প্রকাশিত: ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৯, ২০২৩
সারাদিন ডেস্ক
ইসরায়েলে অতর্কিত হানা
হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে সেনাদের তীব্র লড়াই
গাজা উপত্যকার পাশের ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর লড়াই রবিবারও চলছিল। গত শনিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া হামাসের হামলায় গতকাল পর্যন্ত অন্তত ৬০০ ইসরায়েলি নিহত এবং দুই হাজারেরও বেশি আহত হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলের পাল্টা বিমান হামলায় গাজায় ২০ শিশুসহ অন্তত ৩৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং দুই হাজারেরও বেশি আহত হয়েছে। এরই মধ্যে হামাসকে উৎসাহ দিতে ইসরায়েলি অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে লেবাননের ইরান সমর্থিত সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। গোলা ছুড়ে এ হামলার জবাব দিয়েছে ইসরায়েল। সূত্র: কালের কণ্ঠ
ইসরায়েলি হামলায় ১ লাখ ২৩ হাজার ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত
জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা বলছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ১ লাখ ২৩ হাজার ৫৩৮ জন ফিলিস্তিনি যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণের ফলে ঘরবাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্ট ভবনলক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে, যার মধ্যে কয়েকটিতে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার কোনো সতর্কতা ছাড়াই হামলা চালানো হয়েছে। ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা অনুমান করছে, গাজার ৬৪টি স্কুলে ৭৩ হাজার ৫৩৮ জন আশ্রয় নিয়েছে।গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো দক্ষিণ ইসরায়েলে সমন্বিত হামলা চালানোর পর ইসরায়েল দরিদ্রপীড়িত অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। গাজা পাওয়ার প্ল্যান্ট এখন বিদ্যুতের একমাত্র উৎস এবং কয়েক দিনের মধ্যে জ্বালানি ফুরিয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। গাজার দক্ষিণাঞ্চলের রাফাহ শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় একই পরিবারের ১৯ জন নিহত হয়েছেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
মেক্সিকো সীমান্তে দেওয়াল নির্মাণ
ট্রাম্পকেই অনুসরণ করলেন বাইডেন!
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন গত বৃহস্পতিবার অনেকটা নীরবেই মেক্সিকো সীমান্তে আরো প্রাচীর নির্মাণের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এর ফলে বাইডেন নিজ দল ডেমোক্র্যাট ও বিরোধীদল রিপাবলিকানদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছেন। কারণ শেষপর্যন্ত তিনি পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের পথেই হাঁটলেন। অভিবাসী সংকট সমাধানে ট্রাম্প যে সঠিক ছিলেন, সেটাই যেন মেনে নিলেন তিনি।মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের বিষয়টি ছিল সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটি বহুল আলোচিত নীতি। এই দেওয়াল নির্মাণের জন্য ট্রাম্পকে ‘বর্ণবাদী’ আখ্যা দিয়েছিল ডেমোক্র্যাটরা। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারাভিযানে ট্রাম্পের এই নীতির তীব্র সমালোচনা করেছিলেন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী বাইডেন। সে সময় তিনি অঙ্গীকার করেছিলেন যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে মেক্সিকো সীমান্তে আর কোনো প্রাচীর নির্মাণ করবেন না। নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেন বাইডেন। দায়িত্ব নিয়েই এক আদেশে তিনি বলেছিলেন, মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণে আর কোনো অর্থ বরাদ্দ করা হবে না। এখন সেই বাইডেনই মেক্সিকো সীমান্তে নতুন করে দেওয়াল তুলতে যাচ্ছেন। সূত্র: ইত্তেফাক
৬৫৯ ইসরাইলি নিহত, নিখোঁজ ৭৫০
ইসরাইল-হামাস তুমুল লড়াই, ধ্বংসস্তূপ গাজা
মার্কিন সামরিক সরঞ্জামবাহী জাহাজ ইসরাইলের পথে
গাজায় ইসরাইলি বিমানবাহিনীর তীব্র হামলার মধ্যেই ইসরাইলের ভেতরে তুমুল লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ইসরাইলের হামলা থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। অব্যাহত বিমান হামলায় গাজা যেন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ইসরাইলি বিমানবাহিনীর ৫০টি বিমান একযোগে হামলা চালিয়ে হামাসের লঞ্চিং প্যাডসহ গাজার ৮০০ লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করেছে। গাজায় টনে টনে বোমা ফেলছে ইসরাইলি বাহিনী। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রোববার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে আরও সামরিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে জাহাজ ইসরাইলের পথে রয়েছে। বাইডেন সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিকদের হতাহত ও নিখোঁজের ঘটনায় নেতানিয়াহুকে গভীর সহানুভূতি জানান। এদিকে গাজায় হামাসের হাতে জিম্মিদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মার্কিন নাগরিক রয়েছেন বলে ইসরাইলের স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফয়ার্স মন্ত্রী রন ডেরমার জানান। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, তারা এই খবরের সত্যাসত্য যাচাই করে দেখছেন।ইসরাইলি বিমান হামলায় বিধ্বস্ত ভবনের কারণে বন্ধ হয়ে আছে গাজার প্রধান সড়ক। শনিবার রাত থেকে সেখানে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের জরুরি সেবা। এ হামলায় ৩৭০ নিহত এবং প্রায় ২,০২২ জন আহত হয়েছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। সূত্র: যুগান্তর
ইসরায়েলে সংগীত উৎসবস্থলে মিলল ২৬০ লাশ
ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে নেগেভ মরুভূমি থেকে ২৫০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার এ তথ্য জানায় দেশটির উদ্ধারকারী সংস্থা জাকা। নেগেভ মরুভূমিটি কিব্বুৎজ রি-ইম এলাকা ও গাজা উপত্যকার কাছাকাছি। সেখানে চলছিল সুপারনোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যাল। সেখানে কয়েক সপ্তাহ ধরেই জড়ো হচ্ছিলেন সংগীতপ্রেমীরা। শনিবার সকালে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে হামলা চালান হামাস যোদ্ধারা। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন শত শত মানুষ। ওই সময় শতাধিক মানুষকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। খবর বিবিসির।হামলার সময় মিউজিক ফেস্টিভ্যালে উপস্থিত ছিলেন গিলি ইয়োসকোভিচ নামে এক ইসরায়েলি নারী। তিনি জানান, হামাস যোদ্ধারা যখন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন, ওই সময় সবাই নাচে মত্ত ছিলেন। যোদ্ধারা সেখানে গিয়েই গুলি শুরু করেন। যাকে সামনে পাচ্ছিল, তাকেই গুলি করছিল। সূত্র: সমকাল
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ১৫ হাজার বিদেশি গ্রেপ্তার
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ১৫ হাজার ২০১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আবাসন, কর্ম এবং সীমান্ত নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবরের মধ্যে এসব ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ রোববার গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৫২৭ জন ছিলেন যারা অবৈধ উপায়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে সৌদি আরবে অনুপ্রবেশ করেছিলেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৫ শতাংশই ইয়েমেনি এবং ৪৩ শতাংশ ইথিওপিয়ার। বাকি ২ শতাংশ অন্যান্য দেশের নাগরিক। অবৈধ উপায়ে সীমান্ত দিয়ে সৌদি আরব ত্যাগ করতে গিয়েও গ্রেপ্তার হয়েছেন ৬৬ জন। নীতিমালা ভঙ্গ করে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের পরিবহন, আশ্রয় প্রদান এবং চাকরি দেওয়ার অভিযোগেও ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সূত্র: আজকের পত্রিকা
ইসরায়েলকে সমর্থন জানিয়েছে ভূমধ্যসাগরে মার্কিন রণতরী
