Print

সারাদিন

আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

প্রকাশিত: ১১:৪২ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২, ২০২৩

সারাদিন ডেস্ক

সমাজসেবা অধিদপ্তরের ‘খাতিরের’ প্রকল্প
করের টাকায় মন্ত্রী-সচিবের মা-বাবার নামে প্রতিষ্ঠান
মা-বাবা, নানা-নানি, দাদা এবং বাড়ির নামে হাসপাতালের মতো স্থাপনা করতে ৯ জন নিয়েছেন ২৮৬ কোটি টাকা।

সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের গ্রামে তাঁর মায়ের নামে ‘করিমপুর নূরজাহান-সামসুন্নাহার মা ও শিশু বিশেষায়িত হাসপাতাল’ নির্মিত হচ্ছে ৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে। পাঁচতলা ভবনের এই হাসপাতাল নির্মাণের জন্য ৮০ শতাংশ অর্থ বা ৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে সমাজসেবা অধিদপ্তর, যেটি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি প্রতিষ্ঠান। হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করছে মন্ত্রীর মায়ের নামের এনজিও (বেসরকারি সংস্থা) করিমপুর নূরজাহান-সামসুন্নাহার উন্নয়ন সংস্থা। নির্মাণকাজ পেয়েছে মন্ত্রীর ভাইয়ের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নির্মাণকাজ চলতে থাকা হাসপাতালটির এক কিলোমিটারের মধ্যেই সরকারি উপজেলা হাসপাতাল রয়েছে।দুর্নীতি প্রতিরোধ নিয়ে কাজ করা সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, মন্ত্রীর অধীন প্রতিষ্ঠানের প্রকল্পের মাধ্যমে মন্ত্রীর মায়ের নামে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা স্বার্থের সংঘাত। মন্ত্রীরা শপথ নেন এই বলে যে ‘তাঁরা অনুরাগ অথবা বিরাগের বশবর্তী হয়ে কোনো কাজ করবেন না।’ নিজের মায়ের নামে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় নিজের অধীন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণের অর্থ ব্যয় শপথের বিপরীতমুখী সিদ্ধান্ত। অবশ্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রকল্পের মাধ্যমে শুধু মন্ত্রী নন, আমলারাও নিজের মা-বাবা অথবা স্বজনের নামে হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, প্রশিক্ষণকেন্দ্র ইত্যাদি স্থাপনা করেছেন। সমাজসেবা অধিদপ্তর ২০১৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১৮টি প্রকল্পের (ডায়াবেটিক হাসপাতাল ছাড়া) মাধ্যমে এ ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করেছে অথবা করছে, যার অন্তত ১১টি মন্ত্রী অথবা আমলাদের মা-বাবা অথবা স্বজনের নামে।সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুদানে হাসপাতাল, প্রশিক্ষণকেন্দ্র বা সমজাতীয় স্থাপনা নির্মাণ ও পরিচালনা করে এনজিও। সূত্র: প্রথম আলো


মাদকসেবী শনাক্তের হার বাড়ছে, ৯৯ ভাগই চালক

মাদক গ্রহণকারী শনাক্তকরণ পরীক্ষা বা ডোপ টেস্টে গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে বেশিসংখ্যক ব্যক্তি মাদক নিয়েছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। ২০২২ সালে পরীক্ষা করা ব্যক্তিদের মধ্যে মাদক নেওয়া ব্যক্তিদের হার ছিল প্রায় দেড় শতাংশ। এ বছর তা সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে। আর মাদক গ্রহণকারী হিসেবে শনাক্ত ব্যক্তিদের ৯৯ শতাংশই গাড়িচালক।
মাদকসেবী শনাক্তের হার বাড়ছে, ৯৯ ভাগই চালকদেশে চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স করা ও নবায়ন করা, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, অস্ত্রের লাইসেন্স, বিদেশে উচ্চশিক্ষা বা গবেষণা, সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে যোগদানের জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষার সঙ্গে মাদক পরীক্ষার সনদ জমা দিতে হয়। আবার চাকরিতে থাকাকালে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তাঁর ডোপ টেস্ট করাতে পারে। রাজধানীতে চালকদের বেশির ভাগ ডোপ টেস্ট করা হয় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারে। এর বাইরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে ডোপ টেস্ট হয়। সূত্র: কালের কণ্ঠ

অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন উৎসাহিত করে জাতিসংঘ

জাতিসংঘের প্রেস ব্রিফিংকালে মহাসচিবের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক ৩১ জুলাই সোমবার বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ায় জাতিসংঘ সব সময়ই বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশের জনসাধারণের উদারতার প্রশংসা করেছে এবং আশা করছি সব সময় তা করে যাবে।’ যুক্তরাষ্ট্রের ১৪ কংগ্রেসম্যান কর্তৃক বাংলাদেশকে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ থেকে বহিষ্কার অথবা সদস্যপদ স্থগিতের দাবি প্রসঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিবের এই মুখপাত্র বলেন, ‘সেটি মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য-রাষ্ট্রসমূহের ব্যাপার। আমার মন্তব্য করার কিছু নেই।’আসন্ন নির্বাচন জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানের যে আবদার ১৪ কংগ্রেসম্যানসহ কথিত সুশীল সমাজের কিছু মানুষ কর্তৃক করা হচ্ছে অথবা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, সে প্রসঙ্গে ফারহান হক বলেন, ‘জাতিসংঘ বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ, বিশ্বাসযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনকে উৎসাহিত করে।’ ফারহানের এমন জবাবে সহজেই অনুধাবন করা যাচ্ছে যে, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচনের সুপারিশকে আমলে নেওয়া হয়নি। ঠিক আগের মতোই বক্তব্য পাওয়া গেছে জাতিসংঘের। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

Nagad
Nagad

হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শন বন্ধের আহ্বান
সংঘাতে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিরোধী মতের প্রতি শ্রদ্ধা থাকা জরুরি : জাতিসংঘ * বাংলাদেশ বিশ্বের কোনো ‘পাঞ্চিং ব্যাগ’ নয় : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সংঘাতের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অপরাধীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার পাশাপাশি সবাইকে সহিংসতা, হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সোমবার ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ আহ্বান জানান। এদিকে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিরোধী মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের বিশেষ র‌্যাপোর্টিয়ার ক্লেমো ভউল। ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, অক্টোবরে প্রাক নির্বাচনি মিশন ঢাকায় আসবে। তবে বিদেশিদের এই তৎপরতাকে খুব বেশি আমলে নিচ্ছে না সরকার। বিদেশিদের তৎপরতা সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যুগান্তরকে বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বের কোনো পাঞ্চিং ব্যাগ (মুষ্টিযোদ্ধারা যে ব্যাগের ওপর ঘুসি দেয়) নয়। বাংলাদেশ হলো উন্নয়নের মিরাক্যাল। শেখ হাসিনার বাংলাদেশ কোনো সহজ জায়গা নয়। আমরা আইনের শাসন জোরদারে কাজ করছি। নির্বাচন হবে নির্ধারিত প্রক্রিয়ায়।’ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘গণমাধ্যমে ওপেন মন্তব্য নিয়ে আমরা কোনো প্রতিক্রিয়া দেব না। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের অফিশিয়ালি কিছু জানালে প্রতিক্রিয়া দেব। যুক্তরাষ্ট্র যদি আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করতে চায় তবে আমরা দেখব।’ সূত্র: যুগান্তর

বুয়েটে শিবিরকে ‘চাঙ্গা’ করতে টাঙ্গুয়া মিশন
সন্তানরা নিরপরাধ, মুক্তি চান অভিভাবকরা

সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে গিয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২৪ ছাত্রসহ ৩৪ শিক্ষার্থী পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের ঘটনাটি নানামুখী আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

