কামার আহমাদ সাইমন পরিচালিত ‘শুনতে কি পাও!’ সিনেমার ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়েছিল ২০১২ সালে জার্মানির ডক-লাইপজিগের ৫৫তম আসরের উদ্বোধনী আয়োজনে। দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ২০১৪ সালে। এরপর বিশ্বের বিভিন্ন উৎসবে প্রশংসিত হয়েছে ছবিটি।

সিনেমা দ্যু রিল প্যারিসে সেরা ছবির পুরষ্কার এবং মুম্বাইয়ে মিফে গোল্ডেন কোঞ্চ এর পাশাপাশি পেয়েছে আরও অনেক পুরষ্কার। ২০১৭ সালে ছবিটি মুক্তি পেয়েছে অ্যামাজন, গুগল প্লে ও আইটিউন্স-এর মতো আন্তর্জাতিক স্ট্রিমিং সাইটে। ৩ নভেম্বর থেকে চলছে বাংলাদেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে।

ভদ্রা নদীর পাড়ে, সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে ছোট্ট একটি গ্রাম… নাম তার ‘সুতারখালি’। জলে জঙ্গলে লড়াই করে চার পুরুষের আবাদে প্রায় ১০০ পরিবারের বাস এই গ্রামে। এখানেই ঘর বেঁধেছিলো রাখী আর সৌমেন, জন্ম হয়েছিলো তাদের ভালোবাসার সন্তান রাহুলের। ২০০৯ সালের ২৫ মে, রাহুলের বয়স যখন মাত্র চার ‘আইলা’ নামের এক প্রলয়ঙ্করী জলোচ্ছ্বাস ভাসিয়ে নিয়ে যায় বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল। আর সেই দিন থেকে শুরু হয় রাখী, সৌমেন ও রাহুলের এক অন্য জীবন।

দিন যায়, ঋতু বদলায়, সেই সাথে সম্পর্কও বদলায়। তারপরও বৃষ্টি শেষে কোদাল হাতে বেরিয়ে আসে ওরা, জীবনেরই ডাকে, জীবনকে ভালোবেসে। রাখী, সৌমেন ও রাহুলের জীবনের এই ঘটনার বিস্তারিত দেখা যায় কামার আহমাদ সাইমন পরিচালিত ‘শুনতে কি পাও!’ সিনেমায়।

৯০ মিনিটের এই সিনেমায় দেখানো হয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগে সব কিছু হারানোর পরেও কিভাবে নতুন প্রত্যয় নিয়ে জীবন সংসার শুরু করে দুর্যোগপূর্ণ এলাকার লোকেরা। যারা প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে মোকাবিলা করে টিকে থাকে। সেই সাথে ওঠে এসেছে তাদে প্রেম-ভালোবাসাও।

সারা আফরীনের প্রযোজনায় ‘শুনতে কি পাও!’-এর সিনেমাটোগ্রাফির কাজটা করেছিলেন পরিচালক নিজেই। সাউন্ড ডিজাইনে ছিলেন সুকান্ত মজুমদার। সম্পাদনা ও কালার গ্রেডিং করেছেন সৈকত শেখরেশ্বর রায়