টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নে বাড়ির সীমানা ও গাছ থেকে বেল পাড়া নিয়ে বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে রাজিব হোসেন (৩০) নামে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতা নিহত হয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে- নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন উভয়পক্ষের সাতজন। আটক করা হয়েছে ছয়জনকে।

আজ বৃহস্পতিবার (২মে) বেলা ১১টার দিকে ভাদ্রা ইউনিয়নের পংভাদ্রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাজিব ভাদ্রা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন। তিনি পংভাদ্রা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলম মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় ও পরিবারের বরাত দিয়ে নাগরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল আলীম জানান, বাড়ির সীমানা নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমের সঙ্গে মো. আজাহারের দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। সীমানায় থাকা একটি গাছের বেল মাটিতে পড়লে আজাহারের বাড়ির লোকজন সেটি নিয়ে যান। এ নিয়ে আজাহার ও মুক্তিযোদ্ধ আলম মিয়ার পরিবারের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন কুপিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলম মিয়ার ছেলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাজিব আলম রাজিবকে হত্যা করেন। আহত হন উভয়পক্ষের অন্তত সাতজন।

আবদুল আলীম জানান, আহতদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে আটক করেছে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় মৃত কলিমুদ্দিন ছেলে মো. আজাহার ও পলাশ, পলাশের ছেলে রুবেল, আজাহারের ছেলে শান্ত, রুবেলের মেয়ে বৃষ্টি ও আজাহারের স্ত্রী শিল্পী বেগম।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘ভাদ্রা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মো. রাজিব আলম রাজিব একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তার এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম জসিম উদ্দিন বলেন, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা ও ছুড়ি উদ্ধারসহ ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের ব্যপারে যাচাই-বাছাই চলছে। অন্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় বিকেল ৩টা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি।

তবে জানা গেছে- এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।