মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পুলিশের তত্ত্বাবধানে গুলশানের একটি রিহ্যাব সেন্টারে পাঠানো হয়েছে দেশের আলোচিত হক গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা আদম তমিজী হককে। আর তা যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয় তাহলে এর পেছনে কারা জড়িত, তা তদন্তে বের করা হবে-বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

রবিবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় মিন্টো রোডে ডিবি কম্পাউন্ডে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ।

ডিবিপ্রধান বলেন, আদম তমিজী হকের বিরুদ্ধে দক্ষিণখান থানায় একটি মামলা হয়েছে। এছাড়া রমনা থানায় তার নামে ওয়ারেন্ট ইস্যু রয়েছে। সবকিছু মিলে গতকাল গ্রেফতার করেছি। আদম তমিজী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসে বিভিন্ন ধরনের অসংলগ্ন কথা বলেছেন। তিনি যে দেশে খেয়ে পড়ে মানুষ হয়েছেন, তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যে দেশে আছে সেই দেশেরই পাসপোর্টটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসে পুড়িয়ে ফেলেছেন। তিনি ইসরায়েলকে আহ্বান জানিয়েছেন তাকে বাংলাদেশ থেকে উদ্ধার করার জন্য। মার্কিন মেরিন সেনাকে বলছেন সরকার তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, তাকে উদ্ধার করার জন্য। আরও বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেছেন, সেটিও আপনারা দেখেছেন।

হারুন বলেন, আসলে এসব কথা শুনে আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে, আসলেই তিনি কী মানসিক ভারসাম্যহীন। তা না হলে একটি লোক এভাবে কথা বলে কেন? তিনি অনেকগুলো বিয়ে করেছেন, পারিবারিক অনেক সমস্যা রয়েছে। বিভিন্ন কারণেই মনে হয়েছে তিনি ভারসাম্যহীন। যার কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ভারসাম্যহীন এটা তো আমরা বলতে পারছি না। তাই তিনি যদি মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে থাকেন তার জন্য আদম তমিজীকে ডাক্তারের কাছে পাঠিয়েছি। সেখানে ডাক্তাররা আছেন। তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তিনি যদি মানসিকভাবে ঠিক থাকেন তখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো। তিনি যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অসংলগ্ন কথা বলেছেন, বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম করেছেন সেগুলো কেন করেছেন।

তিনি বলেন, যদি ডাক্তাররা বলেন পুরোপুরি ভারসাম্যহীন কিংবা মানসিক ভারসাম্যহীন, তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে যদি করে থাকেন তাহলে এর পেছনে কেউ আছেন কি না, সেটা তদন্ত করে বের করবো।

এর আগে ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সাড়ে ৭টার দিকে আদম তমিজী হকের গুলশানের বাসায় অভিযান চালায় ডিবির একটি দল। সেখান থেকে তাকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।