প্রকাশিত: ৬:০৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০২৩
সারাদিন ডেস্ক
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সংঘাত রূপ নিয়েছে যুদ্ধে। ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধ তীব্র থেকে তীব্র হচ্ছে। গত শনিবার হামাস ইসরায়েলের উপর প্রথম হামলা চালায়; এরপর ইসরায়েল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা লক্ষ্য করে অব্যাহতভাবে বোমা ছুড়ে যাচ্ছে।
এরইমধ্যে গাজাকে পুরোপুরি অবরোধ করেছে ইসরায়েল। গাজা উপত্যকায় অনবরত হামলা চালাচ্ছে তাদের সামরিক বাহিনী। ক্রমাগত হামলার জেরে গাজায় বাস্তচ্যুত হয়েছে এক লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ এরও বেশি মানুষ। জাতিসংঘ থেকে আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।
এদিকে ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের ভয়াবহ হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান। তবে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, যেসব ফিলিস্তিনি ইসরায়েলের উপর হামলার পরিকল্পনা করেছেন তাদের হাতে চুম্বন করেন তারা।
স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালানো শুরু করে। এতে এখন পর্যন্ত ৯০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। যারা এ হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাদের প্রশংসা করেছেন খামেনি।
তিনি বলেছেন, ‘যেসব ফিলিস্তিনি ইহুদিবাদীদের উপর হামলার পরিকল্পনা করেছেন তাদের হাতে চুম্বন করি আমরা। এই বিপর্যয়কারী ভূমিকম্প (ইসরায়েলের) বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস করেছে; যেগুলো সহজেই সারানো যাবে না… ইহুদিবাদীদের নিজেদের কর্মকাণ্ড এই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী।’
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফিলিস্তিনকে ‘জাতিগতভাবে নির্মূল’ করার বিষয়ে ইসরায়েলকে সবুজ সংকেত দিয়েছেন। ইসরায়েলের প্রতিনিধি পরিষদ নেসেটের সাবেক সদস্য সামি আবু শাহাদেহ এ অভিযোগ করেছেন। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
এদিকে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় গাজায় ৭৭০ জন নিহত ও চার হাজারেরও বেশি আহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ১৪০ জন শিশু ও ১২০ জন নারী। এ ছাড়া অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় ১৮ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছে।
চলমান যুদ্ধে ফিলিস্তিনি নাগরিকদের অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে হামাস। সংগঠনটির রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘গাজায় আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যে ধ্বংসযজ্ঞ ও বর্বরতা চালিয়েছে তা আল-কাসাম এবং প্রতিরোধ গোষ্ঠীর হামলার ফলে সৃষ্ট ফলাফলকে প্রতিফলিত করে। অপরাধ ও জঙ্গীবাদের জন্য শত্রুদের এর জন্য চরম মূল্য দিতে হবে।’
আকাশপথে এখনও ইসরায়েলে হামলা অব্যাহত রেখেছে হামাস। গাজা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইহুদি দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বেরসেবাতে এখনও সাইরেন বাজছে। সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শঙ্কার কথা জানিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। আর হামাসের ক্রিপ্টোক্যারেন্সি (গুপ্তমুদ্রা) অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে।
ইসরায়েলের পুলিশ বলছে, সাইবার ইউনিট অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে। এসব অ্যাকাউন্ট দিয়ে অর্থ সংগ্রহ করতো হামাস।