Print

সারাদিন

পরকীয়ার সন্দেহে স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ৯:২৫ অপরাহ্ণ, জুন ২৩, ২০২৩

সাভার প্রতিনিধি:

সাভারের আশুলিয়ায় স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর লাশ বাথরুমে রেখে শিশু সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যায় স্বামী। ঘটনার ২ দিন পর ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তার সহ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটিও জব্দ করেছে র‍্যাব। র‍্যাব-৪ ও র‍্যাব-১৩-এর যৌথ অভিযানে তাকে রংপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা চার বছরের শিশু সিয়ামকে নিহত শিমুর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৩ জুন) দুপুরে সাভারের নবীনগরে র‍্যাব ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-৪ সিপিসি-২-এর কম্পানি কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান

বিষয়টি তুলে ধরেন এর আগে শুক্রবার ভোররাতে রংপুরের পীরগাছা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সাভারের আশুলিয়ায় স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর লাশ বাথরুমে রেখে শিশু সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যায় স্বামী। ঘটনার ২ দিন পর ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তার সহ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটিও জব্দ করেছে র‍্যাব। র‍্যাব-৪ ও র‍্যাব-১৩-এর যৌথ অভিযানে তাকে রংপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা চার বছরের শিশু সিয়ামকে নিহত শিমুর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত ফারুক হোসেন গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার তৈয়বর মিয়ার ছেলে। ভুক্তভোগী শিমু আক্তার একই এলাকার নয়া মিয়া ব্যাপারীর মেয়ে।

র‍্যাব জানায়, ৬ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ফারুক ও শিমুর। তাদের চার বছরের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। স্ত্রীর পরকীয়ার সম্পর্কের সন্দেহ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে পারিবারিক কলহ চলছিল। কিছু দিন আগে গাইবান্ধা থেকে ঢাকার আশুলিয়ায় এসে চাকরি নেন শিমু আক্তার। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার ১০ থেকে ১৫ দিন আগে ফারুক হোসেন গ্রাম থেকে আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় চাকরি নেন ও একসঙ্গে বসবাস শুরু করেন। কিন্তু পারিবারিক কলহ ও পরকীয়ার সন্দেহের জের ধরে রাতে সবজি কাটার ছুরি দিয়ে শিমুকে হত্যা করে সন্তান সিয়ামকে নিয়ে পালিয়ে যান ফারুক।

Nagad
Nagad

র‍্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান বলেন, গ্রেপ্তার আসামি হত্যাকাণ্ডের কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ধস্তাধস্তির সময় রাগের বশে হাতের কাছে থাকা সবজি কাটার ছুরি দিয়ে পেছন দিক থেকে স্ত্রীর গলা কেটে দেন।পরে লাশ বাথরুমে নিয়ে ওড়না দিয়ে ঢেকে ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে যান। আসামিকে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত যে, গত ২০ জুন সকালে আশুলিয়ার কাঠগড়ার পশ্চিমপাড়ার এলাকার একটি পাঁচতলা বাড়ির ফ্ল্যাট থেকে শিমুর গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ফারুককে আসামি করে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বড় বোন লাবনী।