Print

সারাদিন

‘ডাকঘরকে সহায়ক শক্তি হিসেবে গড়ে তোলা হবে’

প্রকাশিত: ৯:১২ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩০, ২০২৪

তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক:

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন- ডাকঘরের মাধ্যমে ই-কমার্স, ব্যাংকিং ও কুরিয়ার সার্ভিস আরো বেশি স্মার্ট করে গড়ে তোলা হবে। এই লক্ষ্যে শতাব্দির প্রাচীন ডাক আইন পরিবর্তনসহ ডাকঘরের বিশাল অবকাঠামো, সুবিস্তীর্ণ জনপদ ও জনবলকে কাজে লাগাতে পরিকল্পনা প্রণয়নে কাজ শুরু হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী আজ শনিবার (৩০ মার্চ ) টুঙ্গিপাড়া প্রধান ডাকঘর, কোটালীপাড়া উপজেলা ডাকঘর, রংপুরের পীরগঞ্জ ডাকঘর এবং প্রধান ডাকঘর যশোরকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে স্মার্ট প্লাটফর্মে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট অব পো্স্ট অফিসের মাধ্যমে নিয়মিত ডাকসেবার পাশাপাশি দেশের দুর্গম এলাকাসহ প্রতিটি গ্রামের সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় স্মার্ট পরিষেবা পৌছে দেয়া হবে। এর ফলে একদিকে ডিজিটাল বৈষম্য হ্রাস পাবে অন্য দিকে গ্রামে বসেই ৩২৫টিরও বেশি ই-গভর্নমেন্ট সেবা, ই-কমার্স ও ব্যাংকিং সেবা পাবে। এই লক্ষ্যে সরকার দেশের প্রতিটি ডাকঘরকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তরে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রায় আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এর দিক নির্দেশনায় প্রচলিত ডাক ব্যবস্থাকে স্মার্ট ডাক ব্যাবস্থায় রূপান্তর কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৪টি ডাকঘরের স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট উদ্বোধন করা হচ্ছে। এর আগে গত ১৯ মার্চ খুলনার কয়রা ডাকঘরকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তর করা হয়। আগামী মে মাসের মধ্যে ৫০০টি ডাকঘর এবং পর্যায়ক্রমে দেশের বিদ্যমান ৯৯৭০টি ডাকঘরকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তর করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে প্রযুক্তি নির্ভর জাতিতে আমারা পরিণত হয়েছি। অগ্রগতির অগ্রযাত্রার এ ধারা অব্যহত থাকলে ২০৪১ সালের আগেই স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমৃদ্ধ জাতিতে আমরা পরিণত হবই।

স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট (এসএসপি) উদ্যোগ, প্রথাগত ডাক পরিষেবাগুলোর সাথে ডিজিটাল সমাধানগুলোকে একীভূত করার একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে পার্সেল ট্র্যাকিং, বিল পেমেন্ট এবং ই-কমার্স সুবিধার মতো সুযোগ-সুবিধার আয়োজন নিয়ে এই সার্ভিস পয়েন্ট বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় অভিগম্যতা ও দক্ষতার বিপ্লব ঘটাবে। তিনি ডাকঘরকে মেইল ডেলিভারি থেকে সার্ভিস ডেলিভারিতে রূপান্তরের এই পথচলাকে সহজ করতে ডাক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারিদের যে কোন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে হুশিয়ার উচ্চারণ করেন।

Nagad
Nagad

অনুষ্ঠানে ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদার, দক্ষিণাঞ্চল খুলনার পোস্ট মাস্টার জেনারেল সামসুল আলম,উত্তরাঞ্চল রাজশাহীর পোস্ট মাস্টার জেনারেল কাজী আসাদুজ্জামান, গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম এবং রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান এবং পুলিশ সুপার মোঃ ফেরদৌস আলী চৌধুরী প্রমূখ বক্তৃতা করেন।

মন্ত্রী স্মার্ট প্লাটফর্মে ৪টি স্মাট সার্ভিস পয়েন্ট অব পোস্ট অফিসের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন।