প্রকাশিত: ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪
সারাদিন ডেস্ক
অর্থনীতি নিয়ে শেষ নেই উৎকণ্ঠারবর্ধিত সভায় শেখ হাসিনা
উপজেলা নির্বাচন উন্মুক্ত, সংঘাতে ব্যবস্থা
♦ সংসদ নির্বাচন কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারেনি ♦ বন্ধ করতে হবে অবৈধ মজুতদারি, চাঁদাবাজি
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উপজেলা নির্বাচন উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এই নির্বাচনে কোনো সংঘাত চাই না। যিনি এর সঙ্গে জড়িত থাকবেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতকাল সকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় তিনি এ কথা বলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর পর আওয়ামী লীগের এই বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হলো। দলের কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ, জাতীয় পরিষদ, দলীয় এমপি, স্বতন্ত্র এমপি ও স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি, জেলা-উপজেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ৩ হাজারের অধিক নেতা এতে অংশ নেন। সুত্র: বিডি প্রতিদিন।
টাকা-ডলার অদলবদলের নীতিমালা হচ্ছে, কারা সুবিধা পাবে
এই দুটি মুদ্রার অদলবদল তথা সোয়াপ–পদ্ধতি শুরু হলে তাতে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়বে।
দেশে প্রায় দুই বছর আগে শুরু হওয়া ডলার-সংকট এখনো কাটেনি। তবে নানা উদ্যোগের মাধ্যমে আমদানি খরচ কমানো গেছে। এরপরও দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তথা মজুত কমে প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। ডলার কিনতে গিয়ে টাকার সংকটেও পড়েছে দেশের অনেক ব্যাংক। এমন পরিস্থিতিতে ডলার-টাকা অদলবদল (সোয়াপ) পদ্ধতি চালুর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বেসরকারি খাতের প্রাইম ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ডলার জমা রেখে টাকা নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত এসেছে। তবে এই পদ্ধতি কীভাবে কাজ করবে, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়ে নীতিমালা তৈরির কাজ করছে, যা শিগগিরই চালু হতে পারে বলে জানা গেছে। সূত্র: প্রথম আলো
দেশেই বিশ্বমানের টিকা উৎপাদনে নতুন সম্ভাবনা
ওষুধ তৈরিতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলেও টিকার ক্ষেত্রে পিছিয়ে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, যন্ত্র ও সরঞ্জাম এবং কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকায় এই অবস্থা। অথচ বাংলাদেশে একসময় ভালো মানের টিকা তৈরি হতো। এর মধ্যে সরকারিভাবে তৈরি কলেরা, টাইফয়েড, গুটিবসন্ত, জলাতঙ্ক, টিটেনাস ও ডিপথেরিয়ার টিকা উল্লেখযোগ্য। এমন পরিস্থিতিতে টিকা তৈরির পূর্বযোগ্যতা অর্জনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) ম্যাচিউরিটি লেভেল-৩ উন্নীতকরণের এবং বৈশ্বিক স্বীকৃতি অর্জনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আগামী মার্চে ডাব্লিউএইচওর প্রতিনিধিদল আসবে টিকা তৈরিতে বাংলাদেশের সক্ষমতা যাচাই করতে। তারা সন্তুষ্ট হলে বিশ্বমানের টিকা উৎপাদনে যাবে বাংলাদেশ। সূত্র: কালের কণ্ঠ
মন্ত্রিপাড়ার ডুপ্লেক্স বাড়িতে থাকেন সচিব, ভাড়া মাত্র ৫৮৫০ টাকা
