প্রকাশিত: ৪:১৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৯, ২০২৪
সারাদিন ডেস্ক
শেষ হলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এক হাজার ৯৭১ প্রার্থীর লড়াইয়ে ইতোমধ্যে জানা হয়ে গেছে ২৯৮ জয়ীর নাম। এর মধ্যে ২২৫ আসন পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠাতা অর্জন করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এবার সরকার গঠনের পালা। নতুন মন্ত্রিপরিষদের শপথ আগামী বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে।
বঙ্গভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী বর্তমান ক্ষমতাসীন দল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় নতুন সরকার হিসেবে শপথ নেবে।
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। শপথগ্রহণ শেষে নবনিযুক্ত মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ নিজ নিজ শপথবাক্যে স্বাক্ষর করবেন।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারে ৪৫ জন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী আছেন। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীসহ ২৪ জন পূর্ণ মন্ত্রী, ১৮ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী।
আগামীকাল বুধবার সকাল ১০টায় নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ গ্রহণ করবেন। জাতীয় সংসদ ভবনের শপথকক্ষে চলতি একাদশ সংসদের স্পিকার নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ পাঠ করাবেন।
এর আগে নিয়মানুযায়ী স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নিজে নিজেই শপথ গ্রহণ করবেন। সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আজই নির্বাচিত এমপিদের নামের তালিকার গেজেট পাওয়া যাবে বলে নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, আগামীকাল এমপিদের শপথগ্রহণ শেষে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বসে তাদের নেতা নির্বাচিত করবে।
এরপর রাষ্ট্রপতি সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতাকে সরকার গঠনের আহ্বান জানাবেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বসে তাদের নেতা নির্বাচিত করে সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার স্বীকৃতির জন্য স্পিকারের কাছে লিখিতভাবে অনুরোধ জানাবে। তবে জাতীয় পার্টি জানিয়েছে, তাদের নতুন এমপিরা আগামীকাল বুধবার শপথবাক্য পাঠ করবেন না। নিজেদের মধ্যে বৈঠকের পর তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
এদিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত হতে যাওয়া এবারের মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ আসছে কারা, কারাই বা পড়ছেন বাদ, কে পাচ্ছেন কোন দপ্তর- এসব নিয়ে চলছে আলোচনা। রদবদলে কেমন দাঁড়াবে নতুন মন্ত্রীসভার চেহারা, চলছে বিভিন্ন জল্পনা-কল্পনা। বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনায় এমন ব্যক্তিরাই প্রাধান্য পেতে পারেন, যারা সামনের দিনগুলোতে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং সুশাসন নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন।
প্রসঙ্গত- গত ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী দেশের ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৯৮টির বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগ ২২২টি, জাতীয় পার্টি ১১টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি করে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে বিজয়ী হয়েছেন।