Print

সারাদিন

মেলায় আগত দর্শনার্থীরা যেন প্রতারিত না হয়: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৪:১৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২০, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমাদের পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। রপ্তানি বহুমুখীকরণের মাধ্যমে বাণিজ্য সম্প্রসারণে বিদেশে আমাদের মিশনগুলোকে আরও জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে।

তিনি বলেন-রফতানি বহুমুখী করে বাণিজ্য বাড়াতে চান জানিয়ে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ঢাকা বাণিজ্যমেলার মূল উদ্দেশ্য গার্মেন্টসের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে রফতানিকে কিভাবে বহুমুখী করা যায়। চেষ্টা করব লোকাল যে শিল্প আছে সেগুলোকে আরও উৎসাহিত করতে। আমাদের রফতানি ৬ গুণ বেড়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বেশি উৎসাহিত করে বিদেশিদের আনি না। কারণ মাসব্যাপী তারা অনেকে আসতে চান না। তবে আমাদের লোকাল ইন্ড্রাস্ট্রিগুলোকে পরিচিত করাটাই অন্যতম লক্ষ্য। ভোক্তা অধিদফতরকে নির্দেশনা দেব মেলায় আগত দর্শনার্থীরা যেন প্রতারিত না হয়। আমাদের দেশে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের লোকজন আছে, তাদের অনেকে আসে। এবার আমরা তাদের একসঙ্গে আনার বিষয়ে উদ্যোগ নেব।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, গত দুই বছর রাস্তার কিছুটা সমস্যা ছিলো। এবার রাস্তা অনেক ভালো, ফলে অনেক দর্শনার্থী আসবে বলে আশা করছি। চেষ্টা করেছি একটি ভালো মেলা আয়োজনের জন্য। প্রতিবছর পহেলা জানুয়ারি মেলার আয়োজন করলেও এবার নির্বাচনের কারণে কিছুটা পিছিয়েছে। এ মেলাটি মানুষের জন্য বার্ষিক একটা ঐতিহ্যবাহী মেলায় পরিণত হয়েছে।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ.এইচ.এম আহসান বলেন, মেলাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার বিষয় থাকে। সেজন্য ৫০ জনের আউটসোর্সিং করে নিরাপত্তার জন্য লোকবল নিয়োগ দিয়েছি। এছাড়াও পুলিশ-আনসার থাকবে। প্রয়োজনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে র‌্যাব কাজ করবে। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য ১০০ জন ক্লিনার নিয়োগ করা হয়েছে। যাতায়াতের জন্য বিআরটিসির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদের বাস থাকবে। এবার ফার্মগেট থেকেও বাসে উঠা যাবে। ফলে খুব অল্প সময় মেলা কেন্দ্রে আসা যাবে।

Nagad
Nagad

ইপিবি সূত্রে জানা গেছে, এবারের বাণিজ্যমেলায় দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, হংকং, সিঙ্গাপুর, নেপালসহ বিভিন্ন দেশ অংশ নেবে। পণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি দেশীয় পণ্য রফতানির বড় বাজার খোঁজার লক্ষ্য রয়েছে।

জানা গেছে, দেশীয় বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিকস অ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহ সামগ্রী, চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর, ফার্নিচার ইত্যাদি পণ্য মেলায় প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে।