প্রকাশিত: ৯:২৮ অপরাহ্ণ, জুন ২৫, ২০২৩
বানারীপাড়া(বরিশাল) প্রতিনিধি:
বরিশালের বানারীপাড়ায় এই প্রথম তৈরি হয়েছে বিনোদন মূলক পর্যটন কেন্দ্র। উপজেলার চাখার ওসলিয়াবাকপুরের শাখারিয়া গ্রামের সমন্বয় ৪নং চাখার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানও বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সৈয়দ মজিবুল ইসলাম টুকুর পারিবারিক উদ্যোগে প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে আধুনিকতার ছোঁয়ায় তৈরি হয়েছে পর্যটন কেন্দ্র।
রোববার (২৫ জুন) বিকালে ” শশুর বাড়ি” নামে এই পর্যটন কেন্দ্রটি উদ্বোধন করেন এ্যাড.সৈয়দ মাঈনুল হক ও ডা:সৈয়দ সাইমুল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও এলাকার সর্বস্তরের মানুষ।
মোড়ক উন্মোচন, দোয়া মোনাজাত, ফিতা কাটার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতার শুভ সূচনা করা হয়। এ্যাড.সৈয়দ মাঈনুল হক ফিতা কেটে ২০ টাকায় প্রবেশ টিকিট ক্রয় করে পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ করে। আজকে প্রবেশ পথ ছিল সম্পূর্ন ফ্রি সাথে প্রতি পর্যটকদের জন্য মিষ্টিসহ প্যাকেটের ব্যবস্থা।
মজিবুল ইসলাম টুকু, সাংবাদিকদের বলেন করোনা কালীন সময়ে আমি ও আমার পরিবার সময় কাটানোর ও বায়ু পরিবর্তনের জন্য একটি ভিন্ন পরিবেশের খোঁজে তৈরি করি একটি পারিবারিক বিনোদন কেন্দ্র। এখানে আমি মাছ চাষ ফলন গাছ রোপণ করে পরিবার নিয়ে সময় কাটাতাম। পরবর্তীতে এই স্থানটি সাধারণ মানুষের নজর কাড়তে শুরু করে এবং দূর দুরন্ত থেকে অন্য রকম বিনোদনের খোরাক মেটাতে এখানে আসে। তখন আমি বিষয়টি নিয়ে ভাবি আর এই আনন্দ শুধু নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সবার মধ্যে ভাগ করে দিয়ার মনোবাসনা করি। আর এই ইচ্ছাশক্তির মধ্য দিয়েই পরবর্তীতে আমি আমার পরিবারের সম্মিলিত উদ্যোগে আকর্ষিক আয়োজনে সাজানোর ইচ্ছে নিয়ে এগিয়ে চলি। আর স্থানটিকে আকর্ষণীয় ও ভিন্ন-স্বাদ দিতে নামকরণ করি “শ্বশুর বাড়ি “।
আমার স্ত্রী ও আমার পরিবারের অন্যান্যদের সহায়তায় “শ্বশুর বাড়ি ” খ্যাত বিনোদন ও পর্যটন কেন্দ্রটি আগামীতে বানারীপাড়া উপজেলার মধ্যে অত্যাধুনিক ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে মানুষের মনের খোরাক জোগাবে। এখানে শিশুদের জন্য রয়েছে স্বাস্থ্যঝুকি হীন হালকা কসরত যুক্ত বিনোদনের ব্যবস্থা। এছাড়াও জানার আছে সাধারণ জ্ঞান। এদিকে সচেতন সমাজের মাঝে এই পর্যটন কেন্দ্রটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তাদের চাওয়া এলাকা ভিত্তিক এ ধরেন বিনোদন ও পর্যটন কেন্দ্র থাকলে শিশু থেকে যুবক সকলে মাদকাসক্তি বা সামাজিক অপরাধ থেকে দূরে থাকবে ভিন্ন ভাবে প্রকৃতিকে উপভোগ করতে শিখবে বলে জানান তিনি।
বানারীপাড়া উপজেলায় এই প্রথম এ ধরনের ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ মানুষের মাঝে শান্তিয় সহায়ক হিসেবে বিনোদন দিবে।