প্রকাশিত: ৯:৪০ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৬, ২০২৩
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
মাসিক ভাতা ৫০ হাজার টাকা করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকেরা। দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে অবশেষে পোস্টগ্রাজুয়েট মেডিকেল শিক্ষার্থীদের (ট্রেইনি চিকিৎসক) ভাতা পাঁচ হাজার টাকা বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।
রোববার (১৬ জুলাই) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ গণমাধ্যমকে জানান, ‘কিছুক্ষণ আগে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এই সিদ্ধান্ত এসেছে। আমরা সবাইকে এমনটাই নিশ্চিত করেছি।’
বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের ভাতা আপাতত পাঁচ হাজার বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করোছেন। বর্তমানে এর চেয়ে বেশি বাড়ানো সম্ভব নয়।’
তবে আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা বলছেন, ‘আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা এ সিদ্ধান্ত মানি না।’
এ বিষয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েট চিকিৎসক ডা. তানভির বলেন, খবরে জানতে পারলাম ৫ হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছে। এমনটি হয়ে থাকলে আমরা তা মানি না।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই থেকে ভাতা বাড়ানোর দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটি (বিএসএমএমইউ) ও বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) অধিভুক্ত পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। বর্তমানে তারা মাসে ২০ হাজার টাকা ভাতা পান। সেটিকে ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করার দাবি তাদের।
এর আগে আজ সকালে শাহবাগ অবরোধ করার কথা জানালেও পুলিশি বাধায় পরে বিএসএমএমইউ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে অবস্থান নেন তারা। একপর্যায়ে সব গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
এ সময় চিকিৎসকরা ‘ক্ষুধা পেটে সেবা নয়, অধিকার চাই ভিক্ষা নয়’, ‘অনুগ্রহ নয় অধিকার চাই, সামঞ্জস্যপূর্ণ বেতন কাঠামো চাই’, ‘আশ্বাস নয় প্রমাণ চাই, ৫০ হাজার ভাতা চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
এদিকে, চিকিৎসকদের এমন আন্দোলনে বিপাকে পড়েন রোগীরা। বহির্বিভাগ ও অন্তঃবিভাগে প্রতিদিন কয়েক হাজার রোগী চিকিৎসা সেবা নেন। এসব সেবাদানকারীদের বড় অংশই ট্রেইনি চিকিৎসকেরা।
এর আগে একই দাবিতে গত ৯ জুলাই থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন চিকিৎসকেরা। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করা হয়। তবে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় ফের আন্দোলনে নামেন তারা।