প্রকাশিত: ৬:১৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৭, ২০২৩
সারাদিন ডেস্ক
পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কার্যকর হবে। সর্বশেষ ২০১৮ সালে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এখন বেড়ে সাড়ে ১২ হাজার টাকা হলো।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান সংবাদ সম্মেলন করে পোশাক শ্রমিকদের এ নতুন মজুরি ঘোষণা করেন। তার আগে শ্রম ভবনে পোশাক শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণে গঠিত বোর্ডের ষষ্ঠ সভায় এই মজুরি চূড়ান্ত করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আসার আগে শ্রম প্রতিমন্ত্রী সচিবালয়ে তার দপ্তরে মালিক ও শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রূদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা।
এ সময় তৈরি পোশাক মালিকদের প্রতিনিধি এবং বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, মকসুদ বেলাল সিদ্দিকি, শ্রমিক প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম রনিসহ বোর্ডের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি বর্তমান ৮ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫শ করার ঘোষণা দেন মন্ত্রী। মজুরি বৃদ্ধির এ হার আগের তুলনায় ৫৬.২৫ শতাংশ বেশি। এই বর্ধিত মজুরির গেজেট প্রকাশ করা হবে ১৪ কর্ম দিবস পর।
প্রতিমন্ত্রী শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন- শিল্পই আপনাদের জীবন। মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হলে আপনিও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। অর্থনীতির চাকা হলো গার্মেন্টস শ্রমিকরা। ফ্যামেলি কার্ড চালু করে শ্রমিকদের রেশনিং-এর আওতায় আনা হবে। মালিকদের বলছি কারখানা খুলতে- শ্রমিকদের বলবো কাজে যোগ দিতে।
উল্লেখ্য, পোশাক শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণে গত এপ্রিলে নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠন করে সরকার। এরপর গত ২২ অক্টোবর বোর্ডের সভায় শ্রমিকপক্ষ ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার ৩৯৩ টাকা দাবি করে প্রস্তাব দেন। এর বিপরীতে মালিকপক্ষ ১০ হাজার ৪০০ টাকা প্রস্তাব দেয়।
মালিকপক্ষের এই মজুরি প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ হয়ে শ্রমিকেরা আন্দোলনে নামেন। গাজীপুরে শুরু হওয়ায় আন্দোলন আশুলিয়া, সাভার ও ঢাকায়ও ছড়ায়।
শ্রমিক সংগঠনের ব্যানারে মজুরি বৃদ্ধি গার্মেন্টস আন্দোলনের নেতার বলছেন, পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করতে হবে। শ্রমিকদের গ্রেপ্তার-হত্যা-মামলা-ছাঁটাই-নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।
এদিকে, শ্রমিকদের বেতন ২৫ হাজার করার দাবিতে আন্দোলন করছে মজুরি বৃদ্ধিতে গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, গার্মেন্টস শ্রমিক ও শিল্পরক্ষা জাতীয় মঞ্চ, গার্মেন্টস ওয়াকার্স এলায়েন্স, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য মঞ্চ, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন।