Print

সারাদিন

বান্দরবানে বন্যা: রাস্তা মেরামতে লাগবে ১৫০ কোটি টাকা

প্রকাশিত: ১:৩৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২১, ২০২৩

বান্দরবান সংবাদদাতা

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে টানা সাত দিনের বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বান্দরবান জেলা সদরের সাথে প্রায় সবগুলো উপজেলার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফলে গত ৭ আগস্ট থেকে বান্দরবান-সুয়ালক-লামা অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

জানা গেছে, সড়কের উপর পাহাড় ধস, সড়কের দুই পাশের মাটি সরে গিয়ে মাঝে বৃহৎ আকারের ফাটল, সড়কের পাশে মাটি সরে গিয়ে রাস্তার একপাশ পুরোপুরি ধসে যাওয়ার দৃশ্য সবখানে চোখে পড়ছে। বিশেষ করে জেলার লামা-সুয়ালক সড়ক, হলুদিয়া-ভাগ্যকুল সড়ক, থানচি-বলিপাড়া সড়ক, রুমা-পলিকা পাড়া সড়ক, আলীকদম-দোছড়ি সড়ক, নাইক্ষ্যংছড়ি-আলীকদম সড়ক, নাইক্ষ্যংছড়ি-তুম্ব্রু সড়ক, গাজালিয়া-ফাইতং সড়ক, রোয়াংছড়ি-কালাঘাটা, তারাছা সড়ক, লিরাগাও সড়ক, খানসামা, বাগমারা সড়কসহ আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বান্দরবান টু লামা অভ্যন্তরীণ ৫৬ কিলোমিটার সড়ক। অতিবৃষ্টির কারণে সড়কের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে এবং সড়কের দুইপাশে মাটি সরে গিয়ে সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়াতে গত ৭ আগস্ট থেকে বান্দরবান-লামা অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং গণমাধ্যমকে জানান, গত ১৩ আগস্ট জেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় বন্যা পরিস্থিতিতে জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নিরুপন করে তার সঠিক তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ গুলোকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বান্দরবান স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল ইসলাম মজুমদার গণমাধ্যমকে জানান, গত ৩৮ বছরেও এমন বন্যা পরিস্থিতি হয়নি। বিগত সময়ের কোনো বন্যায় রাস্তাঘাটের এত বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে বন্যায় সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করা হয়েছে, তা পর্যালোচনায় দেখা যায়, ইনভেনটরি ভুক্ত ৯০০ কিলোমিটার পাকা রাস্তার মধ্যে ৩০০ কিলোমিটার পাকা রাস্তাই প্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা মেরামতের জন্য ১৫০ কোটি টাকা লাগবে। এছাড়াও এলজিইডি নিজস্ব কার্যালয় ও পরিক্ষণ ল্যাব, গাড়ি ও স্থাপনারো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ২০ লাখ টাকার মতো।

সারাদিন/২১ আগস্ট/এমবি

Nagad
Nagad