প্রকাশিত: ৪:৪৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৭, ২০২৪
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
বাংলাদেশে আর একজন রোহিঙ্গাকেও আশ্রয় দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন-রোহিঙ্গাদের নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনই সেখানকার একমাত্র সমাধান বলে তাদের জানিয়েছি। বাংলাদেশ আর একজন রোহিঙ্গাকেও আশ্রয় দেবে না।
আজ শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাবেক ব্রিটিশ এমপিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে ক্ষমতাসীন জান্তার সেনাবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে। রাজ্য ছেড়ে পালাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। উদ্বিগ্ন রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইরাবতী স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, রোহিঙ্গারা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে মিয়ানমারের এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে ছুটছে। বাংলাদেশেও প্রবেশের চেষ্টা করছে তারা।
এ প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, মিয়ানমারে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে নেতিবাচক প্রভাব রাখবে। সীমান্তে আমাদের বাহিনী সতর্ক অবস্থানে আছে।
হাছান মাহমুদ জানান, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়াই একমাত্র সমাধান। তারাও আমাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে একমত। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আমাদের পাশে আছে। আমরা মনে করি, রোহিঙ্গাদের ফেরাতে তাদের প্রচেষ্টা ও চাপ অব্যাহত থাকবে।
ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ছাড়া যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি প্রবাসীরা যাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে তা নিয়েও কথা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, মানবতার কারণে রোহিঙ্গাদের তখন স্থান দিয়েছিলাম। যেসব রোহিঙ্গা নাগরিক আমাদের দেশে এসেছে তাদের কারণে আমাদের নানা সমস্যা তৈরি হয়েছে। এছাড়া সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তাদের সদস্য রিক্রুট করার চেষ্টা করে। তারা আমাদের জন্য নানা সমস্যা। আমাদের দেশ জনবহুল, রোহিঙ্গাদের জন্য আমরা ভারাক্রান্ত। প্রতিবছর ৩৫ হাজার করে নতুন রোহিঙ্গা সন্তান জন্মগ্রহণ করে।
প্রসঙ্গত-গতকাল শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) আরাকান আর্মি জানায়, তারা রাখাইনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দনগরী পাকতাও দখল করে নিয়েছে। এরপর থেকেই মূলত সেনাবাহিনী ও আরাকার আর্মির সঙ্গে তুমুল লড়াই শুরু হয়। আরাকান আর্মি এখন পুরো রাখাইন রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।