প্রকাশিত: ৫:৩৯ অপরাহ্ণ, মে ১৪, ২০২৪
সারাদিন ডেস্ক
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া দলের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা পার্বত্য জেলার কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কাছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন রানা শেখ ওরফে আমির হোসাইন, মশিউর রহমান ওরফে মিলন তালুকদার ও হাবিবুর রহমান।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারদের মধ্যে রানা শেখ জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার রিক্রুটার হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। তিনি আলফা ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ইউনিট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত। তিনি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকরির আড়ালে জঙ্গি সংগঠনের রিক্রুটার হিসেবে কাজ করে আসছিলেন।
আরও জানা যায়, রানা শেখ ইতোমধ্যে তিনজনকে সংগঠনে রিক্রুট করে প্রশিক্ষণের জন্য বান্দরবানে কুকি-চিনের আস্তানায় পাঠান। এমনকি প্রশিক্ষণের খরচ বাবদ কুকি-চিনের কাছে লক্ষাধিক টাকাও পাঠান এই রানা।
মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, মার্শাল আর্টে ব্ল্যাক বেল্ট প্রাপ্ত রানা ২০০২ সালে হুজিনেতা ও ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মাওলানা আব্দুর রউফের কাছে প্রশিক্ষণের জন্য ময়মনসিংহে যান। ময়মনসিংহের ভালুকায় মাদ্রাসায় পড়াশোনা করার পাশাপাশি হরকাতুল জিহাদের (হুজি) সদস্য হিসেবে সামরিক ও আন আর্মড কমব্যাট প্রশিক্ষণ নেন। ২০০৩ সালে বাবা, মামা ও ভগ্নিপতিসহ মোট ১৮ জন সদস্য হুজি নেতা আব্দুর রউফের সঙ্গে বৈঠকের সময় ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পুলিশের কাছে ধরা পড়েন।
বর্তমানে আলফা ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ইউনিট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত এই রানা সশস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য তিন সদস্যকে ইতোমধ্যে বান্দরবানে কুকি-চিনের সন্ত্রাসীদের কাছে পাঠিয়েছেন।
ডিএমপির ডিবি প্রধান বলেন, জঙ্গিগোষ্ঠীটির সদস্য ছিল ৫৩ জন, এদের মধ্যে ৪৯ জনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশকে অস্থিতিশীল করে একটি জঙ্গি দেশ বানানোর পরিকল্পনা ছিল আসামিদের।