স্থানীয় পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, মূলত ঢাকা থেকে পাওয়া গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই অভিযান হয়েছে। এতে নেওয়া হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তাও। বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ ও বিভিন্ন আলামত জব্দ করার পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কাগজপত্র, সংগঠনের তহবিল-সংক্রান্ত প্রচারপত্র, সংগঠনের সাথি ও সদস্যদের পাঠযোগ্য সিলেবাস, কর্মী ঘোষণা সংক্রান্ত নথিপত্র জব্দ করা হয়। পুলিশের দায়ের করা মামলার জব্দ তালিকায় তা উল্লেখ করা হয়েছে।গ্রেপ্তারদের মধ্যে ছাত্রশিবিরের বুয়েট শাখার বায়তুল মাল সম্পাদক আফিফ আনোয়ার রয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে সবাই হাওরে এসেছিলেন। জব্দ নথিপত্র বিশ্লেষণ ও গোয়েন্দা সূত্র জানায়, সংগঠনকে ‘চাঙ্গা’ করার উদ্দেশ্যে প্রাকৃতিক পরিবেশের সান্নিধ্য নিতে আফিফের নেতৃত্বে তারা সুনামগঞ্জ যান। সেখানে ‘মোটিভেশনাল’ নানা বক্তব্য রাখার কথা ছিল। জব্দ আলামত ও ডিভাইস পরীক্ষা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। আফিফ বুয়েটের ম্যাটেরিয়ালস অ্যান্ড মেটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁর বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার মান্দারখিল গ্রামে। এদিকে, গ্রেপ্তার বুয়েট শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাদের অভিভাবকরা। তাদের ভাষ্য, সন্তানরা নিরপরাধ। সন্তানরা কোনো ধরনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সূত্র: সমকাল

শাস্তির মুখে বাংলালিংক

অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসাসহ নানাভাবে ফাঁকি দেওয়া সরকারের ৮২৩ কোটি টাকা ফেরতে মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংককে আলটিমেটাম দিয়েছে বিটিআরসি। সংস্থাটি বাংলালিংকের শীর্ষ নির্বাহীর কাছে পাঠানো চিঠিতে অবিলম্বে টাকা পরিশোধের জন্য বলেছে; অন্যথায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে। তবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছে বলে জানায় বাংলালিংক। বিটিআরসির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। তথ্য বলছে, দেশের বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংক ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ২৩ বছর ধরে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজের (আরজেএসসি) চোখে ধুলা দিয়ে ধারাবাহিকভাবে সরকারি বিভিন্ন মাশুলের টাকা ফাঁকি দিয়ে আসছে। সম্প্রতি বিটিআরসির এক বিশদ নিরীক্ষায় ধরা পড়ে, অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা, সিম কার্ড বিক্রির ভ্যাট মেরে দেওয়া, স্পেকট্রাম ভাড়া কম দেওয়াসহ সরকারি বিভিন্ন সেবা-মাশুলের ৮২৩ কোটি টাকা সরকারি তহবিলে জমা না দিয়ে নিজের পকেটে পুরেছে কোম্পানিটি। টাকা আদায়ের তাগাদা দিলেও সাড়া নেই বাংলালিংকের। বিটিআরসির নিয়োগ করা বাংলাদেশের নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান মাসিহ মুহিত হক অ্যান্ড কোম্পানিকে সঙ্গে নিয়ে গত ২৩ বছরের নিরীক্ষা কার্যক্রম সম্পাদন করে ভারতীয় ফার্ম এএনবি সলিউশনস প্রাইভেট লিমিটেড। ২০২১ সালে বিটিআরসি ফার্ম দুটিকে এ নিরীক্ষার কাজে নিয়োগ করে। সূত্র: আজকের পত্রিকা।

রাষ্ট্রীয় পুরস্কার একদিনের সম্মান
এই তো সেদিনের কথা। অনেকেই চমকে উঠেছিলেন খবরটা দেখে। স্বাধীনতা পুরস্কার ও একুশে পদক বেচে দেবেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। সময় দিয়েছিলেন এক মাস। হতাশা কোন পর্যায়ে গেলে দেশের সেরা প্রায় সব পুরস্কারে ভূষিত একজন রাষ্ট্রীয় পদক বেচে দিতে চান। যদিও কবির আলটিমেটামে কাজ হয়নি। সরকার সমস্যার সমাধান করেনি।কবি কি বাড়তি সুবিধা চেয়েছিলেন সরকারের কাছে? ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে তিনি একটি তিনতলা বাড়ি বানিয়েছেন। বিদ্যুৎ সংযোগ পেলেও গ্যাস সংযোগ মেলেনি। বারবার চেষ্টা করেও না। খোলা বাজার থেকে চড়া দামে কবিকে তরল গ্যাস কিনতে হয়। হতাশ হয়ে কবি পদক বেচে দেওয়ার হুমকি দেন।গত বছর ২৫ অক্টোবর ফেসবুকে এ ঘোষণা দেওয়ার পর তা ভাইরাল হয়। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনে কথার ঝড় ওঠে। সরকারের ভেতরে-বাইরেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়। তবে এ প্রতিক্রিয়া মিইয়ে যেতেও সময় লাগেনি।
নির্মলেন্দু গুণ কি খুব বেশি কিছু চেয়েছিলেন? রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পুরস্কারপ্রাপ্তদের সামান্য বাড়তি সুবিধা কি দেওয়া যায় না? কবি তো বিনামূল্যে সুবিধাটুকু চাননি। সূত্র: দেশ রুপান্তর

