Print

সারাদিন

আজকের দিনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

প্রকাশিত: ১২:৩৬ অপরাহ্ণ, মে ১৫, ২০২৩

সারাদিন ডেস্ক

‘পূর্ব পাকিস্তানের’ মানুষের সঙ্গে কত বড় অত্যাচার হয়েছে বুঝতে হবে: ইমরান খান

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, ‘আজ আমাদের বুঝতে হবে, পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের সঙ্গে কত বড় অত্যাচার হয়েছে।’ আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় জামিনে মুক্ত হয়ে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধান ইমরান খান গত শনিবার লাহোরে তাঁর জামান পার্কের বাসা থেকে জাতির উদ্দেশে ভার্চ্যুয়ালি দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন। তাঁর ভাষণ ইউটিউবে প্রচারিত হয়।
এ মামলায় ৯ মে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ১১ মে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট এই গ্রেপ্তারকে ‘বেআইনি’ ঘোষণা করেন। ১২ মে এ মামলায় তাঁকে দুই সপ্তাহের জামিন দেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর পাকিস্তানজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়।
ইমরান খান তাঁর ভাষণে বলেন, ‘আজ আমি আবার স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, পূর্ব পাকিস্তানের কথা। আমার জীবনেই হয়েছে পূর্ব পাকিস্তান। মার্চ ১৯৭১ সালে আমি ম্যাচ খেলতে গিয়েছিলাম পূর্ব পাকিস্তান অনূর্ধ্ব উনিশের বিরুদ্ধে। আমাদের যে জাহাজ ফেরত এসেছিল, তা ছিল শেষ জাহাজ। আমার এখনো মনে আছে, কী ঘৃণা ছিল তাদের (পূর্ব) পাকিস্তানের (পশ্চিম) বিরুদ্ধে। আমাদের তো তা জানাই ছিল না।’ সূত্র: প্রথম আলো

কর্ণাটকে কংগ্রেসের বিপুল জয়
মুখ্যমন্ত্রী নির্ধারণে পর্যবেক্ষক নিয়োগ

ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমের রাজ্য কর্ণাটকে মুখ্যমন্ত্রী কে হচ্ছেন, তা জানতে আরো দুই-তিন দিন লাগতে পারে। গতকাল রবিবার দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের বিষয়টি পর্যালোচনা করতে সর্বভারতীয় কংগ্রেস রাজ্যে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর পদে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন কর্ণাটকের কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার এবং সাবেক মুখ্যন্ত্রী ও বর্তমান বিরোধীদলীয় নেতা সিদ্ধারামাইয়া।তবে রাজ্যে কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি রামালিঙ্গ রেড্ডি জানান, মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার ব্যক্তিদের মধ্যে শুধু সিদ্ধারামাইয়া কিংবা ডিকে শিবকুমারই নন আরো কয়েকজন রয়েছেন। রাজ্যে কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি জি পরমেশ্বর, দলের সাতবারের সংসদ সদস্য (এমপি) কে এইচ মুনিয়াপ্পা ও এম বি পাতিলও রয়েছেন। তিনি জানান, কংগ্রেস গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীকে বেছে নেবে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

