Print

সারাদিন

চড়া দামে দারুণ বিপাকে সাধারণ মানুষ, অস্বস্তি বাড়ছেই

প্রকাশিত: ১:০২ অপরাহ্ণ, মে ১২, ২০২৩

সারাদিন ডেস্ক

বাজারে মাছ-মাংস, শাক-সবজি, তেল, চিনি থেকে শুরু করে প্রায় সব পণ্যের চড়া দামে দারুণ বিপাকে সাধারণ মানুষ। বিশেষত নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ বেশি বেকায়দায়। বাধ্য হয়ে পণ্য কেনার পরিমাণ কমিয়ে দিচ্ছেন তারা। সাধ্যের মধ্যে ভরছে না তাদের বাজারের ব্যাগ।

শুক্রবার (১২মে) রাজধানীর তালতলাসহ রামপুরা, মালিবাগ ও শান্তিনগর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগে থেকে চড়া দামের অনেক পণ্যের দাম নতুন করে আরও বাড়ছে। এসব পণ্যের সহসা দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। তাই অস্বস্তি নিয়ে বাজার থেকে ফিরছেন ক্রেতারা।

গত দু-তিন দিনের ব্যবধানে নতুন করে সবজির দাম আরও বেড়েছে। তাতে এখন বাজারে প্রতি কেজি বেগুন, পটল, মুলা, বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, ঝিঙে, ধুন্দল, করলা, কাকরোল, বরবটি, ভেন্ডি, চিচিঙ্গা ৮০-১০০ টাকা, সজনে ১২০-১৪০ টাকায়।

বাজারে ২২০ টাকা কেজির কমে তেলাপিয়া বা পাঙ্গাস মাছও কিনতে পারছেন না ক্রেতারা। চাষের রুই-কাতলা বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৩৫০ টাকায়। আর দেশি উন্মুক্ত জলাশয়ের শিং, টেংরা, বোয়াল খেতে গুনতে হচ্ছে কেজিপ্রতি ৮০০ টাকা পর্যন্ত।

অন্যদিকে বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৩০ টাকার মধ্যে। আর প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম ১৪০ টাকা। এছাড়া গরুর মাংস ৮০০ টাকা ও খাসির মাংস ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। অর্থাৎ, এখন ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও মাংসের দাম বছরের অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি।

গতকাল বৃহস্পতিবার খোলা চিনির দাম কেজিপ্রতি ১৬ টাকা বাড়িয়ে ১২০ টাকা নির্ধারণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আর প্যাকেটজাত চিনির কেজি ১২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে আগে থেকে অস্থির চিনির বাজার আরও অস্থিতিশীল হয়েছে। ১৪৫-১৫০ টাকার কম কোথাও খোলা চিনি মিলছে না। আর বাজারে প্যাকেটজাত চিনিতো কয়েক সপ্তাহ ধরেই উধাও।

Nagad
Nagad

ঠিক এক সপ্তাহ আগেই বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়। যা আগে ছিল ১৮৭ টাকা। তবে নতুন দামের তেল এখনো আসেনি সবখানে। কিন্তু পুরোনো দাম লেখা মোড়কের বোতলও বাজারে বিক্রি হচ্ছে নতুন দামে। এ ছাড়া আটা, ময়দা ও ডালের দাম নতুন করে না বাড়লেও সেগুলো বেশ আগেই বেড়ে বছরের অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

মসলার বাজারে নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম। ঈদের পর থেকে প্রতিকেজি পেঁয়াজে ৩০-৩৫ টাকা বেড়ে এখন ৭০ টাকায় ঠেকেছে। যা দুদিন আগেও ৬০-৬৫ টাকা ছিল। এ ছাড়া প্রতিকেজি আদা কিনতে গুনতে হচ্ছে ৩০০ টাকার বেশি দিয়ে। যা গত বছর একই সময় ছিল ৯০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে। অর্থাৎ, বছরের ব্যবধানে এখন আদার দাম তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। আমদানি করা চীনা রসুনের কেজি ২০ টাকা ৩০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা।