প্রকাশিত: ১০:২৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৩
সারাদিন ডেস্ক
সার নিয়ে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, গ্যাসের কারণে সারের কিছুটা সংকট হয়েছিল। সেটা এখন থাকবে না। ঘোড়াশাল-পলাশসহ বিভিন্ন সর কারখানা শিগগির চালু করা হচ্ছে। আমরা এখন এগুলো চালু রাখতে পারলে আমাদের সার আমদানির প্রয়োজন হবে না।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) তিন দিনব্যাপী ‘নবম বাপা ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো-২০২৩’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষনে শিল্পমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রী চিনিকলসহ যেসব সরকারি কল-কারখানা এবং সেগুলোর জমি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে, সেগুলোতে বিনিয়োগ করতে বেসরকারি খাত সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের চিনিকলসহ অনেক প্রতিষ্ঠান বিশাল জায়গা নিয়ে রয়েছে। পঞ্চগড় থেকে শুরু করে অনেক জায়গায় এসব কল-কারখানা আছে, যার অনেকগুলো এখন বন্ধ। মেশিনগুলো পুরোনো হয়ে গেছে, আমরা সেগুলোর আধুনিকায়ন করতে পারিনি। সেখানে এখন মাথাভারী প্রশাসন, যারা বসে বসে খাচ্ছে। এগুলোর উৎপাদন বাড়ানোর জন্য আপনারা নেন। এখানে বিনিয়োগ করুন। আমার দেশের যারা বিনিয়োগকারী আছেন, তাদেরকে আমি স্বাগত জানাই।’
বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) ও রেইনবো এক্সিবিশন অ্যান্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস (রিমন) এ প্রদর্শনীর আয়োজক।
অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত অ্যান্টোনিও আলেসান্দ্রো, এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, বাংলাদেশ সিড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনিস উদ দৌলা, মেলা কমিটির চেয়ারপারসন ও প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী, বাপার সাধারণ সম্পাদক ইকতাদুল হক, সাবেক সহ-সভাপতি শোয়েব হাসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ‘অনেক সময় ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হন। তবে তাদের কোনোরকম অসম্মান করার ইচ্ছে সরকারের নেই। কখনো কখনো অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে হয়ে যায়। তবে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের যে চরিত্র রয়েছে সেটা অসাধু ব্যবসায়ীদের থেকে আলাদা। অসাধু কিছু চোরাকারবারি রয়েছেন, যাদের জন্য প্রকৃত ব্যবসায়ীরা অনেক সময় হয়রানির শিকার হন। প্রকৃত ব্যবসায়ীদের আমরা শ্রদ্ধা করি, সম্মান করি।’
তিন দিনব্যাপী নবম বাপা ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো প্রতিদিন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে, যা সবার জন্য উন্মুক্ত। এ মেলায় প্রদর্শনী ছাড়াও কারিগরি সেশনে দেশ-বিদেশে এ খাতের সঙ্গ যুক্ত বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গ দেশীয় প্রতিষ্ঠানের বিজনেস ম্যাচিং সেশনের ব্যবস্থা থাকছে এ মেলায়।
এ মেলায় ভারত, চীন, জার্মানি, ইতালি, যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড, স্লোভেনিয়াসহ প্রায় ২০টি দেশের শতাধিক প্রতিষ্ঠান নিজেদের পণ্য এবং সেবা প্রদর্শন করছে। এই মেলার সঙ্গে ১১তম অ্যাগ্রো বাংলাদেশ এক্সপো ২০২৩ এবং ইনডিয়েন্ট এক্সপো ২০২৩ নামে আরও দুটি মেলা অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৫ সাল থেকে এসব মেলার আয়োজন করে আসছে বাপা।