Print

সারাদিন

নবজাতকের মৃত্যু: সেন্ট্রাল হাসপাতালের সেই দুই চিকিৎসকের জামিন

প্রকাশিত: ৫:১২ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৮, ২০২৩

সারাদিন ডেস্ক

রাজধানীর গ্রিনরোডে অবস্থিত সেন্ট্রাল হাসপাতালে ‘ভুল চিকিৎসায়’ নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় শাহজাদী ও মুনা নামের দুই চিকিৎসকের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। ‘ভুল চিকিৎসায়’ মাহবুবা রহমান আঁখির নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান উদ্দিন সোহাগের আদালতে তাদের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।

এর আগে ১৫ জুন এই দুই চিকিৎসককে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তারা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হলে তা রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারহা দিবা ছন্দা আসামি মুনার ও ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আফনান সুমি আসামি শাহজাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর জামিন চেয়ে আবেদন করেন তাদের আইনজীবী।

সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসা ও কর্তৃপক্ষের প্রতারণায় মাহবুবা রহমান আঁখি মারা যান বলে অভিযোগ করেন তার স্বামী ইয়াকুব আলী সুমন। তিনি দাবি করেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় মারা গেছেন তাদের নবজাতক সন্তানও।

এ ঘটনায় ১৪ জুন ধানমন্ডি থানায় মোট ছয়জনের নাম উল্লেখসহ ৫-৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ‘অবহেলাজনিত মৃত্যুর’ অভিযোগ এনে মামলা করেন ইয়াকুব আলী। এরপরই ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনাকে গ্রেপ্তার করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। মামলার অন্য আসামিরা হলেন ডা. মিলি, সেন্ট্রাল হাসপাতালের ম্যানেজার পারভেজ, জমির ও এহসান।

প্রসঙ্গতম, গত ৯ জুন রাতে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ডা. সংযুক্তা সাহার অধীনে ভর্তি করা হয় মাহবুবা রহমান আঁখিকে। সে সময় ডা. সংযুক্তা সাহা হাসপাতালে উপস্থিত না থাকলেও কর্তৃপক্ষ জানায়, তিনি আছেন এবং ওটিতে (অপারেশন থিয়েটার) কাজ করছেন।পরে অন্য চিকিৎসকের মাধ্যমে স্বাভাবিক প্রসবের চেষ্টা করা হয়। একপর্যায়ে ব্যর্থ হয়ে সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করানো হয়। পরদিন মারা যায় শিশুটি। গত ১৮ জুন রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আঁখিও।

Nagad
Nagad

জানা গেছে, তিন মাস ধরে সেন্ট্রাল হাসপাতালের গাইনি ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহার অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন মাহবুবা রহমান আঁখি। এমনকি তার শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক ছিল বলেও চিকিৎসক জানিয়েছিলেন। নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমেই সন্তান প্রসব সম্ভব বলে আশ্বস্ত করেছিলেন ডা. সংযুক্তা সাহা।

প্রসব ব্যথা ওঠায় ৯ জুন রাত ১২টা ৫০ মিনিটে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ডা. সংযুক্তার অধীনে মাহবুবাকে ভর্তি করা হয়। তখন ডা. সংযুক্তা হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন না। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, সংযুক্তা সাহা আছেন এবং ওটিতে (অপারেশন থিয়েটার) কাজ করছেন।