প্রকাশিত: ৬:৪৮ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৬, ২০২৩
সাভার প্রতিনিধি:
সাভারের আশুলিয়ায় এক স্কুল শিক্ষিকাকে শারিরীক ও মানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ তার ব্যাংকার স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় একটি জিডি করেন ভুক্তভোগী ওই স্ত্রী।
বুধবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষিকা মৌরিন আক্তার নিজে বাদী হয়ে থানায় জিডি করেন।
ভুক্তভোগী ওই স্কুল শিক্ষিকা মৌরিন আক্তার (২৫) আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকার মোঃ মোশারফ হোসেনের মেয়ে। সে আলহাজ্ব জাফর বেপারী উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষাকতা করেন বলে জানা যায়।
অভিযুক্ত স্বামী মশিউর রহমান (৩৪) আশুলিয়া চারিগ্রাম তাফফার রহমানের ছেলে। সে ব্যাংক এশিয়া লিঃ এর মানিকগঞ্জ সাটুরিয়া শাখায় অফিসার হিসাবে কর্মরত আছে বলে জানা যায়।
জিডি সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি ইসলামি শরিয়া অনুযায়ী পারিবারিক ভাবে তাদের বিবাহ হয়। বিয়ের ৩ মাস পরে তাকে বাড়িতে উঠাইয়া নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হলেও তার স্বামী তাকে বাড়িতে উঠাইয়া নেয়নি। অভিযুক্ত স্বামী ভুক্তভোগী স্ত্রীর বাবার বাড়িতে মাঝে মধ্যেই যাওয়া আসা করতে থাকে। বিবাহের ৩/৪ মাস পর হইতে অভিযুক্ত স্বামী কারনে অকারনে তার স্ত্রীর সাথে খারাপ আচরনসহ শারীরিক ও মানসিক ভাবে অন্যায় অত্যচার করে। ভুক্তভোগী প্রতিবাদ করলে তাকে তালাক প্রদানের হুমকি প্রদান করে।
সর্বশেষ গত ১৫ আগস্ট ভুক্তভোগীর বাবার বাসায় এসে তার সাথে সাংসারিক খুটিনাটি বিষয় নিয়ে ঝগড়া শুরু করে এবং তাকে নিয়ে সংসার করবে না বলে জানিয়ে দেয়। এ সময় বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতিসহ হুমকি প্রদান করে। পরে ভুক্তভোগী বাধ্য হয়ে এ বিষয়ে থানায় একটি জিডি করেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষিকা মৌরিন আক্তার বলেন, বিয়ের পর থেকে সে আমার নিকট মোটা অংকের টাকা দাবী করেন। টাকা না দেওয়ায় সে আমার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন। পরে আমি কোনো উপায় না পেয়ে থানায় জিডি করতে বাধ্য হয়েছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত স্বামী মশিউর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল মোল্লা বলেন, শুনেছি এ বিষয়ে একটি জিডি হয়েছে। কিন্তু এখনো হাতে পায়নি।