ভালোবাসা দিয়ে হিংসাকে হারালেন রাহুল

কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের বিপুল সাফল্য আগামী সময়ের প্রত্যেকটি ইলেকশনে কংগ্রেসকে যে বাড়তি অক্সিজেন দেবে তা নিয়ে কট্টর বিজেপি সমর্থকদেরও কোনো সন্দেহ নেই। যে যাই বলুক কংগ্রেসের এই সাফল্যের কৃতিত্ব দলের ও নির্দিষ্ট কয়েকজনের হলেও আমি মনে করি, এ জয়ের আসল কারিগর নিঃসন্দেহে রাহুল গান্ধী। এই জয়ের মধ্য দিয়ে রাহুল এক ঢিলে অনেক পাখি মারলেন। প্রথমত, তার সম্বন্ধে দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি শিবির, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে পাপ্পু বলে যে বিদ্রুপাত্মক অশোভন ব্যক্তি আক্রমণ করার রেওয়াজ গড়ে তুলেছিল, এবার সজোরে মোদিকে নাস্তানাবুদ করে রাহুল গান্ধী তা পাল্টা ফিরিয়ে দিতে পেরেছেন। দ্বিতীয়ত, বিজেপির রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ ছিল এক সচেতন রণনীতি, যাতে কংগ্রেসের প্রধান সেনাপতিকে হতোদ্যম করে দিয়ে বিজেপি শিবিরের পথের কাঁটা দূর করা। ঘটনাচক্রে এই কাজে বিজেপির অন্যতম সহযোগীর ভূমিকায় বহুবার দেখা গেছে বিজেপির তথাকথিত ‘শত্রু’ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপধ্যায়কেও। কিছুটা হলেও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল একই কাজে শামিল ছিলেন। এবারের কর্ণাটক নির্বাচন রাহুল গান্ধীকে বিজেপিবিরোধী প্রধান সেনাপতি হিসেবে যে প্রতিষ্ঠা দিল, এরপরে যুক্তিবাদ দিয়ে কারও কোনো আগডুম-বাগডুম কথা লোকে আর নেবে না। তৃতীয়ত, রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস সারা দুনিয়ার লোকের কাছে বুঝিয়ে দিতে পেরেছে, ভারতের জনগণের বড় অংশ উগ্র ধর্মীয় মেরুকরণের বিরুদ্ধে আজও বহুত্ববাদী গণতন্ত্রের পক্ষে। যে দেশে এই প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রীকে জয় বজরঙ্গবলী বলে নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ের আবেগ উসকে দিয়ে ভোট চাইতে হয়, সেখানে মানবতার কথা বলে কংগ্রেসের জয় অবশ্যই কুর্নিশযোগ্য। সূত্র; দেশ রুপান্তর

Nagad
Nagad

থাইল্যান্ডের নির্বাচনে বুথফেরত জরিপ
এগিয়ে থাকসিনের মেয়ে

থাইল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়েছে। গতকাল স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ পর্ব। প্রাথমিক জরিপ বলছে, দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা আছেন শক্ত অবস্থানে। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ৫০০ সদস্য নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন প্রায় ৫০ লাখ ভোটার। ৯৫ হাজার কেন্দ্রে নেওয়া হয় ভোট। দেশটির দ্যা নেশন পত্রিকা পরিচালিত ভোট পরবর্তী জরিপে দেখানো হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেয়ে বড় জয়ের পথে দেশটির দুই বিরোধী দল- ফিউ থাই এবং মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি। পত্রিকাটি জানায়, ‘নির্বাচনে ফিউ থাই ও মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি নির্বাচনী এলাকা ও দলীয় তালিকাভুক্ত আসন- উভয় দিক থেকেই যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে থাকবে।’ তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ডেমোক্র্যাট পার্টি। উভয় ক্যাটাগরিতে তারা ১০ শতাংশ আসন পাবে। চতুর্থ স্থানে আছে সাবেক সেনাপ্রধান ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচার রাজনৈতিক দল ইউটিএন। উভয় ধরনের ৮ শতাংশ আসনে দলটি জিততে পারে। এ জরিপের পরেও ক্ষমতায় থাকার আশা প্রকাশ করেছেন সেনা সমর্থিত প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচাও। ৬৯ বছরের এ সাবেক সেনাপ্রধান ২০১৪ সালে দেশটিতে সর্বশেষ অভ্যুত্থান ঘটিয়েছেন। সে সময় থাকসিন সিনাওয়াত্রার বোন ইংলাক সিনাওয়াত্রার কাছ থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। সেনা সমর্থিত সরকারকে রুখতে অবশ্য জোর চেষ্টা চালাচ্ছে অন্যান্য দল। কিন্তু ভোট ফেরত জরিপ সেই আশা দেখাচ্চে না। মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির নেতৃত্ব দিচ্ছেন ৪২ বছরের সাবেক প্রযুক্তি নির্বাহী পিটা লিমজারোনরাত। সূত্র: দেশ রুপান্তর

