প্রকাশিত: ১২:১১ অপরাহ্ণ, মে ২৫, ২০২৪
সারাদিন ডেস্ক
চিকিৎসার জন্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে গিয়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনা। তবে তার মরদেহ এখনও উদ্ধার করা যায়নি। হত্যার পর তার মরদেহ থেকে চামড়া ছাড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। এরপর তার মরদেহকে অন্তত ৮০ টুকরোয় ভাগ করা হয়। পরে তা খালসহ বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়।
পশ্চিমবঙ্গের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে কসাই জিহাদ হাওলাদার এই তথ্য জানিয়েছেন। সিআইডির আশঙ্কা— ইতিমধ্যে হয়তো আনোয়ারুলের খণ্ডিত দেহ বিভিন্ন জলজ প্রাণির পেটে চলে গেছে।
এর আগে গত ২২ মে আনোয়ারুল আজিম আনারের হত্যা মামলার তদন্তভার নেয় সিআইডি। এরপর গত বৃহস্পতিবার হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সন্দেহভাজন আসামি ‘কসাই’ জিহাদকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। শুক্রবার জিহাদকে উত্তর ২৪-পরগনার বারাসত জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১২ দিনের রিমান্ড দেন।
মূলত আনারকে হত্যার জন্য ভারতের মুম্বাই থেকে ‘কসাই’ খ্যাত জিহাদ হাওলাদারকে কলকাতায় আনা হয়। কলকাতায় গ্রেফতার হওয়ার পর আনোয়ারুলকে হত্যার পর কীভাবে তার মরদেহ টুকরো টুকরো করে ফেলে দেওয়া হয়, তার রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন তিনি।
পুলিশ দাবি করেছে, পরিস্থিতিগত প্রমাণে যে ইঙ্গিত মিলেছে তাতে বোঝা যায়, এমপিকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় এবং তারপরে তার মরদেহকে টুকরো টুকরো করা হয়।
সিআইডি বলছে, শাহীনের নির্দেশে জিহাদসহ চার বাংলাদেশি মিলে আনারকে ওই ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন। তার মরদেহ টুকরো টুকরো করে হলুদ ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে পথে কেউ ধরলে বলতে পারে, বাজার থেকে কেনা। উদ্দেশ্য ছিল, এভাবে গুম করা হবে, যাতে কেউ কোনো দিন তার অস্তিত্ব না পায়।
গত ১৩ মে আমানউল্লাহ, জিহাদ ও সিয়াম দুটি স্যুটকেসে এমপির দেহের টুকরাগুলো ভরে পাবলিক টয়লেটের সামনে দাঁড়ানো একটি গাড়িতে ওঠেন। সেই গাড়ির চালকও তেমন কিছু জানতেন না। পরে সিয়াম ও জিহাদকে স্যুটকেসসহ বিদায় করে আমানউল্লাহ আবার ওই ফ্ল্যাটে চলে যান। পরদিন ওই তিনজন বাকি টুকরাগুলো পলিথিনে পেঁচিয়ে ব্যাগে ভরে ফ্ল্যাট থেকে বের হয়ে যান।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মে বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগরের মন্ডল পাড়ায় গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন এমপি আনার। এরপর ১৩ মে পৌঁছে যান নিউ টাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনসে। পুলিশি তথ্য অনুযায়ী, ১৩ তারিখ রাতেই তাকে হত্যা করা হয়। মরদেহ বাক্সবন্দি করে ১৪, ১৫ ও ১৬ মে প্রতিদিন একজন করে ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যান।