প্রকাশিত: ৩:০০ অপরাহ্ণ, মে ২৬, ২০২৪
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
দুর্যোগ মোকাবিলা এবং দুর্গত মানুষের পাশে থাকার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ সব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান।
তিনি বলেন-আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়ার পর থেকেই আমরা প্রস্তুতি শুরু করেছি। গতকাল আমরা দুটি মিটিং করেছি। আমরা বলেছিলাম আজ ভোর থেকে আবহাওয়া দুযোগাগপূর্ণ হতে পারে। কিন্তু ঝড়ের গতিটা একটু কম ছিল বলে আজ ভোরে আসেনি। গতকাল গতি ছিল ১৬-১৭ কিলোমিটার। কিন্তু রাতে গতি কমে ১০ এর নিচে আসে এবং পরে ৬ কিলোমিটারে আসে। যার জন্য এটা সময় মতো পৌঁছায়নি।
রোববার (২৬ মে) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভা শেষে এ কথা জানান তিনি।
প্রতিন্ত্রী বলেন, ৮ লাখের বেশি মানুষ ইতোমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছেন। বাকিদের আসার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। উপকূলীয় অঞ্চলে আপাতত স্কুল খোলা থাকবে তবে ক্লাস বন্ধ থাকবে। এছাড়া আজ সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু টানেলও বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন প্রতিমন্ত্রী।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বর মহাপবিদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
এছাড়া সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আমরা আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে তৈরি রেখেছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যারা জড়িত তারা যেন কাছাকাছি থেকে। আশ্রয়ের যেন সমস্যা না হয়।
আমাদের কাছে যে তথ্য, এ পর্যন্ত প্রায় আট লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। মহাবিপদসংকেত যেহেতু ঘোষণা করা হয়েছে সে কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলেছি দ্রুত আনার জন্য।