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের হামলার পর ইসরায়েলকে সমর্থন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে একটি বিমানবাহী রণতরী পূর্ব ভূমধ্যসাগরের পথে রয়েছে। রয়েছে যুদ্ধজাহাজ ও জেট। এছাড়া অতিরিক্ত যুদ্ধ সরঞ্জাম ও গোলাোরুদ সরবরাহের কথাও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর বিবিসি। গতকাল রোববার (৮ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এক বিবৃতিতে এ সহায়তার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড বিমানবাহী রণতরী, একটি ক্ষেপণাস্ত্র ক্রুজার ও চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ডেস্ট্রয়ার ওই অঞ্চলে যাচ্ছে। মার্কিন যুদ্ধবিমানও পাঠানো হবে।লয়েড অস্টিন বলেন, এ সহায়তা ইসরায়েলি বাহিনী ও নাগরিকদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অটুট সমর্থনকেই তুলে ধরেছে।হামাসের হামলার পর থেকেই ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্ররা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হামাসের এই হামলাকে ‘ভয়ঙ্কর আক্রমণ’ বলে অভিহিত করেছেন। সূত্র: বণিক বার্তা
অসলো শান্তি চুক্তির পর ফিলিস্তিন সংকট কীভাবে বর্তমান পর্যায়ে এলো
নরওয়ের রাজধানী অসলোতে ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলিদের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৯৯৩ সালে এবং ওই চুক্তির জন্য তখনকার পিএলও নেতা ইয়াসির আরাফাত এবং তৎকালীন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিন নোবেল শান্তি পুরষ্কারও পেয়েছিলেন। ওই চুক্তির ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের মধ্যে যে বোঝাপড়া হয়েছিলো তাহলো- ফিলিস্তিনিরা স্বশাসনের আংশিক অধিকার পাবে এবং ইসরায়েল প্রথমে পশ্চিম তীরের জেরিকো এবং তারপর গাজা থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেবে। এর পরিবর্তে, ইসরায়েলি রাষ্ট্রের বৈধতা স্বীকার করে নেবে পিএলও।কয়েক দশকের সংঘাতের শেষে এই সমঝোতাকে তখনকার প্রেক্ষাপটে বিরাট সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করা হলেও বাস্তবতা হলো- ওই চুক্তির তিন দশক পরেও এখন ‘যুদ্ধাবস্থা’ বিরাজ করছে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের ইসরাইলের ভূখণ্ডের ভেতরে আকস্মিক কিন্তু ব্যাপক এক হামলার কারণে।সবশেষ খবর অনুযায়ী সাতশোর বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছে হামাসের হামলায় ও জিম্মি করা হয়েছে বেশ কিছু ইসরায়েলিকে। গাজার কাছে ইসরায়েলি ভূখণ্ডেই লড়াই চলছে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
ফিলিস্তিনের আত্মরক্ষার্থেই ইসরায়েলে হামলা: ইরান
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ফিলিস্তিনের আত্মরক্ষার্থেই শনিবার ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ফিলিস্তিনের অধিকারকে সমর্থন দেওয়ার জন্য মুসলিম দেশগুলোকে আহ্বানও জানিয়েছে ইরান। কয়েক দশকের মধ্যে শনিবার হামাস আকস্মিকভাবে ইসরায়েলে হামলা চালায়। দিনটি ছিল ইহুদিদের ছুটির দিন। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা রকেট হামলা চালানোর পাশাপাশি সুপরিকল্পিতভাবে স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথ ব্যবহার করে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ঢুকে পড়ে। সূত্র: বিডি নিউজ
‘ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ইরানের সম্পৃক্ততা নেই’
ইসরায়েলে হামাস যে আকস্মিক হামলা চালিয়েছে তাতে ইরান সরাসরি জড়িত নয় বলে দাবি করা হয়েছে। তেহরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ইরানের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ইরানের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা ফিলিস্তিনের প্রতি দৃঢ় সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। তবে আমরা ফিলিস্তিনের এ ধরনের হামলার সঙ্গে জড়িত নই। ফিলিস্তিনিরা নিজেরাই এসব হামলা চালাচ্ছে। সূত্র: জাগো নিউজ