Print

সারাদিন

ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার, ন্যাটোকে পুতিনের হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত: ১১:২০ পূর্বাহ্ণ, মে ২৯, ২০২৪

সারাদিন ডেস্ক

পশ্চিমাদের দেয়া ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেনকে রাশিয়ার গভীর অভ্যন্তরে হামলা চালানোর অনুমতি দেয়ার ব্যাপারে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোকে সতর্ক করে দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, রাশিয়ায় হামলা চালানোর প্রসঙ্গ উত্থাপন করে ন্যাটো জোটের ইউরোপীয় সদস্য দেশগুলো আগুন নিয়ে খেলছে।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনকে হাজার হাজার কোটি ডলারের সমরাস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করেছে আমেরিকা ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা। তবে এতদিন এসব অস্ত্র দিয়ে শুধুমাত্র আত্মরক্ষা এবং ইউক্রেনের অভ্যন্তরে মোতায়েন রুশ সৈন্যদের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অনুমতি দিয়েছিল পাশ্চাত্য।

সম্প্রতি ইউরোপীয় দেশগুলো এসব অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানোর অনুমতি দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে; যদিও মার্কিন সরকার এখনও এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করে যাচ্ছে।

গত কয়েক সপ্তাহে ইউক্রেনের বিভিন্ন ফ্রন্টে রুশ বাহিনী উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করার পর মস্কোকে প্রতিহত করার উপায়ন্তর না দেখে ইউরোপীয় দেশগুলো এ পরিকল্পনা উত্থাপন করেছে।

মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ সম্প্রতি ব্রাসেলসে বলেছেন, ইউক্রেনকে পশ্চিমা সমরাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার গভীর অভ্যন্তরে হামলা চালানোর অনুমতি দেয়ার বিষয়টি ন্যাটোকে বিবেচনায় নিতে হবে।

Nagad
Nagad

প্রেসিডেন্ট পুতিন গতকাল (মঙ্গলবার) উজবেকিস্তানের রাজধানী তাশখন্দে এক বক্তব্যে এ সম্পর্কে বলেন, ইউক্রেনকে সেরকম কোনো অনুমতি দেয়া হলে যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে। তিনি বলেন, যুদ্ধের পরিধি বাড়াতে থাকলে তার পরিণতি মারাত্মক হতে পারে। ইউরোপীয়রা সেরকম সিদ্ধান্ত নিলে রাশিয়া তার কৌশলগত অস্ত্র ব্যবহার করবে এবং বিশ্বযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়বে।

পুতিন বলেন, মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও জেলেনস্কির প্রেসিডেন্ট থাকার বিষয়টির গভীর আইনি বিশ্লেষণ করা দরকার। ইউক্রেনের সংবিধানে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে কিছু বলা নেই বলেও এ সময় জোর দেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, পাশ্চাত্যের স্যাটেলাইট, গোয়েন্দা ও সামরিক সহযোগিতা ছাড়া রাশিয়ার অভ্যন্তরে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালাতে পারবে না ইউক্রেন। আর তা করা হলে চলমান যুদ্ধে পাশ্চাত্য সরাসরি জড়িয়ে যাবে যার পরিণতি ভালো হবে না।

উল্লেখ্য, ইইউ দেশগুলো ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্লক-ওয়াইড মিশনের অধীনে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ইউক্রেনের বাইরে ৫০ হাজার ইউক্রেনীয় সেনাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। সূত্র: পার্স্টুডে।