৪০, বেইলি রোড। মিনিস্টার্স অ্যাপার্টমেন্টের ভেতর ঘিয়ে রঙের ডুপ্লেক্স বাড়ি। বাড়ির ছাদে, রাস্তার ধারে দুলছে সারি সারি দৃষ্টিনন্দন শীতের ফুল। বাড়িতে ঢোকার ডান দিকে ব্যাডমিন্টন কোর্ট। আছে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। পুরো বাড়িই পরিচ্ছন্ন, পরিপাটি। তিন হাজার বর্গফুট আয়তনের এ বাড়ির সিঁড়ি ভেঙে দোতলায় গেলে সাজসজ্জা দেখে যে কারও চোখ কপালে ঠেকবে! মন্ত্রিপাড়ার এই অত্যাধুনিক ডুপ্লেক্স বাড়িতে থাকেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছিউদ্দিন। মাসে মাত্র ৫ হাজার ৮৫০ টাকা ভাড়ায় এ ডুপ্লেক্সে বাস করছেন তিনি। সবই ঠিক আছে, ডুপ্লেক্স বাড়িটির ভাড়াতেই কেবল গলদ। বাড়িটির তত্ত্বাবধায়ক গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন গণপূর্ত অধিদপ্তর। মন্ত্রণালয়ে যোগ দেওয়ার আড়াই মাসের মধ্যেই সচিব ঝোপ বুঝে কোপ মারেন! অভিযোগ আছে, ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর প্রভাব খাটিয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের কাছ থেকে ‘অবিশ্বাস্য’ ভাড়ায় বাড়িটি বরাদ্দ নেন সচিব। সরকারি বাড়ি বা কোয়ার্টারে থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর মূল বেতনের ৬০ শতাংশ বাড়িভাড়া বাবদ কাটার নিয়ম। তবে কাজী ওয়াছিউদ্দিনের ক্ষেত্রে কাটা হচ্ছে মাত্র ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। অথচ সচিবের মূল বেতন ৭৮ হাজার টাকা। সুত্র: সমকাল
পানির দাম ২৪-১৪৭% বাড়ানোর উদ্যোগ
চারটি ওয়াসার মধ্যে ঢাকায় পানির উৎপাদন খরচ সবচেয়ে বেশি
আবারও পানির দাম বাড়াতে চায় ঢাকা ওয়াসা। এবার গ্রাহকদের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী পানির দাম বাড়াতে চায় সংস্থাটি।রাজধানীর পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সেবার দায়িত্বপ্রাপ্ত এই সংস্থা লাভজনক হওয়ার পরও শ্রেণিভেদে ২৪ থেকে ১৪৭ শতাংশ পানির দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এটা করা হলে ঢাকার প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষের পানির দাম বাড়বে।আর ১৫ শতাংশ নিম্ন-আয়ের মানুষের পানির দাম কমতে পারে। সবমিলিয়ে ঢাকা ওয়াসার কয়েক গুণ আয় বাড়বে। সংস্থাটি এবার আরও লাভ বাড়িয়ে শেয়ারবাজারে ঢুকতে চায়। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
২১ জানুয়ারি ঢাকা ওয়াসা ভবনে এক আলোচনাসভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর উপস্থিতিতে শেয়ারবাজারে যাওয়ার অনুমোদন প্রত্যাশা করেন সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। সূত্র: যুগান্তর
আদানির বিদ্যুতের দাম ৮১ শতাংশ বেশি
ভারত থেকে আমদানি করা বিদ্যুতের মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ। আদানিসহ ভারতের সরকারি-বেসরকারি পাঁচটি কোম্পানির আটটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। অন্য ভারতীয় কোম্পানিগুলোর গড় দামের তুলনায় আদানির বিদ্যুতের দাম ৮০ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেশি। বিপিডিবির ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ভারতের যে পাঁচটি কোম্পানি থেকে বিপিডিবি বিদ্যুৎ আমদানি করে, সেগুলো হলো এনভিভিএন লিমিটেড, পাওয়ার গ্রিড করপোরেশন অব ইন্ডিয়া, পিটিসি ইন্ডিয়া লিমিটেড, সেম্বকর্প এনার্জি ইন্ডিয়া লিমিটেড এবং আদানি গ্রুপের আদানি পাওয়ার। সূত্র: আজকের পত্রিকা।
লাখ লাখ সংশোধনের আবেদন
চারদিকে কত কী বদলে যাচ্ছে, কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনে অব্যবস্থাপনার ছবিটা বদলাচ্ছে না। সংকটটা যে তিমিরে ছিল সেখানেই আছে। বরং কোথাও কোথাও বেড়েছে। দরকারি জিনিসটির সুলভ সেবাটাই এখনো দুর্লভ।