প্রকাশিত: ৯:৪১ পূর্বাহ্ণ, জুন ৩, ২০২৩
সারাদিন ডেস্ক
ভারতের ওডিশা রাজ্যে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ৯০০ জনের বেশি। ট্রেনের ভেতরে এখনো অনেকে আটকা পড়ে আছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুক্রবার দুটি যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ওড়িশার ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা সুধাংশু সারঙ্গি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর এনডিটিভির
এদিকে এ দুর্ঘটনায় ভারতীয়দের পাশাপাশি উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশিদের মধ্যেও।
বাংলাদেশের বহু মানুষ চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। তাদের কেউ কেউ চিকিৎসা করান কলকাতায়, অনেকে চলে যান চেন্নাই-বেঙ্গালুরুতে। এ ধরনের বাংলাদেশি ভ্রমণকারীরা সাধারণত করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ব্যবহার করেন। এ দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশিদের মধ্যে। অনেকেই নিকটাত্মীয়দের সম্পর্কে খোঁজ নিতে শুরু করেছেন।
ওডিশার মুখ্যসচিব প্রদীপ বলেন, উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে এবং আশেপাশের জেলার সকল হাসপাতালকে অ্যালার্টে রাখা হয়েছে। তিনটি এনডিআরএফ, চারটি ওডিশা ডিজাস্টার র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স ইউনিট। ১৫ টি ফায়ার রেসকিউ টিম। ৩০ জন চিকিৎসক, ২০০ জন পুলিশ সদস্য এবং ৬০ টি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে জড়ো করা হয়েছে।
এই শতকে এটি ভারতের সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে ভারতের রেলবিভাগ জানায়, প্রথমে করমন্ডল এক্সপ্রেস নামের একটি যাত্রীবাহী ট্রেন – যা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হাওড়ার নিকটবর্তী শালিমার থেকে তামিলনাড়ু রাজ্যের চেন্নাই যাচ্ছিল – সেটির কয়েকটি বগি লাইনচ্যূত হয় এবং পাশের লাইনে থাকা আরেকটি দ্রুতগামী যাত্রীবাহী ট্রেন সেগুলোকে আঘাত করে। দ্বিতীয় ট্রেনটি বেঙ্গালুরু থেকে হাওড়া যাচ্ছিল। এর পর দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালবাহী ট্রেনের সাথেও যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোর ধাক্কা লাগে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেইসঙ্গে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।