Print

সারাদিন

গীতিকার শাহারুলের ৩১টি ইসলামী সংগীত প্রকাশ

প্রকাশিত: ১১:২৬ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৯, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ছোটবেলা থেকেই ইসলামী সংগীতের প্রতি ভালোবাসা। গাইতেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। প্রাথমিক, মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে অধ্যায়নকালে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ছড়া-কবিতা, গল্প, কলাম লেখালেখির পাশাপাশি ইসলামি সংগীত লিখতে শুরু করেন।

বলছি উদীয়মান কবি ও গীতিকার শাহারুল ইসলাম সুজনের কথা। তিনি খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার হলুদবুনিয়া গ্রামের আকবর হোসেন ও শেফালি দম্পতির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। এসময়ের ইসলামী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিঙ্গনে যারা নিয়মিত মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন তাদের মধ্যে গীতিকার শাহারুল অন্যতম।

সংগীত লেখার শুরুটা ছিল তার বাবার অনুপ্রেরণায় ২০২০ সালের দিকে। তার লেখা প্রথম প্রকাশ হওয়া সংগীত ‘মিছে আশা’। সংগীতটি মুক্তির এক মাসেই ইউটিউব, ফেসবুকে মিলিয়ন ভিউ ক্রস করে। তখন থেকে তিনি নিয়মিত সংগীত লিখে পরিচিত হয়ে উঠেন।

ইসলামী সংগীতের সুবিশাল প্লাটফর্ম কলরব ও হ্যাভেন টিউন থেকে তার লেখা বেশকিছু সংগীত দর্শকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

এপর্যন্ত ৩১ টি সংগীত প্রকাশ পেয়েছে। ক্ষণিকের জীবন, প্রেরণার আলো, বাবা হারানোর বেদনা, কি হলো মোর দেশে, নয়নমণি, সবার প্রিয় মা, শোনো প্রিয় আম্মু, খোকার ইবাদত, লাল সবুজের স্বাধীনতা, বিজয়ীর মান, আমি বাংলার সন্তান, পথশিশু, অনাথ শিশু, এই সমাজের মানুষ, রহমের বৃষ্টি, বার্তা নিয়ে সুমহান, এসেছে রমজান, বরকতের মাস, ত্যাগের ঈদ, কুরবানী, বিদায়ের ডাক, করতে হবে জয়- তার উল্লেখযোগ্য রচনা।

তিনি হামদ, না’ত, মরমী, জাগরণী, প্রতিবাদী, সমসাময়িক, দেশাত্মবোধক সংগীত লিখে থাকেন। তার লেখার বৈশিষ্ট্য সহজ, সাবলীল, প্রাঞ্জল হওয়ায় তিনি শ্রোতাপ্রিয় হয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছেন। এছাড়া পঁচিশটিরও বেশি সংগীতের কাজ চলমান। ঈদুল আযহা উপলক্ষে তার কিছু সংগীত প্রকাশ পাবে।

Nagad
Nagad

তিনি বলেন, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সংগীত লিখছেন। দীনের ভালোবাসা, রাসুলের প্রেম সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চান। নিপীড়িতের অধিকার আদায়ে, অন্যায়ের প্রতিবাদে, সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে লেখনীর মাধ্যমে আজীবন সংগ্রাম করতে চান কবি ও গীতিকার শাহারুল ইসলাম সুজন।