প্রকাশিত: ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২, ২০২৩
সারাদিন ডেস্ক
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৬ বছর: ভূমিসহ ৩ বিষয়ে অগ্রগতি নেই
ভূমিসহ পার্বত্য চুক্তির তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অগ্রগতি না থাকায় পাহাড়িদের স্বশাসন ও বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্য অর্জিত হচ্ছে না।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির শুরুতেই এই অঞ্চলকে ‘উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চল’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। চুক্তিতে এ অঞ্চলের ‘বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ’ করার কথাও বলা হয়েছে। ১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। পাহাড়ের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি, স্থানীয় সরকারবিশেষজ্ঞ, পাহাড় বিষয়ে গবেষকেরা বলছেন, আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা বিকেন্দ্রীকরণের এক অনন্য নজির ছিল এই চুক্তি। চুক্তির তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সমাধান হলে স্বশাসন ও বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্য অর্জিত হতো। এক. ভূমির বিষয়টি চুক্তি অনুযায়ী জেলা পরিষদের কাছে ন্যস্ত করা। দুই. পাহাড়ের স্থায়ী বাসিন্দাদের নিয়ে অভিন্ন ভোটার তালিকা প্রণয়ন। তিন. জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) থেকে নিচের জনবল নিয়োগের ব্যবস্থা।কিন্তু এই তিনটি বিষয়ের একটিও সমাধান হয়নি। সরকার দাবি করছে, পার্বত্য চুক্তির ৭২ ধারার মধ্যে ৬৫টির সুরাহা হয়েছে। সরকার বলছে, চুক্তি সম্পাদনকারী পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সহযোগিতার অভাবে চুক্তির সফল বাস্তবায়ন হচ্ছে না। সূত্র: প্রথম আলো
প্রশান্তির যাদুকাটা এখন মন খারাপের নদী
প্রতিদিন অন্তত ৮০টি ড্রেজার এবং ৪০০টির বেশি সেইভ মেশিন খুবলে নিচ্ছে নদীর পার, তীরবর্তী ফসলি জমি, গোচারণভূমি, বাড়ির আঙিনা। উত্তোলন করা হচ্ছে বালু-পাথর। পরিবেশবাদীদের চাপে ইজারাদারকে নোটিশ পাঠিয়ে স্থানীয় প্রশাসন আপাতত চুপচাপ আছে। পরিবেশবাদীরা বলছেন, যাদুকাটা নদীর এই ধ্বংসযজ্ঞ গোটা হাওরাঞ্চলের পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণ হয়ে উঠছে। যাদুকাটার বর্তমান ইজারাদারদের একজন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মনজুর খন্দকার। আরেকজন বিএনপির কর্মী রতন মিয়া। তাঁদের এই রাজনৈতিক সমঝোতার কাছে হার মেনেছে স্থানীয় মানুষের স্বর ও স্বার্থ। আর প্রশাসন? প্রস্তাব গ্রহণ, নোটিশ জারি করে বলেছে, ঘটনা সত্যিই দুঃখজনক। সূত্র: কালের কণ্ঠ
নেতৃত্বশূন্য বিএনপি
শীর্ষ নেতাদের অনুপস্থিতিতে বাড়ছে নেতা-কর্মীদের হতাশা ॥ কারারুদ্ধ মহাসচিবের পরিবর্তে অন্য কাউকে দায়িত্বও দেওয়া হয়নি॥ ৪৮ জেলায় অফিস বন্ধ॥ হচ্ছে না কর্মসূচি বাস্তবায়ন
সরকার পতনে চলমান এক দফা আন্দোলনে কার্যত নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়ছে বিএনপি। কেন্দ্র থেকে মাঠপর্যায়ে সব স্তরে প্রায় একই অবস্থা। অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, কারান্তরিন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সক্রিয় নেতাদের অনুপস্থিতির কারণে সবকিছুতে যেন একটা শৈথিল্য বিরাজ করছে। মহাসচিবের অনুপস্থিতিতে অন্য কোনো নেতাকে দায়িত্বও দেওয়া হয়নি। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটি এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অধিকাংশ নেতা কারাগারে থাকায় নেতৃত্বের এই শূন্যতা তীব্র হচ্ছে। ৪৮ জেলায় বন্ধ রয়েছে দলীয় কার্যালয়। বাস্তবায়ন হচ্ছে না ঘোষিত কর্মসূচি। অন্যদিকে, মামলার জালে আটকা সব স্তরের নেতা-কর্মীদের ত্রাহি অবস্থা। আদালত থেকে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলায় একের পর এক রায় ঘোষণা, গ্রেফতার-রিমান্ড, পুলিশের হয়রানি সব মিলে নেতা-কর্মীদের মাঝে চরম হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যমান কঠিন পরিস্থিতিতে দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের দৃশ্যমান অনুপস্থিতি দিন দিন নেতৃত্বের অনিশ্চয়তাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি নেতৃত্ব দিলেও সেটি দৃশ্যমান সরাসরি নেতৃত্বের অভাব কতটুকু পূরণ করছে- তাও আপেক্ষিক বিষয়। ফলে কিছুতেই যেন কাটছে না দলটির নেতৃত্বের এই শূন্যতা। এ ব্যাপারে কারাগারের বাইরে থাকা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, সরকার একতরফা জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করার লক্ষ্যে বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ জন্য তারা বিএনপি নেতা-কর্মীদের গণহারে গ্রেফতার করছে। রিমান্ডে নিয়ে পর্যন্ত নির্যাতন করছে। এই হীন উদ্দেশ্যকে চরিতার্থ করার লক্ষ্যে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের কারান্তরিন করার খেলায় মেতে উঠেছে তারা। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
