Print

সারাদিন

বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে আগুন, আগুনে ৪৪ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ৬:৪৯ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১, ২০২৪

সারাদিন ডেস্ক

রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এই রেস্টুরেন্টে লাগা আগুনে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৪৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গণমাধ্যমকে ৪৩ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন -আগুনের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি রাত ১১টায় জানান, সংবাদ পাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে আমাদের ১২টি ইউনিট কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

মন্ত্রী আরও বলেন, যারা এখন পর্যন্ত বেঁচে আছেন। তাদের বেশির ভাগের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। এটা অত্যন্ত দুঃখ জনক। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বার্ণ ইউনিটে ভর্তি আছেন। বাইরে কেউ আছে কি না এখনো তথ্য পাওয়া যায় নি। ঢামেক ১৪ জন ও বার্ণে আহতের সংখ্যা ৮ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে গুরুত্ব আছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সবাইকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এর আগে রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে লাগা আগুন ১৩ ইউনিটের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে। দীর্ঘ দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

Nagad
Nagad

এ ঘটনায় ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। এরমধ্যে অচেতন অবস্থায় ৪৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, বার্ন ইউনিটসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানানো হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রেস্টুরেন্টটিতে আগুনের এ ঘটনা ঘটে। পরে ৯টা ৫৬ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট।পরবর্তীতে ইউনিট বাড়ার পাশাপাশি আগুন নিয়ন্ত্রণে ৩ প্লাটুন সাধারণ আনসার ছাড়াও বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১ প্লাটুন আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন (এজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়।

তারা ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণ ও আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে কাজ করে। এছাড়াও উদ্ধার কার্যক্রমে যোগ দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরাও।