Print

সারাদিন

লালমনিরহাট সূর্যের দেখা মিললেও কমেনি শীতের দাপট, থাকবে শৈত্যপ্রবাহ

প্রকাশিত: ৭:৫৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৪, ২০২৪

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:

লালমনিরহাটসহ উত্তরের আট জেলার তাপমাত্রা আরও নিম্নমুখী হয়েছে। গত তিন দিনে ক্রমাগত নিম্নমুখী তাপমাত্রায় জনজীবন বিপর্যস্ত। স্থানীয়দের মতে, গেলো বেশ কয়েক বছরে এবারই এত দ্রুত তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে সূর্যের দেখা মিললেও কমেনি শীতের দাপট।

রংপুর বিভাগীয় আবহাওয়া অধিদফতরের প্রধান আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) লালমনিরহাটে ৮ দশমিক ৬, গাইবান্ধায় ৯ দশমিক ৩, নীলফামারীতে ৮ দশমিক ৮, কুড়িগ্রামে ৭ দশমিক ৫, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়াতে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

এর আগে, সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় লালমনিরহাটে ৯ দশমিক ৬, গাইবান্ধায় ১০ দশমিক ৮, নীলফামারীতে ৮ দশমিক ৮, দিনাজপুরে ৮ দশমিক ২, কুড়িগ্রামে ৮ দশমিক ৪, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়াতে ১০ দশমিক ৬, রংপুরে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘রংপুর বিভাগের সব কটি জেলায় আগামী ২৭/২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত এ রকম আবহাওয়া থাকবে। জেলাগুলোর বর্তমান তাপমাত্রার খুব বেশি পরিবর্তন হবে না।’

নিম্নমুখী তাপমাত্রা আর ঘন কুয়াশার কারণে লালমনিরহাটের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো ২২ ও ২৩ জানুয়ারি বন্ধ থাকবে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ করা হয়েছে। জেলার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ প্রচণ্ড শীতে অপর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের পাশাপাশি নিম্ন আয়ের মানুষের রোজগার কমেছে। রাতে দূরপাল্লার গাড়ি ও ট্রেন ছাড়া স্থানীয় যানবাহন তেমন চলছে না। কমেছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মিশুক, রিকশা চলাচল ও যাত্রীসংখ্যা। সময়ের আগেই ফাঁকা হচ্ছে বাজারঘাট।এমন অবস্থায় জরুরি শীতবস্ত্র ও সরকারি সহযোগিতার কথা জানিয়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন।

Nagad
Nagad

এ পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রিশ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। জেলার মোট জনসংখ্যার অনুপাতে এই সংখ্যা একেবারেই কম। প্রতি ইউনিয়নে ৪৫০টির মতো কম্বল ভাগে পড়েছে।