প্রকাশিত: ১২:১৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৫, ২০২৩
সারাদিন ডেস্ক
ইসরায়েল ‘নতুন মারণাস্ত্র’ ব্যবহার করছে, দাবি গাজার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের
গাজা উপত্যকার একটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে হামলায় ইসরায়েল ‘নতুন ধরনের মারণাস্ত্র’ ব্যবহার করছে। তাদের দাবি, হামলায় আহত হাসপাতালে আসা ব্যক্তিদের আঘাতের চিহ্ন আগের সময়ের চেয়ে আলাদা।৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।গাজা শহরের আল শিফা হাসপাতালের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবু সালমিয়া বলেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েল এর আগে যত হামলা চালিয়েছে, সেগুলোতে আহত ব্যক্তিদের আঘাতের ধরনের সঙ্গে এবারের আঘাতের মিল নেই। ইসরায়েলের হামলায় আহত ব্যক্তিদের শরীরে এমন আঘাতের চিহ্ন আগে কখনো দেখেননি বলে তাঁর দাবি। সূত্র: প্রথম আলো
গাজায় সংঘাত বন্ধে চীনের সঙ্গে আলোচনায় উন্মুখ যুক্তরাষ্ট্র
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে বললেন অ্যান্টনি ব্লিংকেন
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে জানিয়েছেন, গাজায় হামাস-ইসরায়েল সংঘাত যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য তিনি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে কাজ করবেন। তিনি বলেন, এই কাউন্সিলের সদস্যদের, বিশেষ করে স্থায়ী সদস্যদের সংঘাতের বিস্তার রোধে বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। এজন্য আমি চীনের সঙ্গে আলোচনার জন্য উন্মুখ। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এ কথা বলেন ব্লিংকেন। খবর-বিবিসি-ওয়াং ইয়ের বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র সফরের কথা রয়েছে। যদিও তার এ সফরের উদ্দেশ্য আগামী মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের দেশটিতে আনুষ্ঠানিক সফরের প্রস্তুুতির ক্ষেত্র তৈরি করা, তবে মধ্যপ্রাচ্যের এই সংকট ওই সফরের আলোচ্য সূচিতে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। সূত্র: সমকাল
হামাসের পতন হলে কার নিয়ন্ত্রণে যাবে গাজা
দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন
ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। সংগঠনটি ২০০৭ সাল থেকে ৩৬৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের গাজার শাসন ক্ষমতায় আছে। ইসরায়েলকে ধ্বংস করার মতবাদে বিশ্বাসী হামাসকে অস্ত্র, অর্থ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করে ইরান। গাজার শাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকে ইসরায়েলের সঙ্গে বেশ কয়েকবার সংঘাতে জড়িয়েছে হামাস। প্রত্যেকবারই ইসরায়েল লক্ষ্য করে হাজারো রকেট হামলা চালানো হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলার মাধ্যমে হামাসের জবাব দিয়েছে ইসরায়েল। এরপর ১৭ দিন ধরে লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এ পর্যন্ত অন্তত ৬ হাজার ফিলিস্তিনি মুসলমানকে হত্যা করেছে। যার অর্ধেক শিশু। এর মধ্যে গাজায় স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ইসরায়েল। যা আপাতত প্রতিহত করার ক্ষমতা নেই হামাসের। এমন পরিস্থিতিতে গাজার নিয়ন্ত্রণ কার হাতে যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অর্থাৎ হামাসের পতন হলে সেখানের শাসন ব্যবস্থার কী হবে? এক্ষেত্রে ইসরায়েলের মিত্ররা প্যালিস্টিনিয়ান অথরিটিকে (পিএ) বিবেচনা করছে। ২০০৫ সালে ইসরায়েল তাদের সৈন্য প্রত্যাহারের দুই বছর পর পিএকে সরিয়ে গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয় হামাস। কিন্তু হামাসের পতন হলে ফের অবরুদ্ধ গাজার দায়িত্ব তারা নেবে কি না তা স্পষ্ট নয়। তাছাড়া এই যুদ্ধ শেষ হলে পশ্চিম তীরের ডি ফ্যাক্টো রাজধানী রামাল্লার নিয়ন্ত্রণও তাদের কাছে থাকবে কি না তাও বলা যাচ্ছে না। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
চীনা মন্ত্রিসভায় রদবদল
অবশেষে সরিয়ে দেওয়া হলো লি শেংফুকে
চীন ► লি শেংফু গত কয়েক মাস জনসমক্ষে ছিলেন না। মন্ত্রিসভার রদবদলের দিন গতকাল চীন শেংফুকে মন্ত্রিসভা থেকে অব্যাহতির কথা জানাল
অবশেষে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শেংফুকে সরিয়ে দেওয়া হলো। এর আগে কিন গ্যাংকেও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেয়। গত জুলাই মাসে গ্যাংকে সরানোর কথা প্রথমে জানানো হয়। এরপর শেংফু গত কয়েক মাস জনসমক্ষে ছিলেন না। মন্ত্রিসভার রদবদলের দিন গতকাল মঙ্গলবার শেষ পর্যন্ত চীন শেংফুকে মন্ত্রিসভা থেকে অব্যাহতির কথা জানাল।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিসিটিভিতে গতকাল ঘোষণা দেওয়া হয়, লি শেংফুকে তিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে এর কোনো কারণ জানানো হয়নি। শেংফুর জায়গায় কাউকে নিয়োগদানের কথাও বলা হয়নি। সূত্র: কালের কণ্ঠ
নারী-শিশু হত্যা করে ভয় ছড়ায় ইসরাইল
ইসরাইলকে অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র গাজাকেও দিক মুসলিম বিশ্ব * যুদ্ধ কতদিন চলবে কেউ জানে না * ভয়ে স্থল হামলায় আসছে না ইসরাইলের কাগুজে বাঘ * বিশ্বের লজ্জাজনক নীরবতায় সাহস বাড়ছে ইসরাইলের
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি আগ্রাসন দিন দিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। থামার নাম নেই। ১৮ দিন ধরে ভয়ংকর হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরাইল। গাজার বাসিন্দাদের খাবার, পানি, জ্বালানিসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রীর সংকটে বেঁচে থাকা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। লাশে ভরে গেছে পুরো শহর। অথচ কবর দেওয়ার জায়গা নেই। এমনকি অন্য কোথাও লাশ রাখার জায়গাও নেই। লাশ গলে-পচে নানারকম মহামারি বাড়ার আশঙ্কাও বাড়ছে। তবুও বিপর্যয়ের হাহাকারেই মুক্তির দিন গুনছেন গাজাবাসী। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যুগান্তরকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন গাজার হামাস সরকারের মিডিয়া অফিসারের (জিএমও) প্রধান সালামেহ মারুফ। হোয়াটসঅ্যাপ ইমেইলে সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শাবনুর নাহার * আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন আপনি? গাজার বর্তমান অবস্থা কেমন?
