প্রকাশিত: ৫:১৩ অপরাহ্ণ, মে ১২, ২০২৪
সারাদিন ডেস্ক
ভারি বর্ষণের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলের গ্রামগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। এতে এখন পর্যন্ত ৩১৫ জন নিহত এবং এক হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রবিবার (১২মে) এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ১৫৩ জনের মৃত্যুর কথা জানায়। তবে এই সংখ্যা বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল মন্ত্রণালয়টি।
মূলত আফগানিস্তান একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ। জাতিসংঘ জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যে দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ তার মধ্যে আফগানিস্তান অন্যতম। বিভিন্ন স্থান থেকে বেসামরিক নাগরিক আটকে পড়ার খবর আসার পর উদ্ধার কাজে সহায়তার জন্য হেলিকপ্টার পাঠায় তালেবান সরকার।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, বন্যায় অসংখ্য মানুষ গৃহহীন হয়েছে পড়েছেন। ভেঙে পড়েছে যাতায়াত ব্যবস্থাও। তাছাড়া পানি সরবরাহ ব্যবস্থায়ও মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আফগানিস্তান অফিস জানিয়েছে, বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক। ঘটছে হতাহতের ঘটনাও।
দেশটির প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান কর্মকর্তা হেদায়াতুল্লাহ হামদার্দ জানিয়েছেন, মৌসুমি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণেই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতি হতে পারে এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজন আগে থেকে প্রস্তুত ছিল না।
শরণার্থী মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে বলেছে, হতাহতের সর্বশেষ সংখ্যাটি তাদের বাঘলান প্রাদেশিক কার্যালয় থেকে এসেছে। এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবারের বন্যায় ১৫৩ জনের মৃত্যুর খবর দিয়ে সে সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছিল।
২০২১ সালে বিদেশি বাহিনী প্রত্যাহার করার সঙ্গে সঙ্গে তালেবানরা দায়িত্ব নেওয়ার পরে দেশটি একটি সাহায্যের ঘাটতির মুখোমুখি হয়েছে। পরবর্তী বছরগুলোতে এ পরিস্তিতি আরো খারাপ হয়েছে। এর পেছনে কারণ হিসেবে রয়েছে বিদেশি সরকারগুলোর বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক সংকটের মুখোমুখি হওয়া এবং সহায়তা সংস্থায় আফগান নারীদের কাজে তালেবানের নিষেধাজ্ঞা। সূত্র : রয়টার্স