এরদোয়ান নাকি কিরিচদারোলু? ব্যালটে জবাব দিচ্ছেন তুরস্কের জনগণ

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান আর রিপাবলিকান পিপলস পার্টির নেতা (সিএইচপি) কেমাল কিরিচদারোলুর মধ্যে একজনকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বেছে নিতে রোববার ভোট দিয়েছেন তুরস্কের জনগণ। তুরস্কের স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে।ডয়চে ভেলে জানায়, তুর্কি ভোটাররা এমন একটা সময়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, যার তিন মাস আগেই ভয়ংকর ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গিয়েছিল দেশটি।
বিভিন্ন জরিপে বিরোধী প্রার্থী ধর্মনিরপেক্ষ রিপাবলিকান পিপলস পার্টির নেতা কেমাল কিরিচদারোলু বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের থেকে সামান্য এগিয়ে রয়েছেন। মূল লড়াইটা হচ্ছে পিপলস অ্যালায়েন্স ও কিরিচদারোলুর জোটের মধ্যে। পিপলস অ্যালায়েন্সে রয়েছে এরদোয়ানের ইসলামপন্থি রক্ষণশীল একে পার্টি, ন্যাশনালিস্ট এমএইচপি ও অন্য কয়েকটি দল। অন্যদিকে কিরিচদারোলুর জোটে রয়েছে তুরস্কের প্রবাদপ্রতিম নেতা মুস্তাফা কেমাল আতাতুর্ক প্রতিষ্ঠিত ধর্মনিরপেক্ষ রিপাবলিকান পিপলস পার্টিসহ ছয়টি দলের জোট। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

কভিড-১৯ পরবর্তী পুনরুদ্ধারের পথে শ্রীলংকার পর্যটন

২০১৯ সালের এপ্রিলে ইস্টার সানডের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা শ্রীলংকার পর্যটন খাতে প্রথম আঘাত হানে। ওই ঘটনায় হোটেল ও গির্জায় অবস্থান নেয়া আড়াই শতাধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করে। ফলে হোটেলগুলোর বুকিং বন্ধ হয়ে যেতে শুরু করে। খাতটিতে পরবর্তী সময়ে দ্বিতীয় আরেকটি ধ্বংসাত্মক ধাক্কা দেয় কভিড-১৯ মহামারী। তবে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সম্প্রতি আলোর মুখ দেখছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্রটি। খবর নিক্কেই এশিয়া।শ্রীলংকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান তথ্যানুযায়ী, কভিডের পর প্রথমবারের মতো চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে পর্যটন খাত থেকে দেশটির আয় হয়েছে ৫২ কোটি ৯০ লাখ ডলার। এ সময়ে পর্যটক আগমনের সংখ্যা ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৬৭৯-এ পৌঁছেছে। এছাড়া এপ্রিলে আরো ১ লাখ ৫ হাজার ৪৯৮ পর্যটক দেশটিতে এসেছিল। যেখানে গত বছর সব মিলিয়ে পর্যটক এসেছিল ৭ লাখ ১৯ হাজার ৯৭৮ জন। শ্রীলংকা কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে চলতি বছরের জন্য ১৫ লাখ পর্যটক আগমনের প্রাক্কলন করেছিল। কিন্তু প্রথম প্রান্তিকের চিত্রে তারা ক্রমবর্ধমান আশাবাদী হয়ে উঠছে। দেশটির পর্যটনমন্ত্রী হারিন ফার্নান্দো বলেন, ‘দেশের পর্যটক আগমনের সংখ্যা ২০ লাখের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।’ সূত্র: বণিক বার্তা।

তুরস্কের রাজনীতিতে এরদোয়ানের ২০ বছরের আধিপত্য কি আরও দীর্ঘ হচ্ছে?

আজ তুরস্কে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। রজব তৈয়ব এরদোয়ানের শাসনামলের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় এখানে তুলে ধরা হচ্ছে।বিগত দুই দশক ধরে তুর্কি রাজনীতিকে আধিপত্য বিস্তার করে রয়েছেন রজব তৈয়ব এরদোয়ান। এবারে আরও পাঁচ বছরের জন্য নিজ শাসনকে পাকাপোক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে নেমেছেন নির্বাচনে। এরদোয়ান তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট এবং সংসদীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবারের নির্বাচনকে সবচেয়ে কঠিন বলেই মনে করা হচ্ছে। এরইমধ্যে তিনি ২০০৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনদফা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।৬৯ বছর বয়সী এরদোয়ান রক্ষণশীল রাজনৈতিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা নিয়ে ক্ষমতায় আসেন। ধর্মনিরপেক্ষ দেশ তুরস্কের নীতি নিয়ে বিতর্ক উস্কে দেওয়ার খ্যাতি অর্জন করেন। ১৯২০ সালে মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী নীতিমালাকে প্রতিষ্ঠা করেন। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

