকা ২ হাজারের বেশি বাংলাদেশি * নাগরিকদের ডেঞ্জার জোনে রেখে সপরিবারে পোর্ট সুদানের নিরাপদ হোটেলে দূতাবাস কর্মীরা- সুদানের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। তার চেয়ে বেশি খারাপ আমাদের। বিশেষ করে আমরা যারা খার্তুমে আছি। দেশের মঞ্চ কাঁপানো বক্তব্যে আমরা রেমিট্যান্স যোদ্ধা, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ বৃদ্ধির কারিগর, দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। রাজনীতিবিদ, সুধীপাড়া, বুদ্ধিজনদের মুখে বুকের ছাতি চওড়া হয়ে যাওয়া জমকালো সব মন্ত্রমুগ্ধ বাণীর ফোয়ারা ছুটলেও বিদেশ-বিভুঁইয়ে বিপদে পড়লে স্বদেশের টিকিটিও চোখে পড়ে না। উলটো করছি-করব-দেখছি বলে শুরু হয় সোনামণিদের মনভোলানো টালবাহানা। সেনা-আধা সেনা লড়াইয়ে সুদানের মৃত্যুপুরী খার্তুম থেকে বাঙালিদের নিরাপদে দেশে ফেরা বন্দোবস্ত নিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের সেই ‘হাওয়াই মিঠাই’ জুটছে আমাদের প্রবাসীদের পোড়া কপালে! তল্পিতল্পা গুছিয়ে বড় অসহায় অবস্থায় বসে আছি আমরা বাংলাদেশিরা-দূতাবাসের দেখা নেই। গড়পড়তা হিসাবে সুদানে প্রায় ২-৩ হাজার বাঙালি। এর মধ্যে ৬০০ জন মাত্র নিবন্ধিত হয়েছে খার্তুমের বাংলাদেশ দূতাবাসের দেশে ফেরার তালিকায়। সেটাও শোনা কথা। ১৫ এপ্রিল যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রত্যাবাসন আয়োজন দূরের কথা, বসবাসের জন্য ‘ডেঞ্জার জোন’ হয়ে ওঠা খার্তুম থেকে সরিয়ে নেওয়ার কোনো পদক্ষেপ নেই আমাদের দূতাবাসের। অথচ আমাদেরই চোখের সামনে দিয়ে খার্তুমে থাকা সব বিদেশি নাগরিকদেরই সরিয়ে নিয়ে গেছে তাদের নিজ নিজ দেশগুলো। শুধু বাংলাদেশিরাই পড়ে আছে!দেশের প্রবাসী দরদিদের অনেকেরই হয়তো গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠছে! শুনতে অপ্রিয় হলেও এটাই আমাদের নিষ্ঠুর সত্যি। শুধু আমরাই পড়ে আছি। রক্তাক্ত শরীর, খালি পেট, পলকে পলকে মৃত্যুভয় আর চোখ ভরা হতাশা নিয়ে তাকিয়ে আছি দিনের পর দিন-কখন সুমতি ফেরে আমাদের খার্তুম দূতাবাসের। কখন মনে হয় তাদের-পেটের দায়ে বিদেশে পড়ে থাকলেও আমরাও বাংলাদেশের মানুষ। তাদের দেশেরই নাগরিক। সূত্র: যুগান্তর

দলীয় কোন্দল, স্বতন্ত্র আবরণে বিএনপি
সিটিতে চ্যালেঞ্জে নৌকার প্রার্থী
♦ গাজীপুরে ভোটের হিসাব নিয়ে নতুন আলোচনা ♦ বিশেষ দৃষ্টি বরিশালে ♦ মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মান ভাঙাতে ব্যস্ত প্রার্থীরা

আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু না হলেও সরগরম পাঁচ সিটি করপোরেশন এলাকা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গাজীপুর, সিলেট, বরিশাল, রাজশাহী ও খুলনা সিটি ভোটকে ধরা হচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মহড়া। নির্বাচন কমিশনকে দিতে হবে নিরপেক্ষতার পরীক্ষা। আবার আওয়ামী লীগকে বিজয়ী হয়ে দিতে হবে জনপ্রিয়তা ধরে রাখার পরীক্ষা। আসন্ন এ সিটি ভোটে চ্যালেঞ্জে পড়েছেন নৌকার প্রার্থীরা। মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই প্রার্থীরা ছুটে চলেছেন অবিরাম। জয়ের পথে বাধা হতে পারে দলীয় কোন্দল। টানা ১৪ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় জেলা-উপজেলা, মহানগরে আওয়ামী লীগের কোন্দল, উপকোন্দল সৃষ্টি হয়েছে। একাধিক ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে দল। কোথাও কোথাও এমন পরিস্থিতি যেন আওয়ামী লীগই আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ।২৫ মে গাজীপুর, ১২ জুন খুলনা ও বরিশাল এবং ২১ জুন রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনে ভোট গ্রহণ করা হবে। গাজীপুর সিটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান, খুলনায় তালুকদার আবদুল খালেক, বরিশালে আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাত, রাজশাহীতে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন আর সিলেটে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এসব সিটিতে বিএনপি দলীয়ভাবে ভোটে অংশ নিচ্ছে না। ভোট বর্জন করে দলটি প্রমাণ করতে চায় তাদের ছাড়া বাংলাদেশে কোনো অর্থবহ অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। কিন্তু দলটির স্থানীয় নেতারা হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। গাজীপুরে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির অঙ্গসংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত গাজীপুরের সরকার পরিবারের সদস্য সরকার শাহনূর ইসলাম রনি। তিনি বিএনপির সাবেক এমপি হাসান উদ্দিন সরকারের ভাতিজা এবং আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কারাবন্দি নূরুল ইসলাম সরকারের ছেলে। সিটি নির্বাচনের আগে রনির চাচা হাসান সরকার ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘আওয়ামী লীগকে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেওয়া হবে না। দল সিদ্ধান্ত না নিলেও এ নির্বাচনে আমরা কৌশল গ্রহণ করব।’ ভাতিজাকে প্রার্থী করার মধ্য দিয়ে তাঁর কৌশল পরিষ্কার হয়েছে। রনি সরকারের বাবা নূরুল ইসলাম সরকার ছিলেন নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খানের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। টঙ্গী পৌরসভা নির্বাচনে বারবার আজমতের কাছে পরাজিত হয়েছেন তিনি। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

গাইবান্ধায় অপরাধ লাগামহীন: ছিনতাই, হত্যা ও ধর্ষণে জনজীবনে আতঙ্ক

গাইবান্ধার সাত উপজেলায় চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ১২টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ইজিবাইক ছিনতাই করতে গিয়ে হত্যা করা হয় তিনজনকে। এ ছাড়া জেলাজুড়ে ধর্ষণসহ নারী ও শিশু নির্যাতনের হার আশঙ্কাজনক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং নীতি-নৈতিকতা ও ধর্মীয় অনুশাসনের অভাবেই প্রতিনিয়ত অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। তবে পুলিশের দাবি, অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে আনতে সর্বোচ্চ পেশাদারত্বের পরিচয় দিচ্ছে তারা। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের জুডিশিয়াল মুন্সিখানার (জেএম) পরিসংখ্যান বলছে, গাইবান্ধায় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত খুনের ঘটনা ঘটেছে ১২টি। এ সময়ে ২১টি চুরির ঘটনার সঙ্গে রয়েছে একটি ডাকাতিও। অন্যদিকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেল (ওসিসি) সূত্র জানায়, একই সময়ে জেলায় ধর্ষণ হয়েছে ৩৬টি। এর বাইরেও শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৪১টি। সবগুলো ঘটনাতেই মামলা করেছেন ভুক্তভোগী কিংবা তাদের স্বজনরা। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনার উজানে বাঁধ নির্মাণ ও পানি প্রত্যাহার
দেশের নদীগুলো পলিপ্রবাহ হারাতে পারে ৮৮%

বিশ্বের বৃহত্তম নদীব্যবস্থা গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা (জিবিএম)। এ ব্যবস্থার আওতাভুক্ত নদী-উপনদী-শাখানদীগুলো দিয়ে প্রতি বছর উজান থেকে আসা পলি প্রবাহিত হয় ১০০ কোটি টনেরও বেশি। জোয়ার-ভাটানির্ভর প্রতিবেশ ব্যবস্থায় এ পলিপ্রবাহের মাধ্যমেই নির্মাণ হয়েছে জিবিএম অববাহিকার ভূতাত্ত্বিক গঠন। বর্তমানে এ পলিপ্রবাহের স্বাভাবিকতায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে নদীগুলোর উজানে ভারত ও চীনের একের পর এক বাঁধ নির্মাণ। সামনের দিনগুলোয়ও আরো বাঁধ নির্মাণের পাশাপাশি আন্তঃনদী সংযোগের মাধ্যমে নদীগুলোর পানি সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে দেশ দুটির। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে ভাটিতে বাংলাদেশে পানি ও পলিপ্রবাহ বিপুল মাত্রায় কমে আসবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের ভাষ্যমতে, ভারত ও চীনে এসব বাঁধ নির্মাণ এবং আন্তঃনদীসংযোগ প্রকল্পের কারণে ব্যাপক মাত্রায় পানি ও পলিপ্রবাহ হারাবে বাংলাদেশের নদীগুলো। উচ্চতা বাড়বে সমুদ্রপৃষ্ঠের। আরো নিচু হয়ে পড়বে বাংলাদেশের ভূমি। সূত্র: বণিক বার্তা।

পাট, হোগলা, কচুরিপানার পণ্য যাচ্ছে ২৬ দেশে
রাজবাড়ী সদরে ‘পরিবেশবান্ধব’ কারখানায় পাট, কচুরিপানা, হোগলা পাতা ও খড় দিয়ে তৈরি হচ্ছে প্রায় একশ পণ্য। ব্যাপক চাহিদা থাকায় সেগুলো রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের ২৬টি দেশে।প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে জড়িত প্রায় দুই হাজার শ্রমিক হয়ে উঠেছেন আত্মনির্ভরশীল; যাদের অধিকাংশই নারী। এতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পাশাপাশি গ্রামীণ নারীরাও কাজের সুযোগ পাচ্ছেন। সরজমিনে সদর উপজেলার ভবদিয়া গ্রামের ‘গোল্ডেন জুট প্রোডাক্টস’ কারখানায় গিয়ে দেখা গেছে, পাট, কচুরিপানা, হোগলা পাতা ও খড় দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে নার্সারি পট, ফ্লোর ম্যাট, প্লেস ম্যাট, বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ, ঝুড়ি, টিফিন বক্স, পেট হাউস, টিস্যু বক্স, ফাইল বক্স, ট্রে, ফুল ঝুড়িসহ বিভিন্ন ধরনের পরিবেশবান্ধব পণ‍্য। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বেশিরভাগ শ্রমিক হতদরিদ্র নারী। এক সময় যাদের দিন কেটেছে অর্থকষ্টে। এখানে নিয়োগ পাওয়ার পর তাদের অনেকেরই ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে। এ ছাড়া কাজ করছেন প্রতিবন্ধী ও বিধবারাও। সূত্র: বিডি নিউজ