মানুষ যে কতটা হয়রানি হচ্ছে তা বোঝার জন্য একটি সংখ্যাই যথেষ্ট। যদিও সংখ্যায় দুর্ভোগের অন্তজ্বালাটাই থাকে না। এক দিনে কত লোক এনআইডি সংশোধনের আবেদন করলে তা দুর্ভোগ বোঝানোর জন্য যথেষ্ট হবে? ৫০০ বা ১০০০ জন! এই সংখ্যাগুলোও যথেষ্ট নয়। এক দিনে সারা দেশে ৫ হাজার লোক তাদের এনআইডি সংশোধনের জন্য আবেদন করছেন। গত ১ জানুয়ারি এ ঘটনা ঘটেছে। যেকোনো ছুটির দিনও দেড় হাজারের বেশি লোক তাদের এনআইডি সংশোধনের জন্য অনলাইনে বসেন। ভুল এনআইডি নিয়ে জেরবার আমজনতা। কারও নামের বানান ভুল। কারও জন্মের তারিখ নেই। কারও স্বামীকে লেখা হয়েছে পিতা। ভুল রয়েছে ঠিকানাতেও। অনেকে পাল্টাতে চান বয়স। নানা পর্যায়ে এসব ভুল ধরা পড়ছে। পাসপোর্টের সঙ্গে লিংক করাতে গিয়েই এই ভুল নজরে আসছে সবচেয়ে বেশি, যা সংশোধন করতে গিয়েই হুড়োহুড়ি। দিশা পান না সংশোধন পথের। ঘুরতে ঘুরতে হয়রান হয়ে একসময় নিজেকে দেখতে পান সর্বত্র জাঁকিয়ে বসা দালালের মুষ্টিতে। সূত্র: দেশ রুপান্তর
গ্যাস সরবরাহে স্বল্প মেয়াদে রেশনিং করে চলতে হবে বাংলাদেশকে
দেশে বিদ্যুৎ, শিল্প, আবাসিকসহ অন্যান্য খাতে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা প্রায় চার হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। বিপরীতে গড়ে সরবরাহ হচ্ছে তিন হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। গ্যাসের স্থানীয় উত্তোলন হ্রাসের প্রেক্ষাপটে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) আমদানি বাড়লেও তাতে চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। এতে বিভিন্ন খাতে গ্যাসের সরবরাহ হচ্ছে রেশনিংয়ের মাধ্যমে। পেট্রোবাংলাসহ দেশী-বিদেশী বিভিন্ন সংস্থার পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশে গ্যাসের রেশনিং চালু রাখতে হবে আরো অন্তত দুই-তিন বছর। চলতি ২০২৪ পঞ্জিকাবর্ষের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) বৈশ্বিক গ্যাস বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি এক পূর্বাভাস প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ)। ফ্রান্সভিত্তিক আন্তঃসরকারি সংস্থাটির প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ২০২৩ সালের প্রথম ১০ মাসে গ্যাসের চাহিদা কমেছে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ শতাংশ। যদিও এ সময় এলএনজি আমদানি বেড়েছে ২০ শতাংশের কাছাকাছি। তবে এ আমদানি স্থানীয় উত্তোলন হ্রাসজনিত ঘাটতি পূরণে যথেষ্ট নয়। অপর্যাপ্ত সরবরাহে বিভিন্ন খাতে গ্যাসের রেশনিং করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। এতে বিদ্যুৎ খাতকেও ক্রমাগত লোডশেডিং মোকাবেলা করতে হচ্ছে। সূত্র: বণিক বার্তা।
টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই সনদ কার থাকবে- ভারতের না কি বাংলাদেশের?
ভারত সরকার টাঙ্গাইল শাড়িকে জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জিআই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে সনদ দেওয়ার পর থেকে দুই বাংলায় এ নিয়ে আলোচনা যখন তুঙ্গে, তখন আলোচনার পালে নতুন হাওয়া লাগালো বাংলাদেশ সরকার।আটই ফেব্রুয়ারি দুপুরে বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন পেটেন্টস, ডিজাইন এবং ট্রেডমার্ক বিভাগ (ডিপিডিটি) টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে একটি জার্নাল প্রকাশ করে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, দু’টো দেশ থেকে একই পণ্য জিআই সনদ পেতে পারে কি-না।কিংবা, ভারত যদি এখন ডিপিডিটি থেকে প্রকাশিত এই জার্নালের বিরোধিতা করে, তাহলে কী হবে? অথবা, টাঙ্গাইল শাড়ি’র জিআই ফিরে পেতে বাংলাদেশের করণীয় কী হবে? সূত্র: বিবিসি বাংলা।
কুমিল্লায় কাভার্ডভ্যানচাপায় অটোরিকশার চার যাত্রী নিহত
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় কাভার্ডভ্যানের চাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চার যাত্রী নিহত হয়েছেন। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে দাউদকান্দি-চাঁদপুর মহাসড়কের মহানন্দা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। সূত্র: বাংলানিউজ