Print

সারাদিন

সেনাবাহিনীর অভিযান: কুকি-চিনের দুই সন্ত্রাসী নিহত, গোলা উদ্ধার

প্রকাশিত: ২:৫৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৮, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বান্দরবানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই কেএনএফ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। এ সময় তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, ওয়াকিটকি ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে রুমা-থানচি সীমান্তে বাকলাই এলাকায় দুটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। তাদের পরনে কেএনএফের পোষাক ছিল।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। দুপুরে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর জানায়, রুমার দুর্গম বাকলাইপাড়া এলাকায় সেনাবাহিনীর অভিযানে কেএনএফের দুইজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ সময় তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল গোলাবারুদ, ওয়াকি-টকি ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে।

থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, রোববার সকালে রুমা ও থানচির সীমান্তবর্তী বাকলাই এলাকায় দুটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। তারা কে বা কারা সে বিষয়ে জানা না গেলেও তাদের গায়ে কেএনএফের পোষাক ছিল। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল করার পর বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, বর্তমানে সেখানে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী তল্লাশি চালাচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু অস্ত্র, গুলি ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগে, বুধবার (২৪ এপ্রিল) থানচি সীমান্ত সড়কে চলন্ত ট্রাক লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছিল সন্ত্রাসীরা। ওই ঘটনার চারদিনের মাথায় দুই কেএনএফ সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হলো।

Nagad
Nagad

প্রসঙ্গত, ২ ও ৩ এপ্রিল কেএনএফ বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলার সোনালি ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা চালিয়ে অস্ত্র-গুলি ও টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর সেখানে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী অভিযান চলছে। এ পর্যন্ত অভিযানে ৮০ জন কেএনএফ সদস্য ও তাদের সহযোগীকে আটক করা হয়েছে।