প্রকাশিত: ১০:৫৬ অপরাহ্ণ, মে ৪, ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক:
আপিল করেও গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি) নির্বাচনে মনোনয়ন পাননি সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। রিটার্নিং কর্মকর্তার বাতিলের পর আপিলেও সেই আদেশ বহাল রেখেছে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) বিকেলে আপিলের শুনানি শেষে বাতিলের আদেশ দিয়েছেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শুনানিতে অংশ নেওয়া রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রতিনিধি ও সিটি নির্বাচনে মিডিয়ার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মঞ্জুর হোসেন খান।
তবে, জাহাঙ্গীর আলম এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
মঞ্জুর হোসেন খান বলেন, মঙ্গলবার বাছাইয়ে বাদ পড়া মোট সাত প্রার্থী আপিল করেন। এদের মধ্যে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম, একজন সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও পাঁচজন সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন। আপিলের শুনানিতে দুজন আইনজীবীসহ জাহাঙ্গীর আলম নিজে উপস্থিত ছিলেন। তারা পুনরায় তফসিলিকরণের জন্য টাকা জমা দেওয়া এবং জামিনদার খেলাপি হয় না বলে দাবি করেন। কিন্তু শুনানিতে উপস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি জানান, আপিলকারী গণ ব্যাংকের আইন অনুযায়ী এখনো ঋণ খেলাপি। জাহাঙ্গীর আলম যে প্রতিষ্ঠানের ঋণের জামিনদার সে ঋণ এখনো পুনরায় তফসিলিকরণ হয়নি। পরে ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্য প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় ঋণ খেলাপি ছিলেন। তাই তারা পরে টাকা জমা দিলেও তারা খেলাপি।
এর আগে, গত ৩০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম মেয়র পদে জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। তবে তার মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
একটি খেলাপি ঋণগ্রহীতার জামিনদার হওয়ার কারণে জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়ন বাতিল করেন গাজীপুর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম।
ওই সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, যেই ঋণখেলাপির অভিযোগে তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল হয়েছে, সেই ব্যাংক ঋণ তিনি পরিশোধ করে দিয়েছেন। তিনি রহিমের বিপরীতে জামিনদার ছিলেন। এ সময় ব্যাংকের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংক কর্মকর্তারা ঋণ পরিশোধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।