ওয়ালাইকুম আসসালাম। আল্লাহ ভালো রেখেছেন। গাজার বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। ২৪ ঘণ্টা অবিরামভাবে গণহত্যা চলছে। ইসরাইলি বিমান বাজার, মসজিদ, বেকারি এবং রেস্তোরাঁর অভ্যন্তরে বেসামরিক সমাবেশগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করছে। যার ফলে বেসামরিক নিহতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। এতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপরও চাপ বাড়ছে। খাদ্য সংকটের বিপর্যয়ে ভুগছেন পুরো গাজাবাসী। * চলমান এই সংঘাত কতদিন স্থায়ী হতে পারে বলে আপনি মনে করছেন?গণহত্যার এই যুদ্ধ কতদিন চলবে তা কেউ জানে না। দুর্ভাগ্যবশত শিশু ও নারীদের ওপর যে গণহত্যা চালানো হচ্ছে তারপরও সমগ্র বিশ্ব চোখ বন্ধ করে আছে। যেন একেবারে বধির হয়ে আছে। সে কারণেই এ যুদ্ধ দীর্ঘকাল স্থায়ী হতে পারে বলে আমি মনে করি। সূত্র: যুগান্তর
গাজায় কে কাঁদবে কার জন্য
টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। অবিরাম এই হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ছয় হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। সবশেষ সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল অবধি ৭০৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া মঙ্গলবার দিনভর নিহত হয়েছে আরও ১৪০ জনের মতো। চলতি সপ্তাহে ইসরায়েলে হামলা বাড়ানোর প্রতিদিনই মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুরো পরিবার শেষ হয়ে গেছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে হতাহতদের নিয়ে শোক করার জন্য কেউই যেন আর বাকি থাকছে না। কে কার জন্য কাঁদবে তার হিসাব নেই।আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে বলেছে, অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড এখন এমন একটি জায়গা, যেখানে প্রতিটি ফোন কলেই কাউকে না কাউকে হত্যার খবর পাওয়া যাচ্ছে, প্রতিটি বার্তায় এখন কারও বন্ধু বা প্রিয়জনের বাড়ি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কথা জানা যাচ্ছে এবং প্রতিটি বিমান হামলা অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ফিলিস্তিনিদের হৃদয়ে ভয়ের কাঁপুনি সৃষ্টি করে। ফিলিস্তিনের এই ভূখণ্ডে ‘বাড়ি’ এখন আর বসবাস এবং বিশ্রামের জন্য অভয়ারণ্য নয়; এটি এখন কেবলই একটি অনিশ্চিত অস্তিত্ব, যেন সতর্কতা ছাড়াই আকস্মিক ধ্বংসের কোনো বিষয়। সূত্র: দেশ রুপান্তর
চোখের পানি শুকিয়ে গেছে, শোক প্রকাশের ভাষা নেই স্বজনহারা গাজাবাসীর
ইসরায়েলি বর্বরতা এত তীব্র যে, মনে হয় গাজার এমন কোনো পরিবার নেই, যারা চলমান ইসরায়েলি হামলায় কোনো স্বজন হারায়নি। এখন গাজাবাসীর কাছে ফোনকল মানেই কোনো স্বজনের মৃত্যুসংবাদ। প্রতিটি বার্তাই বহন করে কোনো কোনো না দুঃসংবাদ। হয়তো কোনো বন্ধুর স্বজন মারা গেছে, কারও বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বা কেউ আহত হয়েছে।
গাজাবাসীর কাছে এখন নিজের ঘরও আর নিরাপদ নয়। তবে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে অন্য কোনো আশ্রয় না থাকায় ইসরায়েলি আক্রমণে মারা যাওয়ার আশঙ্কা নিয়েই নিজ বাড়িতেই থাকতে হচ্ছে তাদের। গাজাবাসীর এখন প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জ হলো—ইসরায়েলি আক্রমণ বাঁচিয়ে নিজেকে, নিজের প্রিয়জনদের নিরাপদ রাখা। যাতে হারানো প্রিয়জনের তালিকা আর দীর্ঘ না হয়। কিন্তু তালিকা এরই মধ্যে অনেক দীর্ঘ হয়ে গেছে। বিগত ১৮ দিনে ইসরায়েলি হামলায় ৫ হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ১৫ হাজারের বেশি। নিহতদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। পরিস্থিতি এতটাই শোকাবহ যে, গাজাবাসী আর প্রাণ খুলে কান্নাও করতে পারছে না। স্বজনদের প্রাণহানি এত বেশি যে, একজনের শোক শেষ হতে না হতেই আরেকজনের মরদেহ সামনে চলে আসছে। সূত্র: আজকের পত্রিকা।
ইসরায়েলকে রক্ষা করতে কতদূর যেতে পারে যুক্তরাষ্ট্র?
ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধের শুরু থেকেই ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পাশে থাকার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তাও দিচ্ছে দেশটি।
কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের এই অংশে যখন অতীতের নানান ঘটনার ক্ষত এখনও দগদগ করছে, সেখানে ইসরায়েলকে রক্ষা করতে নিজেকে কতটুকু জড়াতে চাইবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র?