ফ্রান্স আরও ট্যাংক দিচ্ছে ইউক্রেনকে

রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনকে আরও ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ফ্রান্স।এগুলো চালাতে ইউক্রেনীয় সেনাদের বিশেষভাবে প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রোববার রাতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি ওই প্রতিশ্রুতি দেন। খবর আলজাজিরার।জেলেনস্কি রোববার গভীর রাতে প্যারিসের এলিসি প্রাসাদে নৈশভোজে ম্যাক্রোঁর সঙ্গে যোগ দেন। এর পরই কিয়েভের জন্য এই সামরিক সহায়তার ঘোষণা এলো।ম্যাক্রোঁ ও জেলেনস্কির তিন ঘণ্টা আলোচনা শেষে সোমবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়, আগামী সপ্তাহে ইউক্রেনের একাধিক ব্যাটালিয়নকে প্রশিক্ষণ দেবে ফ্রান্স। এএমএক্স-১০আরসিসহ কয়েকশ সাঁজোয়া যান এবং হালকা ট্যাংক দেবে ফ্রান্স।রাশিয়ার হামলা থেকে ইউক্রেনীয় জনগণকে রক্ষায় দেশটিতে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সরবরাহেও জোর দিয়েছে প্যারিস। ইউক্রেনে মস্কোর চলমান আগ্রাসনের সক্ষমতাকে দুর্বল করতে রাশিয়ার ওপর সম্মিলিত চাপ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তায় একমত প্যারিস ও কিয়েভ। সূত্র”:যুগান্তর

তুরস্কে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কেউ, দ্বিতীয় দফায় গড়াতে পারে ভোট

তুরস্কের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কেমাল কুলুচদারুলুর মধ্যে দেশটির কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে হাড্ড্হাড্ডি লড়াইয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।তুরস্কের সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিল বা প্রধান নির্বাচন কর্তৃপক্ষ বলছে, এ পর্যন্ত প্রায় সব ভোটই গণনা করা শেষ হয়েছে এবং এরদোয়ান ৪৯.৪৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কুলুচদারুলু পেয়েছেন ৪৪.৭৯ শতাংশ ভোট।তবে কোন প্রার্থীই ৫০ শতাংশ ভোট পাওয়ায় দুই সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় দফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আঙ্কারায় নিজের সমর্থকদের উদ্দেশ্যে মি. এরদোয়ান বলেছেন যে, প্রয়োজন হলে তিনি দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে অংশ নেবেন। তবে তিনি বিশ্বাস করেন যে, তিনি জয় পাবেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

থাইল্যান্ডের নির্বাচনে বিরোধীদের কাছে পরাস্ত সামরিক দলগুলো

থাইল্যান্ডের নির্বাচনে সামরিক বাহিনীর মিত্র দলগুলোকে হারিয়ে চমকপ্রদ জয় পেয়েছে দুই বিরোধীদল মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি ও পুয়ে থাই পার্টি ।রোববারের নির্বাচনের ৯৯ শতাংশ ভোট গণনার পর এই দুটি দল অন্যদের ছাড়িয়ে অনেকদূর এগিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।এই ভোটের মাধ্যমে থাইল্যান্ডের ভোটাররা দেশটির সামরিক বাহিনী সমর্থিত সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচাকে সমর্থনকারী দলগুলো জনসমর্থনের দিক থেকে বেশ পেছনে পড়ে গেছে। এখন দুই বিরোধীদল, মুভ ফরোয়ার্ড ও পুয়ে থাই জোট গঠনের জন্য আলোচনা শুরু করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক ইতিহাসে ডজনখানেক সামরিক অভ্যুত্থান দেখা থাইল্যান্ডের জন্য এবারের নির্বাচনকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ২০১৪ সালে হওয়া সর্বশেষ অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে ছিলেন এখনকার প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ, এবার তিনি আরেক মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হতে লড়ছিলেন। কিন্তু সামরিক বাহিনী বিরোধী মুভ ফরোয়ার্ড ও পুয়ে থাই প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। সূত্র: বিডি নিউজ