ঝুঁকি দেখছেন ভিআইপি প্রার্থী
সারাদেশে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছেন ৬৫ জন ভিআইপি প্রার্থী। এদের মধ্যে বর্তমান সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় সংসদের হুইপও রয়েছেন। শেষ পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ভোটের মাঠে টিকে থাকতে পারলে এসব আসনে তুমুল লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বিএনপিবিহীন এই নির্বাচনে এসব ভিআইপির বিজয় নিশ্চিতে লড়াই করতে হবে নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে।
গত ২৬ নভেম্বর দলীয় মনোনয়ন ঘোষণা করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তখন দলটির পক্ষ থেকে নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি উন্মুক্ত রাখার কথা জানানো হয়েছিল। তবে আগের ওই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এখন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগের পদধারীদের ঢালাওভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ মিলবে না। তবে এ ক্ষেত্রে দলটি কী কৌশল নেবে তা জানা যাবে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পরে।এ ব্যাপারে গতকাল শুক্রবার রাতে সমকালের সঙ্গে আলাপকালে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বলেন, এটা ঠিক যে, অনেক আসনেই আওয়ামী লীগের পদধারীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় আমরা বেশ চাপের মুখে রয়েছি। তবে এটা নিয়ে কাজ চলছে। আশা করি, ৪ ডিসেম্বরের আগেই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। দলীয় সূত্র জানায়, মনোনয়নবঞ্চিত আওয়ামী লীগের পদধারী অনেকেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হননি। হাইকমান্ডের নির্দেশে তারা প্রার্থী হওয়া থেকে বিরত হয়েছেন। আবার অনেকেই নিষেধ করা সত্ত্বেও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এসব স্বতন্ত্র প্রার্থীকে মাঠ থেকে সরিয়ে আনতে আওয়ামী লীগ কী কৌশল গ্রহণ করে, তার দিকে তাকিয়ে শরিক দলের প্রার্থীরাও। চ্যালেঞ্জের মুখে থাকা ভিআইপি প্রার্থীরাও আশা করছেন দল শেষ মুহূর্তে হলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কঠোর হবে। সূত্র: সমকাল
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মাঠপ্রশাসন ও পুলিশ
বড় রদবদল চায় ইসি
মাঠপ্রশাসন ও পুলিশে বড় ধরনের রদবদল করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই অংশ হিসাবে দেশের সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) পর্যায়ক্রমে বদলি করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে পৃথক চিঠি দিয়েছে কমিশন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এসব চিঠি পাঠানো হয়। প্রথম পর্যায়ে উপজেলায় এক বছরের বেশি সময় থাকা ইউএনওদের বদলির প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি একই থানায় ছয় মাসের বেশি থাকা ওসিদের তালিকাও পাঠাতে বলা হয়েছে। আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পৃথক দুই তালিকা ইসিতে পাঠাতে হবে। নির্বাচন কমিশন ওই প্রস্তাব অনুমোদন করলে বদলির আদেশ জারি করবে স্ব-স্ব কর্তৃপক্ষ। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব প্রার্থীর জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ (সবার জন্য সমান সুযোগ) তৈরির লক্ষ্যেই মূলত এ রদবদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকজন ডিসি ও এসপিকে প্রত্যাহার করার জন্য বলেছে ইসি। তাদের বিরুদ্ধে প্রার্থী পক্ষপাত ও বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। সামনে যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।আরও জানা গেছে -বর্তমান মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সংসদ-সদস্যদের বেশিরভাগই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছেন। মাঠপ্রশাসন ও পুলিশের অনেক কর্মকর্তা একই জায়গায় দীর্ঘদিন থাকার কারণে তাদের অনেকের সঙ্গে সখ্য তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে জড়িয়েছেন। এ অবস্থায় প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে নির্বাচন কমিশন এ পদেক্ষপ নিয়েছে। ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আর প্রচার শুরু হবে ১৮ ডিসেম্বর। সূত্র: যুগান্তর
বাংলাদেশে আবারও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের তাগিদ জাতিসংঘের
বাংলাদেশে আবারও সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের তাগিদ দিয়েছে জাতিসংঘ। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক প্রশ্নের জবাবে এই তাগিদ দেন। এ সময় তিনি দেশের জনগণের ভোটাধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতে সব পক্ষকে একযোগে কাজ করারও আহ্বান জানান।স্টিফেন ডুজারিককে প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনে আগ্রহী। তবে ক্ষমতাসীনদের অভিযোগ, ২৮ অক্টোবর থেকে হরতাল-অবরোধের নামে বিএনপিসহ কয়েকটি দল জনজীবনে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এ ধরনের বিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচির ক্ষেত্রে জাতিসংঘের কোনো পরামর্শ আছে কি…? জবাবে জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের পরামর্শ হলো—নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত সরকার, বিরোধী দল, সাংবাদিক, নাগরিক সমাজসহ সবাই মিলে নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য কাজ করুন; যাতে মানুষ স্বাধীনভাবে নিজেদের মত প্রকাশ করতে পারে, স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে এবং যাতে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ হয়।’ সূত্র: আজকের পত্রিকা।
৩৮ শতাংশ ভবন অগ্নিঝুঁকিতে
রাজধানীর মহাখালীর আমতলীতে গত ২৬ অক্টোবর বহুতল ভবন খাজা টাওয়ারে আগুন লেগে প্রাণ যায় তিনজনের, সম্পদহানি হয় বিপুল টাকার। ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা প্রায় ১৬ ঘণ্টার চেষ্টায় ১৪ তলা ওই ভবনটির আগুন নেভান। তারা জানান, ভবনটিতে সার্বিকভাবে কোনো ফায়ার সেফটি প্ল্যান (অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা) ছিল না। শুধু এ ভবনটিই নয়, এর আগেও আগুনে পুড়েছে ঢাকার বিভিন্ন এলাকার বড় বড় স্থাপনা। যেসব ভবন বা মার্কেটে যথাযথ অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না বলে অভিযোগ ওঠে। চলতি বছরের ঝুঁকি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন না হলেও, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ২০২২ সালের তথ্য বলছে, অধিদপ্তরের সদস্যরা সারা দেশে ৫ হাজার ৮৬৯টি সরকারি-বেসরকারি ভবন পরিদর্শন করেন। যার মধ্যে ২ হাজার ২২৩টি ভবনই ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। অর্থাৎ শতকরা হিসাবে প্রায় ৩৮ শতাংশ ভবন রয়েছে অগ্নিঝুঁকিতে। সূত্র: দেশ রুপান্তর
পাখির বাসার বৈচিত্র্যময় ভুবন
বর্তমানে দেশের পক্ষীকুল খুবই সংকটময় অবস্থার মধ্যে রয়েছে। প্রকৃতিতে এখন প্রাচীন বৃক্ষ নেই বললেই চলে। তাই বিশাল আকারের পাখিরা বিদ্যুৎ কিংবা মোবাইল টাওয়ারে বাসা বানানোর জায়গা খুঁজে নিচ্ছে। এতে করে তাদের স্বাভাবিক প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমানে দেশের পক্ষীকুল খুবই সংকটময় অবস্থার মধ্যে রয়েছে। প্রকৃতিতে এখন প্রাচীন বৃক্ষ নেই বললেই চলে। তাই বিশাল আকারের পাখিরা বিদ্যুৎ কিংবা মোবাইল টাওয়ারে বাসা বানানোর জায়গা খুঁজে নিচ্ছে। এতে করে তাদের স্বাভাবিক প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে।লাদেশ পাখির দেশ। আজও শহর কিংবা গ্রামে মানুষের ঘুম ভাঙে পাখির ডাকে। পাখি ছাড়া প্রকৃতির কথা কখনো ভাবা যায় না। পাখি ছাড়া প্রকৃতি টিকেও থাকতে পারবে না। ওরা যে একে অপরের পরিপূরক, পাখিকে বলা হয় প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। গায়ক পাখি, শিকারি পাখি, জলের পাখি, রঙিন পাখি, সাদা পাখি, কালো পাখি; কত বর্ণিল আর বৈচিত্র্যময় পাখির ভুবন। আমাদের দেশে শত শত প্রজাতির পাখি রয়েছে। এই পাখি প্রজাতি দুই ভাগে বিভক্ত। স্থানীয় কিংবা আবাসিক পাখি, যাযাবর কিংবা পরিযায়ী পাখি। পরিযায়ী পাখিরা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এখানে আসে। সবচেয়ে বেশি পরিযায়ী পাখি এ দেশে আসে অক্টোবর থেকে মার্চের শেষ পর্যন্ত। এ সময়টাতে নানা জাতের ভিনদেশি বুনোহাঁস, শিকারি পাখিসহ নানা জাতের জলজ পাখির আগমন ঘটে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
ঢাকা-চট্টগ্রাম ডাবল লাইন রেলপথ
সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের পর ট্রেন বেড়েছে একটি!
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) হিসাবে, দেশের ব্যস্ততম রেলপথ ঢাকা-চট্টগ্রামে প্রতি বছর ৪ দশমিক ৮ শতাংশ হারে বাড়ছে যাত্রীর চাহিদা। পণ্য পরিবহন চাহিদা বাড়ছে বছরে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ হারে। ক্রমবর্ধমান এ চাহিদা পূরণের জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে লাইনের (ট্র্যাক) সংখ্যা একটি থেকে দুটিতে উন্নীত করা হয়েছে। এজন্য তিন ধাপে খরচ হয়েছে ১০ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা। দুই ধাপে রেলপথটির টঙ্গী-ভৈরব এবং লাকসাম-চিনকি আস্তানা অংশ ডাবল লাইন চালু হয় ২০১৮ সালে। শেষ ধাপে আখাউড়া-লাকসাম অংশ চালু হয় চলতি বছরের জুনে।বিপুল পরিমাণ ব্যয়ে রেলপথটি চালু করার পর এতে এখন পর্যন্ত নতুন করে শুধু একটি পণ্যবাহী কনটেইনার ট্রেন চালু করতে পেরেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। চালু হয়নি নতুন কোনো যাত্রীবাহী ট্রেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামে নতুন একটি ট্রেন চালু হলেও এর জন্য আলাদাভাবে বিনিয়োগ করতে হয়েছে আরো প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। এ অর্থের পুরোটাই ব্যয় হয়েছে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন ট্র্যাক বসানোয়। সূত্র: বণিক বার্তা।
স্বতন্ত্রের রেকর্ড: প্রতিদ্বন্দ্বিতার হাতিয়ার না শঙ্কার
বিএনপির ভোট বর্জনে ২০১৪ সালেও যেসব আসনে লড়াই হয়েছিল, তার প্রায় সবগুলোতেই নৌকার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আওয়ামী লীগের নেতারা। এবারও আসনে আসনে এমনই আভাস।আসনে আসনে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আওয়ামী লীগেরই অন্য নেতা, কিন্তু তাতে নেই ‘বিদ্রোহের’ আভাস। বিএনপি ও তার সঙ্গে আন্দোলনে থাকা দলগুলোর বর্জনের মধ্যে দেশজুড়ে নির্বাচনি হাওয়া যতটুকু বইছে, তা ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ আওয়ামী লীগ নেতাদের কারণেই। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম মাঠে থাকলেও তারা ভোটে লড়াই করার সক্ষমতা কতটা রাখেন, তা নিয়ে আছে সংশয়।আগামী ৭ জানুয়ারির এই নির্বাচন সামনে রেখে গত বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমার দিনই একটি রেকর্ড হয়ে গেছে। এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে প্রায় সাড়ে সাতশ। এর আগে যে ১১টি নির্বাচন হয়েছে তার কোনোটিতে এত বেশি স্বতন্ত্র প্রার্থী দেখা যায়নি।২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে থাকা রফিকুল ইসলাম মনে করেন, ২০১৪ সালের মতই ভোট বর্জনের পুনরাবৃত্তি হওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী বেড়েছে।এর আগের জাতীয় নির্বাচনগুলোর প্রবণতা তুলে ধরে তিনি বলন, যখনই দেশে এভাবে বড় দলগুলোর কেউ ভোটে আসেনি, সেগুলোতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বেড়েছে। সূত্র: বিডি নিউজ