Print

সারাদিন

‘ধর্মকে ব্যবহার করে কোনো রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না’

প্রকাশিত: ৫:০০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এদেশে স্বাধীনভাবে সব ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে। ধর্মকে ব্যবহার করে কোনো রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেছেন, সবার সমান অধিকার নিশ্চিত হয়—এমন একটা সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলাই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য।

গণভবনে আজ রোববার (২৪ ডিসেম্বর) বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। সারাদেশে ভূমিহীন-গৃহহীনদের ঘর করে দিচ্ছি। বাংলাদেশে একটি মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। ধর্ম-বর্ণ, দল-মত নির্বিশেষে সবার জন্য এটা প্রযোজ্য।

তিনি বলেন, সবার সমান অধিকার নিশ্চিত হয়—এমন একটা সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলাই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য।

এ সময় আন্দোলনের নামে মানুষ মেরে বিএনপি নির্বাচন বন্ধ করার ফায়দা লুটবে, সেটা মেনে নেওয়া হবে না বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত চক্রের যাত্রীবাহী ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক মা তার ছোট সন্তানকে বাঁচাতে বুকে আঁকড়ে ধরে ছিলেন, সেভাবেই পুড়ে মারা গেছেন। তিনি বলেন “আমরা এই ধরনের দৃশ্য দেখতে চাই না ।

তিনি শ্রশ্ন তোলেন, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করে, বাস এবং ট্রেন ও অন্যান্য যানবাহনে আগুন দিয়ে লাভটা কি হবে? মানুষ হত্যা, রেললাইনের ফিশপ্লেট উপড়ে ফেলে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে জনগণের সম্পত্তির ক্ষতি করে তারা কী অর্জন করেছে? এটা কী ধরনের রাজনীতি, আমি জানি না।

Nagad
Nagad

মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা মহাপাপ ও অন্যায় উল্লেখ করে বলেন, “এই অন্যায় আর সহ্য করা যায় না। কোনো ধর্মগুরু এটা মেনে নিতে পারেন না। মানবতার জন্য যীশু খ্রিস্ট তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।”প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবতা ও মানবজাতির কল্যাণই সব ধর্মের মূল কথা। তিনি বলেন, আমরা সেই বিশ্বাস থেকে রাষ্ট্র পরিচালনা করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের কাছে যেতে হবে মানুষের কল্যাণের কথা বলে, উন্নয়নের কথা বলে। কিন্তু মানুষ পুড়িয়ে নির্বাচন বন্ধ করে ফায়দা লুটবে, এটা বাংলার মাটিতে চলবে না। আমি ধিক্কার জানাই যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডের হুকুমদাতা এবং যারা এ ধরনের কাণ্ড ঘটায় তাদের। এভাবে জীবন্ত মানুষ পোড়ানো মহাপাপ-অন্যায়। এই অন্যায় কখনও মেনে নেওয়া যায় না। কোনো ধর্মগুরুই এটা মেনে নেননি।

অনুষ্ঠানে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মানবতার ধর্মই হলো সবচেয়ে বড় ধর্ম। মানুষের কল্যাণ করাই সবচেয়ে বড় শিক্ষা। সেই শিক্ষা নিয়েই আমরা দেশ পরিচালনা করি। এই মাটিতে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ বাস করবে, সবার কল্যাণ হবে সেটাই কামনা করি।

অনুষ্ঠানের শেষে বড়দিন উপলক্ষ্যে একটি কেক কাটেন প্রধানমন্ত্রী ও আগত অতিথিরা।