প্রকাশিত: ১:২৫ অপরাহ্ণ, জুন ১৯, ২০২৩
সারাদিন ডেস্ক
ভারতের মধ্যপ্রদেশে তরুণ(২১) ও তরুণী (১৮) মাথায় গুলি করে হত্যার পর তাদের লাশে পাথর বেঁধে চম্বল নদীতে ফেলে দিয়েছেন প্রেমিকার পরিবার। ওই নদীর অভয়ারণ্য অংশে ২ হাজারের অধিক ঘড়িয়াল এবং ৫০০ এর বেশি মিঠাপানির কুমির রয়েছে বলে জানা গেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘এনডিটিভি’ রাজ্য পুলিশের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই খরব জানিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যার শিকার হওয়া শিবানি তমার ও রাধেশ্যাম তমারের মধ্য প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শিভানির বাড়ি রতনবাসাই গ্রামে ও রাধেশ্যামের বাড়ি পাশের বালুপুরা গ্রামে।
তবে তাদের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়ায় শিবানির পরিবার। এক পর্যায়ে শিবানির পরিবার দুই জনকেই হত্যা করে রতনবাসাই গ্রামের পাশের ওই নদীতে ফেলে দিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, রাধেশ্যামের বাবা নিজের ছেলে ও ওই তরুণী নিঁখোজের বিষয়ে থানায় জিডি করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পুলিশ প্রথমে ধারণা করেছিল তারা হয়ত বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। কিন্ত গ্রামের কেউ তাদের এলাকা ছাড়তে দেখেনি। এরপর পুলিশ ওই তরুণীর বাবা ও আত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে। কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর পরিবারটি দুইজনকে হত্যার দায় স্বীকার করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শিবানি তমারের পরিবার পুলিশকে জানায়, শিবানি ও রাধেশ্যামকে গত ০৩ জুন গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ ভারী পাথরের সাথে বেঁধে চম্বল নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
রাজ্য পুলিশের ওক কর্মকর্তা বলেন, “আমরা ওই তরুণীর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার দায় স্বীকার করেছে। যুগলটিকে খুন করে লাশ চম্বল নদীতে ফেলে দেওয়ার কথাও স্বীকার করেছে। আমরা লাশ উদ্ধারে উদ্ধারকারী দলের সাহায্য নিয়েছি।”
সারাদিন/১৯ জুন/এমবি