স্লোগানে-মিছিলে মুখরিত রংপুর নগরী
বাস, ট্রেন, মাইক্রোবাস, পিকআপ ভ্যান, সিএনজি বা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা করে আসছেন নেতা-কর্মীরা। পায়ে হেঁটেও আসছেন অনেকে।রংপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহাসমাবেশ শুরুর আগেই খণ্ড খণ্ড মিছিলে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো নগরী। রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগের এই বিভাগীয় মহাসমাবেশ বুধবার বিকালে হলেও সকাল থেকেই পূর্ণ হতে শুরু করেছে সমাবেশস্থল। ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা-স্বাগতম’ স্লোগানে মুখর রংপুরের অলিগলিতে গণমানুষের ঢল নেমেছে। মঙ্গলবার মধ্যরাত স্লোগান দিতে দিতে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে দলে দলে নেতা-কর্মীরা আসছেন রংপুর মহানগরীতে। বাহারি সাজসজ্জা আর বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে বিভিন্ন স্লোগানে নেচে গেয়ে উচ্ছ্বাস করছেন তারা।লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও রংপুরের বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা আসছেন দলে দলে। সূত্র: বিডি নিউজ

একদফার আন্দোলন
জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব কমাতে বিএনপি নেতাদের নির্দেশ

সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন করছে বিএনপি। তবে দীর্ঘদিনের মিত্র জামায়াতে ইসলামী এই মুহূর্তে তাদের সঙ্গে নেই। মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরুর পর থেকে দীর্ঘদিন রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে ছিল জামায়াত। তবে কিছুদিন ধরে আলাদা কর্মসূচির মাধ্যমে নিজেদের শক্তি-সামর্থ্য জানান দিতে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন বাতিল হওয়া দলটি। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জামায়াতকে আবারও কাছে টানতে চাইছে বিএনপির হাইকমান্ড। আলাপ-আলোচনা করে পুরোনো মিত্রের সঙ্গে দূরত্ব ঘোচাতে এরই মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের নেতাদের নির্দেশনা দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, গত ডিসেম্বরে যুগপৎ আন্দোলনের শুরুতে দুটি কর্মসূচিতে বিএনপির সঙ্গে ছিল জামায়াত। এরপর থেকে তারা এককভাবে কর্মসূচি পালন করছে। গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে ১০ দফার ভিত্তিতে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। এর আগের দিন গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে জোট বিলুপ্তির ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর থেকে আন্দোলন বা কর্মসূচি নিয়ে জামায়াতের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেনি বিএনপি। বিষয়টিকে ভালোভাবে নেয়নি জামায়াত। সূত্র: কালবেলা।

সরকারি কর্মকর্তাদের ‘ভয় না পাওয়ার’ আহবান কেন জানালেন প্রধানমন্ত্রী?

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিরোধীদের আন্দোলন দেখে তারা যেন ভয় না পান। সোমবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক দেয়ার সময় তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি বলেছেন, ‘’একটু আন্দোলন-সংগ্রাম দেখলে ভয় পাবেন না। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। জনগণ যতক্ষণ আমাদের সাথে আছে…যারা আন্দোলন করতে চায়, জ্বালাও-পোড়াও করতে চায়, জ্বালাও-পোড়াও করাটা আমরা সহ্য করব না। সেটা কখনোই মেনে নেয়া যাবে না, তবে আন্দোলন বা সংগ্রাম যাই করুক, তাতে আমাদের আপত্তি নেই, কিন্তু আমাদের দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে আমরা ছিনিমিনি খেলতে দেব না।’ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বক্তব্য দিলেন এমন সময়ে যখন আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। অনেক সময় বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকা করার ঘোষণাও এসেছে।একদিকে যেমন নির্বাচন কালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিরোধী দলগুলো একের পর এক রাজনৈতিক কর্মসূচি দিচ্ছে, তেমনি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক দেশের চাপ রয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বরাবরই জানিয়ে দেয়া হয়েছে, সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।