Print

সারাদিন

অর্থ আত্মসাৎ: সোনালী ব্যাংকের অফিসারসহ চার জনের কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ৪:৪৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৭, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের মামলায় সোনালী ব্যাংকের সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার মো. নাইমুল ইসলামসহ ৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন– সোনালী ব্যাংকের হিসাবধারী রফিকুল ইসলাম, মো. আল আমিন ও মোছা. লিপি বেগম।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে নাইমুল ইসলামকে এক ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৮১ লাখ ২৭ হাজার ৬৩১ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। আরেক ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও ৬ মাস কারাভোগ করতে হবে। তার দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে। সে জন্য তাকে ১৭ বছরের কারাভোগ করতে হবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন আদালত।

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অপর তিন আসামিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যেককে ৮১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। যা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে।

এদিন কারাগারে আটক আসামি নাইমুল ইসলাম ও রফিকুলকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা আল আমিন আদালতে উপস্থিত হন। তাদের উপস্থিতিতে আদালত রায় ঘোষণা করেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। তবে আসামি লিপি উপস্থিত না থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সোহানুর রহমান সোহান এসব তথ্য জানান।

Nagad
Nagad

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ২১ জুন পর্যন্ত আসামিরা বিভিন্ন তারিখে এক কোটি ১৯ লাখ ১৯ হাজার ২০৪ টাকা নির্ধারিত হিসাবে জমা না করে চারটি হিসাবে পরস্পর যোগসাজশে স্থানান্তর করে প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ২৩ জুন সোনালী ব্যাংকের ওয়াপদা ভবন কর্পোরেট শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেন।

তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে একই বছরের ৮ মার্চ পলাতক লিপি বেগমের অনুপস্থিতিতে আসামিদের বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।