ইসরায়েলের উপর হামাসের হামলার খবর জানার পর দেওয়া প্রথম প্রতিক্রিয়াতেই প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়ে বলেছেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সাথে আছে।”“কেউ যদি এই পরিস্থিতি থেকে ফায়দা লোটার কথা ভেবে থাকে, আমি তাদের একটি কথাই বলবো, ভুলেও এমনটি করবেন না।” সূত্র: বিবিসি বাংলা।
হামাসের হামলা বিনা কারণে হয়নি: জাতিসংঘ মহাসচিব
অ্যান্তোনিও গুতেরেসের বক্তব্যকে ‘জঘন্য’ বলে বর্ণনা করেছেন জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান।হামাস-ইসরায়েল সংঘাতে গাজায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন হচ্ছে বলে মন্তব্য করে ফিলিস্তিনিদের এই ভূখণ্ডে যুদ্ধবিরতির দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সামনে এক বক্তৃতায় গুতেরেস এ কথা বলেন বলে জানায় বিবিসি। তিনি এই সংঘাত থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখার আহ্বান জানিয়ে আরো বলেন, সংঘাত পুরো মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে দবানলের গতিতে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে।গত ৭ অক্টোবর গাজায় ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস অতর্কিত এক হামলা চালিয়ে ইসরায়েলে ১৪শ’র বেশি মানুষকে হত্যা করে। যার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েল ওই দিনই গাজার উপর রীতিমত ঝাঁপিয়ে পড়ে। হামাসকে নির্মূল করতে একের পর এক বিমান হামলা চালিয়ে তারা গাজাকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিচ্ছে। গত ১৮ দিন ধরে ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলায় গাজা যেন এখন নরকে পরিণত হয়েছে। সেখানে মৃত্যুর মিছিল থামছে না। বরং সেটা দিন দিন দীর্ঘায়িত হচ্ছে। সোমবার পর্যন্ত সেখানে ৫,৭৯১ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বাস্তুচ্যুত হয়েছে ১১ লাখের বেশি মানুষ। সূত্র: বিডি নিউজ
গাজায় হামলার সমালোচনা, গুতেরেসের পদত্যাগ চায় ইসরায়েল
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের গতকালের (২৪ অক্টোবর) অধিবেশনে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসে হামলা ‘শূন্য থেকে’ হয়নি। গুতেরেস বলেন, ৫৬ বছর ধরে ফিলিস্তিনের জনগণ দখলদারিত্বের শিকার হয়েছেন।তারা তাদের ভূখণ্ড (ইসরায়েলি) বসতিতে পরিণত এবং সহিংসতায় জর্জরিত হতে দেখেছেন। তাদের অর্থনীতি থমকে গেছে। এখানকার বাসিন্দারা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে। তাদের দুর্দশার রাজনৈতিক সমাধানের আশা ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। উত্তর গাজা খালি করার ইসরায়েলি নির্দেশের প্রসঙ্গ টেনে মহাসচিব বলেন, ১০ লাখ মানুষকে দক্ষিণে চলে যেতে বলাকে সুরক্ষা দেওয়ার বলা যায় না, যেখানে কোনো আশ্রয় নেই, খাবার নেই, পানি নেই, ওষুধ নেই, জ্বালানি নেই। আর মানুষকে দক্ষিণে যেতে বলে সেখানে বোমা হামলা চালিয়ে যাওয়া যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা হামাসের ভয়ংকর হামলাকে ন্যায্যতা দেয় না। আর ওই ভয়ংকর হামলার কারণে ফিলিস্তিনি মানুষদের সম্মিলিতভাবে যে শাস্তি দেওয়াও ন্যায্যতা পায় না। হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ প্রসঙ্গে গুতেরেস এমন মন্তব্যের পর তার সঙ্গে পূর্ব নির্ধারি-সূত্র: বাংলানিউজ