Print

সারাদিন

চট্টগ্রামে ১৪ জন আটক, ৭টি ককটেল উদ্ধার

প্রকাশিত: ২:৫৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩১, ২০২৩

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবর শাহ থানা এলাকা থেকে বিএনপির ১৪ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া ৭টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মো. ইয়াছিনও রয়েছেন বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে অবরোধের সমর্থনে নগরীর সিটি গেট এলাকায় অবস্থানকালে পুলিশ তাদের আটক করা হয়েছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।।

তাৎক্ষণিকভাবে আটকদের নাম জানা যায়নি। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে থানার সিটি গেটের কাছে সড়কের পাশ থেকে সাতটি ককটেল উদ্ধার করা হয়।

আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, সকালে অবরোধের সমর্থনে একটি মিছিল বের করে গাড়ি ভাঙচুর করছিল অভিযুক্তরা। এসময় তারা চারটি গাড়ি ভাঙচুর করে। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সাতটি ককটেল উদ্ধার করা হয়। আটকদের বিরুদ্ধে মামলাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা অবরোধকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম নগরে সোমবার (৩০ অক্টোবর) দিবাগত রাতে দুটি এবং সকালে একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা ইদ্রিস আলী বলেন, ‘বিএনপির ডাকে সারাদেশে তিনদিনের লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি চলছে। অরোধের সমর্থনে সিটি গেট এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নিয়েছিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশ অহেতুক শান্তিপূর্ণ অবস্থানে হামলা চালিয়ে বিএনপির ১৪ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে। তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মো. ইয়াছিনও রয়েছেন। এছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে যে ককটেল উদ্ধারের কথা বলা হয়েছে, সেগুলো সাজানো নাটক। বিএনপি নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে গিয়ে পুলিশ ককটেল উদ্ধারের সাজানো ঘটনা ঘটিয়েছে।’

Nagad
Nagad

এদিকে, সড়কে অন্য দিনের তুলনায় যান চলাচল কম হলেও অবরোধের প্রথম দিনে চট্টগ্রাম থেকে যথাসময়ে ছেড়ে গেছে সবকটি ট্রেন। একইসঙ্গে সব ট্রেন যথাসময়ে চট্টগ্রাম স্টেশন পৌঁছেছে বলে রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করে বিএনপি। একইদিন আরামবাগ এলাকায় সমাবেশ করে জামায়াত। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া জামায়াতের কর্মসূচি শেষ হলেও বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে এক পুলিশ নিহত হওয়া ছাড়াও ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে বিএনপি। পর একই কর্মসূচি ঘোষণা করে জামায়াত। এরপর ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা দিন সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দেয় বিএনপি। একই কর্মসূচি ঘোষণা দেয় জামায়াতও।