প্রকাশিত: ৬:০৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৮, ২০২৩
সারাদিন ডেস্ক
আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে ডিমের বাজার। প্রায় ১০ দিনের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে প্রতি ডজন ডিমে দাম বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। এখন প্রতি হালির দর উঠেছে ৫২ থেকে ৫৫ টাকা। দেশে এর আগে কখনো এত দামে মানুষকে ডিম কিনতে হয়নি। ডিমের মূল্যবৃদ্ধিতে প্রভাব পড়ছে দরিদ্র মানুষের আমিষের চাহিদায়। দুর্মূল্যের বাজারে পরিবারের খাবার খরচ কমাতে যারা ডিম খাচ্ছিলেন, তাদের ঘাড়ের বোঝাটা আরেকটু ভারী হয়েছে। তবে আশ্বর্য হলো বাড়তি দামে কেনা-বেচা হলেও এর কারণ জানেন না ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর , রামপুরা, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও মিরপুর এলাকা ঘুরে ডিমের দামের এই চিত্র দেখা গেছে।
এসব এলাকায় ডিম সরবরাহেও কোনো ঘাটতি নেই। প্রতিটি দোকানেই থরে থরে সাজানো রয়েছে ডিম। দোকানিদের ভাষ্য, সকালেই দোকানে ডিম এসেছে। চাহিদা অনুপাতে ডিমও পেয়েছেন। শুধু দাম বেশি।
ভোক্তা অধিদফতরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গত বছর আমরা এই ডিম নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছি। তখন একটা বিশেষ প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল। এবার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তার বা প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় যদি আমাদের এই বিষয়ে কাজ করতে বলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
গত দুই দিন রাজধানীর বিভিন্ন বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকারভেদে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা দরে। সেই হিসাবে প্রতি হালি ডিমের দাম পড়ে ৪৮ টাকা ৩৩ পয়সা থেকে ৫০ টাকা। আর সেই ডিম খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৭৫ টাকা ডজন। আর সুপারশপগুলোতে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকায়। খুচরায় ছোট আকারের ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। বিভিন্ন মহল্লার অলিগলির দোকানে ৬০ টাকা হালি ডিম বিক্রি করছেন। অন্যদিকে হাঁসের ডিমের ডজন পাইকারিতে ২১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি হালি ৭০ টাকা। খুচরায় প্রতি ডজন ২৪০ টাকা।