প্রকাশিত: ৫:১৪ অপরাহ্ণ, মে ১৮, ২০২৪
সারাদিন ডেস্ক
তাইওয়ানের পার্লামেন্টে অধিবেশন চলাকালে মারামারি ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছেন দেশটির সংসদ সদস্যরা। অধিবেশন চলাকালে পার্লামেন্টকক্ষে মারামারি, হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন তাইওয়ানের আইনপ্রণেতারা। নতুন সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে ভোট শুরুর আগেই পার্লামেন্ট কক্ষের বাইরে কয়েকজন আইনপ্রণেতা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। পরে তারা স্পিকারের আসনের চারপাশে উঠে আসেন। কেউ কেউ ধাক্কা দিয়ে সহকর্মীকে মেঝেতে ফেলে দেন। কেউ টেবিলের ওপর উঠে পড়েন। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়, তবে পরে বিকেলের দিকে আবারও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তারা।
শুক্রবার (১৭মে) একটি সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক শুরুর পর সরকারি ও বিরোধী দলের আইনপ্রণেতেদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। একে-অপরের ওপর লাফিয়ে পড়েন, কিল-ঘুসি মারতে থাকেন। ধস্তাধস্তি এবং কিল ঘুষি ও চিৎকার শুরু হয় অধিবেশন কক্ষেই। স্পিকারের আসনের পাশেই এমন কাণ্ড দেখা যায়। খবর- রয়টার্স।
গত জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন লাই। আগামী সোমবার তার আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব শুরু করার কথা রয়েছে। কিন্তু লাইয়ের দল ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি) পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে।
তাইওয়ানের প্রধান বিরোধী দল কুওমিনতাং (কেএমটি), ডিপিপি-র চেয়ে বেশি আসন পেয়েছে। তবে কেএমটি’র একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় দলটি সরকার গঠন করতে পারেনি। এ কারণে সরকারের ওপর পার্লামেন্টের প্রভাব বাড়াতে কয়েকটি সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে বিরোধিরা। এর মধ্যে সরকারের কার্যক্রম দেখভালের জন্য আইনপ্রণেতাদের আরও ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাবের পাশাপাশি পার্লামেন্টে কোনও কর্মকর্তা মিথ্যা বিবৃতি দিয়েছে মনে হলে তাকে অপরাধী হিসাবে গণ্য করার একটি বিতর্কিত প্রস্তাবও রয়েছে।
প্রধান বিরোধীদল কেএমটি এবং তাদের মিত্রদল তাইওয়ান পিপলস পার্টির (টিপিপি) দেওয়া এ প্রস্তাব নিয়েই প্রধান দুই দল ডিপিপি এবং কেএমটি’র মধ্যে তীব্র মতবিরোধ দেখা দেয়, যার জেরে ঘটে আইনপ্রণেতাদের তুমুল মারামারির ওই ঘটনা।
ডিপিপি বলেছে, কেএমটি এবং টিপিপি রীতিমাফিক শলা-পরামর্শ না করেই প্রস্তাব দেওয়ার মধ্য দিয়ে অযাচিতভাবে জোর করে দাবি আদায়ের চেষ্টা করছে। একে ‘ক্ষমতার অসাংবিধানিক অপব্যবহার’ বলে অভিহিত করেছে প্রেসিডেন্ট লাইয়ের দল ডিপিপি।
দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লাই চিং দায়িত্ব নেওয়ার দিন কয়েক আগে ঘটল এ ঘটনা ঘটলো।